Bartaman Patrika
রাজ্য
 

পুরীর রথযাত্রায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু

সুমন গুপ্ত :  পটভূমি রচনা করাই ছিল। শুধু সময়ের অপেক্ষা। বঙ্গদেশ থেকে পুরীধামে আসবেন এক নবীন সন্ন্যাসী। তাঁর কৃষ্ণপ্রেমের জোয়ারে ভাসবে জগন্নাথপুরী। জগন্নাথদেবের রথযাত্রাকে ঘিরে আনন্দ আর আতিশয্য ছিল ঠিকই, কিন্তু তাতে ভক্তিস্রোতের বানভাসি কোনও রূপ কেউ দেখেনি। ওই নবীন সন্ন্যাসীর অংশগ্রহণে পুরীর রথযাত্রার অনির্বচনীয় দৃশ্যে আকুল হয়েছে অগণিত মানুষ। তিনি আর কেউ নন, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। ইংরেজির ১৫০৯ খ্রিস্টাব্দ। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষ। চব্বিশ বছর পূর্ণ হওয়ার মুখেই সন্ন্যাস নিলেন নবদ্বীপের নিমাই পণ্ডিত। মতান্তরে ১৫১০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মাঘ ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁর সন্ন্যাসগ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর সন্ন্যাস নাম হল ‘শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ভারতী।’ মুণ্ডিত মস্তক, গেরুয়া বসনধারী এক দিব্যপ্রাণ। কৃষ্ণপ্রেমে পাগল শ্রীচৈতন্যের পুরীতে আসার সবথেকে বড় কারণ, প্রভু জগন্নাথদেব। শ্রীকৃষ্ণই তাঁর জগন্নাথস্বামী। ‘জগন্নাথঃস্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।’ প্রতিদিন জগন্নাথ দর্শনের পরম সৌভাগ্য থেকে লেশমাত্র নিজেকে বঞ্চিত করতে চাননি চৈতন্যদেব। মাঘ মাসে সন্ন্যাসগ্রহণ, তারপর ছত্রভোগের পথ ধরে নীলাচলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন মহাপ্রভু। রেমুনা থেকে যাজপুর, সেখান থেকে কটক, তারপর ভুবনেশ্বরের পথ ধরে পুরীতে পৌঁছলেন। অবশ্য তাঁর এই যাত্রাপথ নিয়েও মতদ্বৈধ রয়েছে।
নীলাচলে এই প্রথম জগন্নাথ-দর্শন শ্রীচৈতন্যের। আর প্রভুকে দর্শন মাত্রই স্তব্ধ, প্রেমাবিষ্ট হলেন তিনি। দু’চোখে তাঁর আনন্দাশ্রু। প্রাণের ঠাকুরকে আলিঙ্গন করার জন্য দারুবিগ্রহকে লক্ষ্য করে যে মুহূর্তে ছুটে যেতে চাইলেন সঙ্গে সঙ্গে মূর্ছিত হয়ে পড়লেন। ‘হায় জগন্নাথ’ বলে যখন মূর্ছিত হয়ে পড়ে গেলেন, সেই মুহূর্তেই মহাপ্রভুর অনন্ত কৃষ্ণভাব জগন্নাথদেবের শ্রীঅঙ্গে চিরতরে বিলীন হয়ে গেল। শুধু রাধাভাব রয়ে গেল তাঁর। শ্রীরাধিকার সেই কৃষ্ণপ্রেমই কলিযুগে এক আশ্চর্য ভক্তিমার্গের দিশা খুঁজে পেয়েছে অবতার স্বরূপ শ্রীচৈতন্যের হৃদয়ে। চব্বিশ বছর বয়সে সন্ন্যাস। জীবনের বাকি চব্বিশ বছরের মধ্যে আঠারো বছরই পুরীতে অতিবাহিত করেন শ্রীচৈতন্য। বাকি ছয় বছরে দাক্ষিণাত্য মথুরা, বৃন্দাবন সহ ছয়টি ধর্মযাত্রা। ‘অষ্টাদশ বর্ষ কৈল নীলাচলে স্থিতি।/ আপনি আচরি জীবে শিখাইল ভক্তি।।’ (শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত)
