রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শুভঙ্কর সরকার একজন চা বাগানের মালিক। বড়লোকের ছেলে। ওই টি-এস্টেটের ম্যানেজার জগন্নাথ ধাড়া দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি। শুভর পিতাকে খুন করে সে। তার ভালোমানুষি মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এক অসৎ জোচ্চোর মানুষ। তাই তাকে কেউ সন্দেহ করে না। শুভর মা ও জগন্নাথবাবু দু’জনে ঠিক করেন তাদের ছেলেমেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তারা আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হবে। সেই মতো জগন্নাথবাবুর মেয়ে ইন্দ্রাণী ও শুভর বিয়ের ব্যবস্থা করে। আবার শুভর বোনের সঙ্গে হেল্থ সেন্টারের ডাক্তারের বিয়ের কথা পাকা হয়। অন্যদিকে শুভ জানতে পারে চা বাগানের ব্যবসায় হিসাবের গরমিল দেখা গিয়েছে। তাই সে ম্যানেজার জগন্নাথবাবুর নিষেধ অমান্য করেও উত্তরবঙ্গের মকাইবাড়িতে তাদের চা বাগানের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পরিকল্পনা করে জগন্নাথবাবু ল্যান্ডমাইন লাগিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করে। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়। তবে তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যায়। পাহাড়ি অঞ্চলের সাথী নামের একটি মেয়ে তাদের বাড়িতে তাকে নিয়ে আসে। এরপর সে সেখানে থাকে। সাথী তার নাম দেয় জীবন। তাদের মধ্যে ভালোবাসা হয়। তারা বিয়ে করবে ঠিক করলে সাথীর বাবা জীবনকে রোজগার করতে বলে। সেইমতো ওখানকার একজনের সহায়তায় সে শিলিগুড়িতে কাজের জন্য যেতে চায়। সেদিনে আবার এক দুর্ঘটনায় সে স্মৃতি ফিরে পায়। এই সময়ে তাদের পরিচিত ডাক্তার (তার বোনের হবু বর) রাস্তায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়ি নিয়ে আসে। এরপর নানা সমস্যা পেরিয়ে সাথী তাকে খুঁজতে কলকাতায় তাদের হোটেলে পৌঁছে যায়। সেখানে নাতাশা নাম নিয়ে গান গাইতে শুরু করে। সব শেষে শুভর সঙ্গে ইন্দ্রাণীর বিয়ে হয় নাকি সাথী ফিরে পায় তার মনের মানুষকে তা তোলা থাক দর্শকের কৌতুহল বাড়ানোর জন্য।
লাইভ মিউজিক, জনপ্রিয় হিন্দি বাংলা গানের ব্যবহারে আরও জমজমাট হয়ে ওঠে যাত্রাপালা। যাত্রার ধরন ধারনের পূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায় পালাটিতে। শুধুমাত্র কণ্ঠের ব্যবহারে চরিত্রচিত্রায়নের বৈচিত্র্য ও কৌশল একমাত্র যাত্রাতেই উপভোগ করা যায়। মঞ্চে সাদা কাপড়ের ওপর রঙের বিভিন্নতায় সিকোয়েন্সের বর্ণনা কাহিনীটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। অভিনয়ে সকলেই বেশ স্বতঃস্ফূর্ত, সাবলীল। শুভঙ্কর ওরফে প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাথীর ভূমিকায় পূবালী বসুকে ভালো লাগে। কিছু প্রচলিত সুর ও অন্যান্য গানগুলি প্রত্যুষের কণ্ঠে শুনতে দারুণ লাগে। রানি মুখোপাধ্যায়, লক্ষ্মী হালদার ও সমীর ঘোষ অভিনীত যাত্রাটির পালাকার উৎপল রায়, নির্দেশক সমীর সেন। পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে যাত্রা দেখার স্বাদ আলাদা। সময়ের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘায়িত না করে গল্পটাকে আরও টাইট করা যেতে পারত। তাহলে দর্শক একঘেয়েমি কাটিয়ে সবটাই উপভোগ করত।
কলি ঘোষ