ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
করিম চৌধুরী বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সভার বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি শুনতে পারছি সভায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ভাড়া করা হচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দলে নিয়েছেন। জেলায় গোড়া থেকে দলটা করি। নতুন যাঁরা বিভিন্ন দল থেকে আসছেন তাঁরা নিজেদের মতো করেই চলছেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা বাদ পড়ে যাচ্ছি। গঙ্গেশবাবু বলেন, নতুন জেলা সভাপতি হওয়ার পরে দলের কোনও মিটিংয়ে ডাক পাইনি। আমাদের মতো পুরনোদের একঘরে করে রাখা হচ্ছে।
এনিয়ে দলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ডালখোলায় দলের বর্ধিতসভায় গঙ্গেশবাবুকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। করিম সাহেব তো আগেই সবখানে বলে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবুর সভায় তিনি আসবেন না। এনিয়ে আমি আর কী বলব! গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, সভাটি যেহেতু আমার বিধানসভা এলাকায় হচ্ছে তাই অন্যান্য বিধায়কদের আমিই আমন্ত্রণ জানাব। করিম সাহেবকে ইনভাইট করেছি। তাঁর ছেলেকেও বলে দিয়েছি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর ডালখোলায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস একটি বর্ধিত সভা হয়। ওই সভায় এনআরসি ও দেশের আর্থিক সংকট নিয়ে কর্মসূচির বিষয়ে ব্লকের সমস্ত নেতাদের জানানো হয়। ওই সভাতেই সবাইকে শুভেন্দু অধিকারীর আজকের সভার বিষয়ে জানানো হয়।
পাঞ্জিপাড়ার রেগুলেটেড মার্কেট চত্বরে দুপুর দুটোয় সভা হবে। জেলার প্রতিটি ব্লক থেকেই নেতা-কর্মীদের সভায় আনা হচ্ছে। সেখানে ব্যাপক জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে দল। কিন্তু সভায় না যাওয়া নিয়ে করিম সাহেবের গোঁ ধরে বসে থাকা নিয়েও চর্চা কম হচ্ছে না।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ইসলামপুরের রাজনীতিতে করিম সাহেব একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। একসময় করিম ও কানাইয়া দু’জনেই কংগ্রেস করতেন। করিম সাহেব তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই মমতা বন্যোেসপাধ্যায়ের সঙ্গ ধরেন। কানাইয়া দলে যোগ দেন সম্প্রতি। কংগ্রেসে থাকাকালীন দু’জনের মধ্যে সদ্ভাব ছিল না। কানাইয়া তৃণমূলে যোগ দিলে করিম সাহেব তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন। গোঁসা করে তিনি দলও ছাড়েন। আবার দলনেত্রীর হাত ধরে দলে ফিরেছেন। বিধানসভা ভোটে দলের প্রার্থী হয়ে জিতেছেন। এই পর্বে কিছুদিন কানাইয়া-¬করিমকে একসঙ্গে দেখা গেলেও মধুচন্দ্রিমা স্থায়ী হয়নি। সম্প্রতি করিম সাহেব নিজেই উদ্যোগী হয়ে দলের ব্লক কমিটি ঘোষণা করে দিলে দু’জনের দূরত্ব আরও বাড়ে। সেই ট্র্যাডিশনই ইসলামপুরের রাজনীতিতে বজায় আছে।