সংবাদদাতা, বনগাঁ: ঠাকুর বাড়িতে এসে মতুয়াদের গ্যারান্টি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২০ মে বনগাঁ আসনে ভোট। তার আগে ভোট প্রচারে এসে ফের মতুয়াদের গ্যারান্টি বিলি করে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করলেন দেশের স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার বনগাঁয় নির্বাচনী সভা করতে আসেন শাহ। আরএস ক্লাবের মাঠে দলীয় প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে সভা করেন তিনি। মতুয়া গড়ে এসে মতুয়া ভোট টানতে মরিয়া চেষ্টা করেন শাহ। নাগরিকত্ব ইস্যুতে মতুয়া মন পেতে সিএএকেই হাতিয়ার করেন তিনি। এদিন শাহ মতুয়াদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি মতুয়াদের আশ্বস্ত করতে এসেছি। সকলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করুন। আমি গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছি, কোনও সমস্যা হবে না। সকলে নাগরিকত্ব পাবেন। সম্মানের সঙ্গে দেশে থাকবেন।’ এদিন নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে সভা মঞ্চে পৌঁছন শাহ। প্রথমেই হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুর ও বড়মা বীণাপাণি দেবীকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। বনগাঁ শহরের বেশ কয়েকটি মন্দিরের নামও শোনা যায় শাহের মুখে। নাগরিকত্ব ইস্যুতে এদিন শাহ বলেন, বাংলায় ৩০টি আসন পেলে শান্তনু ঠাকুর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ করবে। সকলে আবেদন করুন। সমস্যা হলে শান্তনু ঠাকুরের কাছে যান সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, সিএএ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মতুয়া সমাজকে নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি। এটা কেন্দ্রের বিষয়। এরপর অনুপ্রবেশ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে শাহ বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধ নাগরিকত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। অথচ মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে তারা।
২০১৯ ভোট পর্বে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে দু’হাত ভরে বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছিল মতুয়ারা। ২০২৪ ভোটের আগে দেশে সিএএ চালু করে মোদি সরকার। এতে মতুয়াদের একাংশ খুশি হলেও একাধিক শর্ত আরোপ হওয়ায় মতুয়াদের রোষের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। বিক্ষোভে শামিল হয় মতুয়াদের একাংশ। এরই মধ্যে মতুয়াদের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয় তৃণমূল। ভোট প্রচারে সিএএ ইস্যুকে হাতিয়ার করে তারা। বনগাঁয় মতুয়া গড়ে কিছুটা হলেও কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিজেপি। এদিন মতুয়াদের সেই ক্ষোভে অমিত শাহ ‘গ্যারান্টি’ প্রলেপ দিয়ে গেলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।