গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
দিকের রাস্তায় গেলে গবেষকদের এনআরএস হোস্টেল। কে হোস্টেলের আবাসিক হলেও রোহিত আত্মহত্যা করেছিলেন এখানেই। সেই ঘটনা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। আট বছর পর সেই মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট জমা দিয়েছে হায়দরাবাদ পুলিস। সাফ জানানো হয়েছে, রোহিত ভেমুলা আদতে দলিত ছিলেনই না। তাঁর তফসিলি জাতি শংসাপত্র নকল ছিল। সত্যি সামনে চলে আসার ভয়েই এই আত্মহত্যা। মামলায় জড়িত সকলকে ক্লিনচিটও পেয়েছেন। তারপরেই ফের শুরু হয়েছে আন্দোলন। পরীক্ষার মধ্যেও ন্যায়বিচারের দাবিতে মিছিল করেছেন পড়ুয়ারা। দুপুরে প্রায় ফাঁকা নর্থ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বসে কথাগুলি বলছিলেন গোবিন্দ। এফএফআইয়ের এই ছাত্রনেতার কথায়, ‘পরিবারের অভিযোগ ছিল, রোহিত জাতপাতের ভেদাভেদের শিকার। ওঁকে মানসিক, শারীরিক অত্যাচার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি-র সদস্যরা। অথচ সেসব বাদ দিয়ে দলিত পরিচয় নিয়ে তদন্ত করল পুলিস। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, নতুন করে তদন্ত হবে। পরীক্ষা শেষ হলেই বড় কর্মসূচি নেওয়া হবে।’
আগামী ১৩ মে তেলেঙ্গানায় ভোটগ্রহণ। তার আগে শুধু পড়ুয়া নয়, ভোটের মুখে এই ইস্যুতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে নাগরিক সমাজ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি স্বয়ং। তিনি বলেন, ‘ক্লোজার রিপোর্ট জমা পড়েছিল ২০১৯ সালে। সম্প্রতি তা আদালতের কাছে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি জানা মাত্র পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। অপরাধীরা শাস্তি পাবেনই।’ সরকারের এই ভূমিকায় সরব স্থানীয়রা। জুবিলি হিলসের বাসিন্দা এমজি আদিত্যর কথায়, ‘এটা একটা কথা! রিপোর্ট জমা পড়ল, আর সরকার জানল না! আর কারা ছাড় পেল? সবই তো গেরুয়া শিবিরের লোকজন। কিছু পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপার নেই তো?’ সেকেন্দ্রাবাদের বাসিন্দা রামবাবু অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ভরসা রাখছেন। তবুও বলছেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধীর পাশে দেখা গিয়েছিল রোহিতের মাকে। এবারের ভোটে তো উনি ন্যায়ের কথা বলছেন। সেখানে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এমন রিপোর্ট বেশ অস্বস্তির।’
বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের মুখপাত্র প্রভাকর রেড্ডি জানান, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু তার থেকেও দুর্ভাগ্যজনক যে কংগ্রেস এটা নিয়ে রাজনীতি করেছে। রাহুল গান্ধী সেসময় নিজে দু’বার ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। ঘটনাটিকে রাজনীতির ইস্যু বানাতে যা যা প্রয়োজন, সব করেছিলেন। এখন রাহুল গান্ধী যদি ঠিক হন, তাহলে পুলিস রিপোর্ট ভুল। আর যদি রিপোর্ট ঠিক হয়, তাহলে উনি ভুল। যা-ই হোক, কংগ্রেস নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না।’
রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর সময় তেলেঙ্গানার গদিতে ছিল বিআরএস। বর্তমানে সরকার পাল্টে কংগ্রেস ক্ষমতায়। মাঝে কেটেছে আট বছর। শুধু মেলেনি সুবিচার। ভোট-রাজনীতিতে একটা ইস্যু হয়েই ঘুরপাক খাচ্ছে রোহিতের আত্মহত্যা। ন্যায়বিচার মিলবে কবে?.