পুরীর রথযাত্রার আজ যে এত খ্যাতি তার প্রধান কারণ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে এই রথযাত্রা এক অনন্য মর্যাদা লাভ করে। শ্রীচৈতন্যকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থে সেকথা সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষ করে ষোড়শ শতকের বঙ্গদেশের বাঙালিরা পথের বিপদ-আপদ তুচ্ছজ্ঞান করে পুরীর রথযাত্রায় যোগদান করেছেন একমাত্র মহাপ্রভুর আকর্ষণে। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের লোকজন বারবার ছুটে গিয়েছেন পুরীর রথে।

এমনকী ‘পথি বিবর্জিতা নারী’ এই আপ্তবাক্যকে পরোয়া না করে বিপদসংকুল পথ নির্ভয়ে অতিক্রম করে পুরীর রথে শামিল হয়েছেন সে যুগের মহিলারাও। কারণ, সেই এক। জগন্নাথদেব এবং শ্রীচৈতন্যের অমোঘ আকর্ষণ। মহাপ্রভুও অপার আনন্দলাভ করেছেন ভক্তদের সান্নিধ্যে।
চৈতন্যদেবের নিত্যলীলা নীলাচলে। তাঁর দৈবলীলা চাক্ষুষ করে ধন্য নীলাচলবাসী। মহাপ্রভুর হঠাৎ ইচ্ছা হল যে, তিনি আসন্ন রথযাত্রায় গুণ্ডিচা মন্দির-মার্জনা সেবা করবেন। তিনি মনে করেন গুণ্ডিচা মন্দির যেন সেই বৃন্দাবন যেখানে রাধাকৃষ্ণের পারস্পরিক ভক্তিরসের মিলন হয়েছিল। মহাপ্রভু নিজেও রাধাভাবে বিভাবিত। বৃন্দাবনসম ওই গুণ্ডিচা মন্দিরেই শ্রীকৃষ্ণকে আবার নিজের মতো করে পাবেন তিনি। পুরীর মন্দির হচ্ছে জগন্নাথদেবের ঐশ্বর্যলীলার প্রতীক। তিনি হলেন রাজাধিরাজ। এই মন্দিরে তাঁর পুজো-অর্চনা, ভোগ, বেশবাস সব কিছুতেই বৈভবের ছড়াছড়ি। গুণ্ডিচা মন্দির হল জগন্নাথদেবের মাধুর্যলীলার প্রতীক। রথযাত্রায় জগন্নাথরূপী শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকা থেকে বৃন্দাবনে যান।
গুণ্ডিচা মন্দির শ্রীকৃষ্ণের কুঞ্জবন। সেই কুঞ্জবনে তাঁর শুভাগমন হবে। ‘কাল আসবে প্রাণবন্ধুয়া/ আজ কুঞ্জ সাজ গো।’ যত দ্রুত সম্ভব এই কুঞ্জবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা একান্ত দরকার। সেই কাজটিই সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ব্যগ্রতার শেষ নেই মহাপ্রভুর। পরদিন প্রভাতেই সঙ্গীসাথীদের নিয়ে গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছে গেলেন। ইতিমধ্যে জগন্নাথ মন্দিরের এক পরিছা গুণ্ডিচা মন্দিরে একশো মাটির ঘট আনিয়ে