ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
তমলুক শহরের জেলখানা মোড়, মিউনিসিপ্যালিটি মোড়, বর্গভীমা মন্দির, বড়বাজার, বাদামতলা হয়ে হাসপাতাল মোড়ে রোড শো শেষ হয়। হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ ও উন্মাদনায় ভাসেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড। প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে পাশে বসিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাত নেড়ে রাস্তার দু’ধারে জমায়েত সাধারণ মানুষকে নমস্কার করেন। এদিনের কর্মসূচিতে তমলুক লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী ও সুকুমার দে সহ অনেকেই অংশ নেন। তমলুক শহর ও গ্রামীণ এলাকা ছাড়াও নন্দকুমার, মহিষাদল, কোলাঘাট এলাকা থেকে মানুষজন এসেছিলেন।
নন্দকুমারের কুমোরচক গ্রামের বিপ্লব মাইতি, তমলুকের শ্রীরামপুর থেকে মিনতি পড়্যা প্রমুখ এদিনের কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। তাঁরা বলেন, আমরা আড়াই বছর ধরে একশো দিনের কাজে টাকা পাইনি। কেন্দ্রীয় সরকার সেই টাকা আটকে রেখেছিল। মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে সেই টাকা দিয়েছেন। তাই কৃতজ্ঞতা জানাতে এদিন রোড শোয়ে শামিল হয়েছি। আমাদের ওই এলাকায় আবাস যোজনায় নাম থাকা লোকজন টাকা না পেয়ে অনেক কষ্টে আছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনায় টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এর আগে কোনও সরকার গরিব মানুষের জন্য এতটা ভাবেনি।
২০২১ সালেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একই রুট ধরে তমলুক বিধানসভার তৎকালীন প্রার্থী সৌমেন মহাপাত্রের সমর্থনে র্যালি করেছিলেন। সৌমেনবাবু তমলুক বিধানসভায় ৭৯৩ ভোটে জয়ী হন। তারপর নবজোয়ার কর্মসূচিতে গোটা জেলায় ঘুরেছেন অভিষেক। শুক্রবার আবারও লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে দলীয় প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে রোড শো করলেন। রোড-শো শেষে অভিষেক জানান, তমলুক কখনও তাঁকে খালি হাতে ফেরাননি। বিধানসভার মতো লোকসভা ভোটেও তমলুক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। ৩০ জুনের আগে বিজয় উৎসব হবে।
আগামী ২২মে আবারও দেবাংশুর সমর্থনে নন্দীগ্রামে জনসভা করবেন অভিষেক। তমলুক লোকসভা আসনকে পাখির চোখ করেই এগচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দল এই আসন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। দলীয় কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া শাসকদলকে এই আসন নিয়ে আশাবাদী করে তুলেছে।