একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
রোড শো শেষে দেব বলেন, এদিনের রোড শো দেখে আমি নিশ্চিত, তৃণমূল এই আসনে জিতছে। বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য আসতে পারিনি। জানতে পারি, বহু মানুষ দুঃখ পেয়েছেন। তাই আজ এখানে চলে এসেছি। আমাদের দলের কর্মী সমর্থকদের যা উৎসাহ, সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা একথায় অভূতপূর্ব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরের নিউটনের জেসি বোস অ্যাভিনিউ থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত রোড-শো করার কথা ছিল দেবের। ঘন কালো মেঘ মাথায় নিয়ে বহু মানুষ রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রবল বৃষ্টিতে দেব আসতে পারেননি। মানুষের মন খারাপের খবর পৌঁছে যায় সুপারস্টারের কাছে। শুক্রবারই দুর্গাপুরে হাজির হন তিনি। বাকিটা ইতিহাস। দুর্গাপুরের দেবের প্রথম রোড শোয়ে পুলিসের তথ্য বলছে, ভিড় হয়েছিল ৩০ হাজার। ফের দেব আসছেন এই খবর নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে এদিন। তিনি আসার বহু আগে থেকে রাস্তার দু’পাশ জুড়ে মানুষের ভিড়।
দেবকে দেওয়ার জন্য চকোলেট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারও এসেছিলাম। বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরেছি। যেই শুনলাম এদিন দেব আসবে, আবার চলে এলাম। দুর্গাপুরের বাসিন্দা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেবের সিনেমা দেখার পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক ভাষণ শুনি। উনি অভিনেতা হিসেবে যেমন সফল, নেতা হিসেবেও যোগ্য। আমরা দেব ও তৃণমূলের পাশে রয়েছি।
এদিন দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেব যখন হুডখোলা গাড়িতে চাপলেন, তখন জনতার তীব্র গর্জন। তাঁর সঙ্গে হাত মেলার জন্য ১৬ থেকে ৪০ বছরের মেয়েরা ছুটছেন। কেউ তাঁর উদ্দেশে ছুড়ে দিচ্ছেন মালা, কেউ দিচ্ছেন ফুল। এদিন তাঁর সঙ্গে প্রার্থী কীর্তি আজাদ ছাড়াও ছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে ফেরা পড়ুয়াদেরও দেখা যায় দেবে রোড শোয়ে। আজ, শনিবার প্রচারের শেষ দিন। তার আগে শেষ বেলায় যেভাবে শাসক দলের প্রচারের হাইপ তুললেন দেব, তা বিরোধীদের হৃদস্পন্দন বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।