আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক বিজেপির নানা ‘সাফল্যে’র কথা তুলে ধরছিলেন। কিন্তু বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁর প্রসঙ্গ উঠতে তিনি কিছুটা থমকে গেলেন। বললেন, ওঁর এলাকায় আসা উচিত ছিল। ওঁকে দেখাই যায়নি। এই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁর সংযোগ নেই। কাজও তেমন করেননি। সেই কারণেই দলকে খেসারত দিতে হবে।
ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিজের নাম জানাতে চাইলেন না। তবে তাঁর কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল এলাকার অনেকের কাছেই। গলসি-২ ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েত বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকায় প্রচার করে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ইড়কোনা গ্রামে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি প্রচারে আসেন। তিনি সেই গ্রামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর উপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার উপর অত্যাচার করা হয়েছে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। মা বোনেরা আমার উপর হওয়া এই অত্যাচারের জবাব দেবেন তো?
সুজাতা কার কথা বলছেন, তা বুঝতে এলাকার বাসিন্দাদের অসুবিধা হয়নি। তাই এই এলাকায় ‘নিখোঁজ’, ‘কাজ না করা’র পাশাপাশি বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। এতগুলি অভিযোগের ফলা মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে। যদিও বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাংসদ এলাকায় অনেক কাজ করতে চেয়েছিলেন। তৃণমূলের নির্দেশে প্রশাসন বাধা দিয়েছে। সমস্যায় পড়ে দাদাকে কেউ ফোন করলে সাহায্য পাননি, এমন মানুষ খুব কম আছে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাতটির মধ্যে আমরা তিনটি পঞ্চায়েতে লিড পেয়েছিলাম। এবার সাতটি পঞ্চায়েত থেকেই আমরা বেশি ভোট পাব। তৃণমূল সন্ত্রাস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাতে লাভ হবে না।
গলসি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সাবিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৯সালের নির্বাচনে এই এলাকা থেকে সার্বিকভাবে আমরা লিড পেয়েছিলাম। এবারও পাব। বিজেপি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেও কোনও কাজ করেনি। সাংসদ মানুষের পাশে থাকেননি। তাহলে ওদেরকে ভোট দেবে কেন?