গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই রাঁচিতে রোড শো করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তারপর এলাকার মানুষকে নিয়ে একটি মিলন উৎসবের আয়োজন করে বিজেপি। তাঁদের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই অনুষ্ঠানেই বড় সংখ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক সিপি সিং। যদিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও’তে দেখা যাচ্ছে, মাথায় ফেজ টুপি পরে যাঁরা বসেছিলেন, সাংবাদিকের প্রশ্ন উত্তরে তাঁরা কেউ নিজেদের নাম বিগু মাহাত, কেউ সগলুরাম সাহু আবার কেউ সুখরাম ওঁরাও বলে জানাচ্ছেন। তাঁরাই জানান, গোটা অনুষ্ঠান চলাকালীন মাথায় টুপি পরে বসে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। নিজেকে বিগু মাহাত বলে দাবি করা ব্যক্তি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘টুপি প্রথমে পকেটে রেখেছিলাম। তারপর পরে থাকতে বলল। আমাকে দিয়েছে তাই পরেছি। খুলতে দেয়নি তো কী করব? একাধিকবার বলার পরে টুপি পরেছি।’’
মজার বিষয় হল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাঁচির ছ’বারের বিধায়ক সিপি সিং’কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। যার প্রমাণ হল এই মিলন উৎসব।’ তবে এই ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে আসাটা বিরোধীদের চক্রান্ত ও মিথ্যাচার বলে তাঁর দাবি। এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আদিবাসী-মুসলমান কেউ বিজেপির সঙ্গে নেই। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তার জেরেই এই সব কাণ্ড। ঝাড়খণ্ডে কেন এই পথ বাছতে হচ্ছে বিজেপিকে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁকে প্রাণে মারার চক্রান্তের অভিযোগ—সবমিলিয়ে যথেষ্ট ব্যাকফুটে বিজেপি। ক্ষুব্ধ আদিবাসী সমাজ। এই পরিস্থিতিতে মুসলিম ভোট না পেলে, তাঁদের কপালে যথেষ্ট দুঃখ আছে। তাই এই পথ বাছা!