শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে একটা দেশ স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে। যা গোটা বিশ্বে পালিত হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হিসেবে, বাঙালি হিসেবে, রবীন্দ্রনাথ যে ভাষায় কাব্য রচনা করে নোবেল পেয়েছিলেন সেই ভাষায় কথা বলি বলে আমরাও এই গর্বের কিঞ্চিৎ শরিক হতে পারি। কিন্তু আর কত দিন? কারণ, ভাষা হিসেবে বাংলার গুরুত্ব কি ক্রমশ কমছে না? কাজি নজরুল ইসলামের এই ভাষা কি প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে না? এমনই মনে করে কিছু সংগঠন। তেমনই একটি সংগঠন ‘ডিজিটাল দমদম’। এরা ভাষা দিবসে খোলা আকাশের নীচে প্রদর্শন করল নাটক ‘কাগজের বাবা’। অংশুমান করের কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটকটি লিখেছেন অভি চক্রবর্তী। নাট্যটির সামগ্রিক পরিকল্পনা ও রূপায়ণে এই মুহূর্তে বঙ্গ রঙ্গমঞ্চের উল্লেখযোগ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু। যিনি দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেছেন দমদম অঞ্চলেরই বাসিন্দারা। ডিজিটাল দমদমের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালি বিরোধী এবং এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর-এর রূপকার হিসেবে নিন্দনীয়। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন সকল বাঙালির। সেই কথাই বলতে চায় ‘কাগজের বাবা’ নাট্যটি। ২১ ফেব্রুয়ারি দমদমের ক্লাব সমন্বয় সমিতিতে বিকেল চারটেয় নাট্যটি প্রদর্শিত হয়। এদিন নাটক শুরুর আগে ব্রাত্য বসু একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। তাতে তিনি এনআরসিসহ কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক জনবিরোধী নীতি গুলির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানব্রিাত্য জানান, নাটকটি ২২টি জেলাতেই প্রদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। নাটকটি ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
পাশাপাশি ভাষা দিবসের প্রাক্কালে নৈহাটির ঐকতান মঞ্চে একই দাবিতে বালিভাড়া গ্রামীণ শিল্পী সংসদ মঞ্চস্থ করে এনআরসি বিরোধী নাট্য ‘দেশ দে তু মোহে গেরুয়া’। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা শমিত ঘোষের।
নিজস্ব প্রতিনিধি