পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
তাতেও অবশ্য তিরুবনন্তপুরম কেন্দ্রে জয়ের হ্যাটট্রিক করা ইউডিএফ তথা কংগ্রেস প্রার্থী শশী থারুর বিন্দুমাত্র স্বস্তি পাচ্ছেন না। চতুর্থবারে বিরোধী হাওয়া খানিক জোরালো। তার উপর কেরলে ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক কংগ্রেস এবং বাম বন্ধু নয়, যুযুধান প্রতিপক্ষ। উল্টোদিকে চন্দ্রশেখর দীর্ঘদিনের রাজ্যসভা সাংসদ। একটি সংবাদমাধ্যমের ‘মালিক’ও। প্রথমে নির্দল, পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। তবে এটাই তাঁর প্রথম জনতার দরবারে নামা। সেখানে ৬৬ শতাংশ হিন্দু ভোটারের কেন্দ্রে আরএসএস পাশে না থাকাটা ‘মাইনাস পয়েন্ট’। নির্বাচনী দপ্তরের বাইরে এক বিজেপি নেতা জানালেন, ‘রাজীব প্রচারে আরএসএসকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়নি। তাতে ওঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’
গোটা শহর, শহরতলিজুড়ে ফ্ল্যাগ, পোস্টার, দেওয়াল লিখন থেকে তিন প্রার্থীর মুখ দেওয়া বিশাল বিশাল ফ্লেক্স। কে জিতবেন? প্রশ্নটা করলেই জনতা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে এখানকার রাজনীতির প্রাচীন রীতি— পাঁচ বছর পর পর সরকার বদল। গত বিধানসভা ভোটে সেই ‘ট্রেন্ড’ ভেঙে বাম জোট এলডিএফই সরকার গড়েছে। লোকসভা নির্বাচনে সেই ‘ভুল’ হবে না। সেটাই থারুরের ‘হাতের পাঁচ’। তবে ২০১৯-এ ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। জয়ের ব্যবধান ছিল এক লক্ষের থেকে মাত্র ১১ ভোট কম। এবার সেটাকে এক লক্ষ পার করানোকে মূল মন্ত্র করেছেন এডাপাঝাঞ্জি কোচর রোডে তাঁর নির্বাচনী অফিসের বসা অমলজয়ী, আলিম, অনিলরা।
কিন্তু শুধু ‘ট্রেন্ড’ আর গ্ল্যামারে ভরসা করে শশী যে এবার ভোটে জিততে পারবেন না, সেব্যাপারে নিঃসংশয় কেরল বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ এম বিজয়কুমার। শহরের স্ট্যাচু জংশনে সরকারি সচিবালয়ের ঠিক উল্টোদিকে এলডিএফের (সিপিআই) প্রার্থী রবীন্দ্রনের নির্বাচনী দপ্তর। সেখানে বসে এই বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘গত বিধানসভা ভোটে বামেরা ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ফলে কেরলের অধিকাংশ কেন্দ্রে আমরাই জিতব।’
যদিও ২০২১-এ তিরুবনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্রের অধীন সাতটি বিধানসভা আসনে ইউডিএফ আর এলডিএফের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল প্রায় সমান সমান (৩২ শতাংশ)। আর বিজেপি-জেডিএস প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে একটিমাত্র আসন গিয়েছিল কংগ্রেসের ঝুলিতে। এই ভোট শতাংশ বামেরা ধরে রাখতে পারলেই থারুরের রক্তচাপ বাড়তে বাধ্য। তাই প্রচারে খামতি রাখছেন না তিনি। শহরতলি পেরিয়ে চেম্পাজান্থির সরু রাস্তায় তাঁর প্রচারে জনসমর্থন খারাপ চোখে পড়েনি। তবে ভিঝিঞ্জাম বন্দর গড়ার জন্য আদানি গোষ্ঠীর জন্য সওয়াল করায় উপকূলবর্তী অঞ্চলে থারুর বহু মানুষের চক্ষুশূল। সেখানে ল্যাটিন চার্চের প্রভাব যথেষ্ট। তারাও থারুরের বিরুদ্ধে। তাই আজ ভোটের আগে খানিক অস্বস্তিতেই থাকবেন কংগ্রেস প্রার্থী।