বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
হাসপাতাল সুপার অনঘ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিস প্রশাসনকে বলা হয়েছে। কথাও হয়েছে। ওঁরা বিষয়টি দেখছেন। ভোটের সময় সবাই ব্যস্ত ছিলেন। টোটোর বিষয়টি নিয়ে রোগীর পরিবারদের সতর্ক হতে হবে। তাঁরাও অনেকেই টোটো ভেতরে নিয়ে চলে আসছেন। সমস্ত বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাস্তব হল, জরুরি বিভাগের সামনে ‘নো পার্কিং জোন’ বোর্ড লাগানো আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করে রাখছেন। হাসপাতালের বিশ্রামাগার এবং সুলভ শৌচাগারের পাশেও টোটো, বাইক রাখা হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে খোলা আকাশের নীচে খাবারের অবাধে বিক্রি চলছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যে দোকানদারদের সরিয়ে দেওয়া হলেও ফের তাঁরা দোকান পেতে বসেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী থানার মেডতলা থেকে রোগী নিয়ে এসেছিলেন প্রতাপ ঘোষ। তিনি বলেন, হাসপাতালজুড়ে যেভাবে টোটো, মোটর সাইকেল, এবং অস্থায়ী দোকান বসেছে তাতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কেন না দু’ ধারে গাড়ি থাকলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তাতে মাঝেমধ্যে রোগী জরুরি বিভাগ নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পূর্বস্থলী বাসিন্দা থেকে ঝর্না ঘোষ বলেন, আমার শাশুড়িকে চিকিৎসার জন্য নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ভেতরে এই সব গাড়িরগুলো রেখে দেয় তাতে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়।
হাসপাতালে বাইরে দোকান মনা ঘোষ, সুব্রত ঘোষ এবং অমর ঘোষদের। ওঁরা জানান,আমরা তো হাসপাতালের বাইরে দোকানদারি করছি। হাসপাতালে আসা মানুষরাই আমাদের ক্রেতা। আমরা চাই হাসপাতালে পরিষেবা সচল থাকুক। বিষয়টি লিখিত ভাবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়টা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুপার। এসব সত্ত্বেও বেশ কয়েক বছর হাসপাতালের ভেতরে একটি সাইকেল গ্যারেজ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই গ্যারেজটিতে অন্যান্য যানবাহনও রাখা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র