যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
গ্রামবাসীরা জানান, ২৫ বছর আগে গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া মরা নদীর উপর কালভার্ট তৈরি করা হয়। ১৫ বছর আগে বর্ষার সময় সেটির একদিক জলের তোড়ে ভেঙে যায়। তারপর থেকে সেটি ওই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে কালভার্টের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন আশপাশের তিন-চারটি গ্রামের বাসিন্দারা। সাঁকো দিয়ে কৃষকরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য ডোডেয়ারহাট পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে যেতে পারছেন না। কয়েক কিমি ঘুরে গাড়ি ভাড়া বেশি দিয়ে হাটে ফসল নিয়ে যেতে হচ্ছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে মরানদীর কুঠি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে থেকে শুরু করে বিধায়ক, ব্লক অফিসের নজরে এনেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা আনিল বর্মন, সঞ্জয় রায়, স্বপ্না বর্মন বলেন, ১৫ বছর ধরে একই অবস্থায় রয়েছে কালভার্টটি। বর্ষার সময় ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। কোচবিহার শহরের কাছে থাকা গ্রামেরই এই হাল। আমরা চাই, দ্রুত কালভার্টটি সংস্কার করা হোক।
তৃণমূলের ঢাংঢিংগুড়ি অঞ্চল সভাপতি অমিত দাস বলেন, পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। এলাকায় উন্নয়নে ওরা কোনও কাজ করছে না। যাতে কালভার্টের সংস্কার করা যায়, সেজন্য ব্লক নেতৃত্বের পাশাপাশি জেলা পরিষদের নজরে এনেছি। ঢাংঢিংগুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান মাম্পি সরকার দাস বলেন, আমরা এবারই দায়িত্ব পেয়েছি। আগে কী হয়েছে জানা নেই। তবে ওই কালভার্টটি সংস্কারের জন্য বিধায়কের নজরে এনেছি। ভোটের বিধিনিষেধ উঠে গেলে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র