গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বিজেপিও ময়দান ছাড়েনি। তাদের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ অনুগামীদের কাজে লাগিয়েছিলেন। রাজ্যের আদি নেতারা বর্ধমান এবং দুর্গাপুরে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন। তবে এবার নির্বাচনে আগের ধারা বজায় থাকলে এখান থেকে বিজেপিকে বিদায় নিতে হবে। এমনটাই বলছেন এলাকার বাসিন্দারা। নিজের চেনা ময়দান ছেড়ে এই কেন্দ্রে এবার লড়াই করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদেরও ময়দান অচেনা ছিল। তবে তাঁর দলের সৈনিকরা চেনা ময়দানে দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন। পুরনো রেকর্ডকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী। দিলীপবাবু বলেন, জিতেই গিয়েছি। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের ভোট নিজে দিয়েছেন। এই জিনিস বর্ধমান আগে দেখেনি। মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি-দাদাগিরির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি, এখানে পাঁচ বছরের জন্য থাকতে এসেছি। এখনও সেই কথাই বলছি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলা নেতাদের ভূমিকা নিয়ে দিলীপবাবু অসন্তুষ্ট। প্রকাশ্যে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ভোটের দিন তাঁকে ছাড়া অন্য কোনও নেতাকে সেভাবে ময়দানে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই তিনি বিভিন্ন বুথে গিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন। জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদও। ভোটের দিন তিনি বলেন, মানুষ দু’হাত ভরে আমাদের আশীর্বাদ করেছে। সেটা বিজেপি প্রার্থী বুঝে গিয়েছে। সেই কারণেই ভোটের দিন ওদের প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় এগিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়েছে।
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল অনেকেই আগাম আন্দাজ করছেন। কিন্তু বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে কী হবে, সেটা নিয়ে এখন জোরদার চর্চা চলছে। অনেকেই বলছেন পুরনো রেকর্ড এবারও বজায় থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।