একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন দেবতনু ভট্টাচার্যর সমর্থনে সভা করতে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেই সভার আমন্ত্রণই পেলেন না দেবাশিসবাবু। তবুও এদিন তিনি চারচাকা গাড়ি করে সভাস্থলে এসেছিলেন। বিজেপির বেশকিছু পুরনো কার্যকর্তা থেকে সমর্থক তাঁর সঙ্গে হাত মেলান। কিন্তু জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব কেউই এগিয়ে এসে তাঁকে মঞ্চে আহ্বান জানাননি। কার্যত একরাশ বিষণ্ণতা নিয়ে অমিত শাহ আসার আগেই সভাস্থল ছাড়েন তিনি।
এব্যাপারে দেবাশিসবাবুকে ফোন করা হলে তিনি সাফ বলেন, দল আমন্ত্রণ করেনি বলেই আমাকে মঞ্চে দেখা যায়নি। যেহেতু দল আমাকে রাজ্য এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য করেছে। তাই কার্যকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
বিজেপির অনেকেই বলছেন, দেবাশিসবাবু টানা ১৫-২০ দিন প্রচার করেছেন। দল তাঁকে রাজ্য এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য করেছেন। তাঁকে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতার সভায় আমন্ত্রণ না জানিয়ে ভালো কাজ করলেন না জেলার নেতারা। সাধারণ ভোটারদের কাছে অন্য বার্তা যাবে। দলের জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য মুকুল মুখোপাধ্যায় বলেন, পার্টি যখন তাঁকে সাংগঠনিক পদে এনেছেন, তখন তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল। আমরা পুরনো কার্যকর্তা। আমাদের আমন্ত্রণ জানাল কী জানাল না, তাতে কিছু মনে করছি না। কারণ আমরা জানি এখানে কী চলছে। তিনি কর্তব্য মনে করে এদিন এসেছিলেন। তাঁকে সম্মান দিয়ে মঞ্চে বসানো উচিত ছিল। পার্টি এরকম অনেক কার্যকর্তাকে সম্মান দেয় না। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাকে ওরা আমন্ত্রণ জানাবে, কাকে জানাবে না, সেটা ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটা বলতে পারি, ওদের দলের নেতা কালোসোনা মণ্ডল একটি বিবৃতি দিচ্ছেন। আবার এদিনের ঘটনাতে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যিনি প্রার্থী ছিলেন, যাঁর নাম এখনও দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে, তাঁকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। এতে ওদের দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। যদিও এব্যাপারে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ওঁকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি রাজ্যের। ফলে আমি এবিষয়ে কিছু বলতে পারব না।