রেখেছেন। গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছানোর পর শ্রীচৈতন্য প্রত্যেকের হাতে তুলে দিলেন একটি করে মার্জনী। তিনিই প্রথমে মন্দিরের অভ্যন্তর মার্জন শুরু করলেন। যে রত্নবেদিতে জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও সুভদ্রা বিরাজ করবেন সেই বেদিটিও নিজের হাতে মার্জন করলেন। এখন একে শোধন করা বলে।
সঙ্গীসাথীরা কে কতটা কাজ করছে সেদিকেও তীক্ষ্ণ নজর মহাপ্রভুর। ‘প্রভু কহে কে কত করিয়াছে মার্জন/ তৃণ-ধূলি পরিমাণে জানিব পরিশ্রম।’ কীভাবে কত সুন্দর করে মার্জন করা সম্ভব সেটা ভক্তদের নিজেই দেখিয়ে দেন। কৃষ্ণনামের সঙ্গে মন্দির মার্জনের কাজ পুরোদমে চলতে থাকে। কেউ ভালোভাবে মার্জন করছে দেখে মুক্তকণ্ঠে তার প্রশংসা করেন মহাপ্রভু। আবার কেউ ফাঁকি দিচ্ছে দেখলে মৃদু হেসে তাকে ভর্ৎসনাও করেছেন। শ্রীচৈতন্যই কর্তব্য পালনের গুরুত্ব সম্বন্ধে শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর মার্জনের ধরন এতটাই নিখুঁত যে, সূক্ষ্মধূলি, তৃণ, কাঁকর সব দূরীভূত হল। ‘ভালমত শোধ সব প্রভুর অন্তঃপুর।’
ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবরের জলে গুণ্ডিচা মন্দির দু’বার শোধন করার পর চৈতন্যদেব তাঁর পরিধেয় বস্ত্রের অংশ দিয়ে রত্নবেদি প্রক্ষালন করলেন। ভক্তরাও হাতে হাতে জলভরা ঘট এগিয়ে দেন মহাপ্রভুকে। ‘কেহ জলঘট দেয় মহাপ্রভুর করে।/ কেহ জল দেয় তাঁর চরণ উপরে।।’’ গুণ্ডিচা মন্দির ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ায় শ্রীচৈতন্যের মনে আনন্দ ধরে না। কুঞ্জবন প্রস্তুত। কৃষ্ণের কথা ভাবতে ভাবতে মহাপ্রভু মহাভাবে বিভোর।
রথযাত্রার দিন ব্রাহ্মমুহূর্তে শয্যাত্যাগ করলেন চৈতন্যদেব। ভক্তগণসহ স্নান-প্রাতঃকৃত্যাদি সারলেন। অহরহ শ্রীমুখে কৃষ্ণনাম তাঁর। ভক্ত পরিবৃত কলিযুগের কৃষ্ণাবতার এসে উপস্থিত হলেন মন্দিরের সিংহদ্বারের সামনে। জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে তখন রথে তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই মহা আয়োজন অত্যন্ত প্রসন্ন মনে দেখতে থাকেন মহাপ্রভু। ইতিমধ্যে রাজা প্রতাপরুদ্র সোনার ঝাড়ু দিয়ে জগন্নাথদেবের যাত্রাপথ পরিষ্কার করতে শুরু করেছেন। চন্দন মিশ্রিত জলে পথ ধোওয়ানো হচ্ছে। আর এইসব দৃশ্য অবলোকন করে মহাপ্রভুর মনে আবারও মহাভাবের উদয় হয়। তিনি ‘মণিমা’ বলে উচ্চধ্বনি করে ওঠেন। ওড়িয়াতে ‘মণিমা’ কথার অর্থ প্রভু। শ্রীচৈতন্য বেশিরভাগ সময় একটা ঘোরের মধ্যে থাকতেন। এ হল এক অপূর্ব দিব্যোন্মাদ অবস্থা!
