গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
ইতিমধ্যে তিন দফায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৩ তারিখ, চতুর্থ দফার নির্বাচন হবে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর ও বীরভূম আসনে। এই পর্বের ভোট প্রচারে বৃহস্পতিবার দুই কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ‘ভার্চুয়ালি’ প্রচার সারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অভিষেকের হেলিকপ্টার সভাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু সভা যাতে ঠিকমতো হয়, তারজন্য তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন অভিষেক। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি বক্তব্য রাখেন। আর তা সরাসরি সম্প্রচারিত হয় কালো মাথার ভিড়ে ঠাসা সভাস্থলে। বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং বর্ধমান-পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শর্মিলা সরকারের সমর্থনে ভার্চুয়াল সভা করেন অভিষেক। দু’টি জায়গাতেই অভিষেক প্রায় ৪০ মিনিট করে বক্তব্য রাখেন। যেখানে বক্তব্যের বড় অংশজুড়ে ছিল সন্দেশখলির প্রসঙ্গ। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ভিডিও সামনে আসার পর সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আর সন্দেশখালির ‘সাজানো ঘটনা’ যখন সামনে আসতে শুরু করেছে, তখন তা দেখে বিজেপি নেতারা রেগে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, যে রেগে যায়, সে হেরে যায়। বিজেপির হার সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি মানসিকভবে ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছে। পরাজয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তাই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে দিয়েছেন এবং অপমানিত করছেন বাংলার নারী সমাজকে।
সন্দেশখালির ঘটনার ইতিমধ্যে বিজেপি মণ্ডল সভাপতি থেকে আন্দোলনকারীদের ভিডিও বক্তব্যে সামনে এসেছে, পুরো ঘটনাটি ‘সাজানো’। যারমধ্যে এদিন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর একটি ভিডিওতে প্রকাশ পেয়েছে, দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে বিজেপি যাঁদের নিয়ে গিয়েছিল, তাঁরা আদৌ আন্দোলনকারী ছিলেন না। যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই অভিষেক বলেছেন, বাংলাকে কলুষিত করার নির্লজ্জ পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। গত তিন মাস ধরে যারা সন্দেশখালি নিয়ে লাফাচ্ছিল, আজা গোটা ঘটনা সামনে চলে এসেছে। টাকার বিনিময়ে মহিলাদের সম্ভ্রম নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে চরিতার্থ করেছে বিজেপি। দেশের ১৪০ কোটি মানুষের কাছে ১০ কোটির বাংলাকে অপমানিত করেছে বিজেপি। সেইসঙ্গে অভিষেক এও দাবি করেছেন, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার অঙ্গুলি হেলনে সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো হয়েছে। যেখানে তাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত ছিল।
বাংলায় মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে উন্নয়নই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। যেখানে নরেন্দ্র মোদি সরকারের শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে বলে দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি চাইলেও কোনওদিন লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবেন না। বাংলাকে অপমানিত করার আগামী দফাগুলিতেও বিজেপির শোচনীয় পরাজয় হবে বলে দাবি করছে জোড়াফুল শিবির। অভিষেকের কথায়, সংবিধান, ইডি, সিবিআই থাকবে। কিন্তু বিজেপি থাকবে না!