তিনটি রথেরই সাজসজ্জা দেখে লোকজনের মনে আনন্দের শেষ নেই। নানা রঙিন বস্ত্রে রথগুলি বিভূষিত। রথের মাথায় পতাকা উড়ছে। ‘লীলায় চড়িলা ঈশ্বর (জগন্নাথদেব) রথের উপর/ আর দুই রথে চড়ে শুভদ্রা হলধর।’ ‘জয় জগন্নাথ’ বলে জগন্নাথদেবের নামে জয়ধ্বনি করে ওঠে কয়েক হাজার ভক্ত। রথযাত্রার এই বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে পাঁচশো বছর আগে চৈতন্যের যুগেও জনসাধারণের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় কোনও ঘাটতি ছিল না।
রথাযাত্রার শুভমুহূর্ত সমাগত। দুন্দুভি বাজল। কাঁসর-ঘণ্টা বাজল। মহাপ্রভু ভক্তদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দিলেন। প্রত্যেকের গলায় পরিয়ে দিলেন ফুলের মালা পরমানন্দপুরী, ভারতী ব্রহ্মানন্দ, অদ্বৈত আচার্য, নিত্যানন্দপ্রভু এঁরা মহাপ্রভুর পাশে। যাঁরা কীর্তন করবেন তাঁদেরও মালা-চন্দন দিলেন মহাপ্রভু। এঁদের দলনেতা স্বরূপ দামোদর ও শ্রীবাস। চার সম্প্রদায়ের ছয়জন করে মোট ২৪ জন গায়ক। দু’জন করে চার সম্প্রদায়ের মোট ৮ জন মৃদঙ্গবাদক। ৩২ জনকে চারটি দলে বিভক্ত করা হল মহাপ্রভুর ইচ্ছাতেই। রথের আগে চার সম্প্রদায়ের কীর্তনীয়ারা গাইছেন আর নৃত্য করছেন। রথের দু’পাশে আরও দুই সম্প্রদায়ের লোকজন নৃত্যরত। রথের পিছনে অন্য একটি সম্প্রদায়ের লোকজন। সাত সম্প্রদায়ের চোদ্দোটি মাদল বাজতে থাকে। মহাপ্রভুও মহানন্দে ‘হরি হরি’ বলে ওঠেন। ‘জয় জগন্নাথ’ বলে নাচতে থাকেন। ধীরে ধীরে রথ এগিয়ে চলে।
পাঁচশো বছর আগে পুরীর মন্দির থেকে গুণ্ডিচা মন্দিরের যাত্রাপথ তো আর আজকের মতো ছিল না। দু’পাশে তাল আর নারকেল গাছ। অন্য গাছগাছালি। ফুলের বাগান যেন শ্যামলিমায় ঢাকা প্রাচীন বৃন্দাবনেরই ভক্তিরসসিক্ত ভক্তজনের পথ। এই রথযাত্রায় রাজা প্রতাপরুদ্রকে বুকে টেনে নেন শ্রীচৈতন্য।
মহাপ্রভুর নৃত্য-গীত দেখে জগন্নাথের রথটানা মাঝে মাঝেই থেমে যায়। পথে ভিড় করা লোকজন অনিমেষ নয়নে শ্রীচৈতন্যের দিকে তাকিয়ে। আনন্দে বিহ্বল তারা। কৃষ্ণপ্রেমে উচ্ছল সকলের মনপ্রাণ। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে রয়েছে— ‘উদ্দণ্ড নৃত্যে প্রভুর অদ্ভুত বিকার।/ অষ্ট সাত্ত্বিক ভাবোদয় হয় সমকাল।।/ কভু স্তম্ভ কভু প্রভু ভূমিতে পড়য়।/ শুষ্ককাষ্ঠসম হস্ত পদ না চলয়।’ আবার রথের রশিতে টান পড়ে। নৃত্যগীত সহযোগে ভক্তদের শোভাযাত্রাও এগিয়ে চলে আর এদিকে জগন্নাথে মগ্ন মহাপ্রভু দু’হাত মাথায় তুলে নাচতে নাচতে এগিয়ে চলেন। ‘নাচিতে নাচিতে প্রভুর হৈল ভাবান্তর/ হস্ত তুলি শ্লোক পড়ে করি উচ্চস্বর।’ উল্টোরথেও সেই একই চৈতন্যময় চিত্র।

04th  July, 2019
পুরুলিয়ায় বাসস্ট্যান্ডের কাছে পথ দুর্ঘটনায় হত ১, জখম ৩

ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। জখম আরও তিনজন। গতকাল, শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধুতটি বাসস্ট্যান্ডের কাছে। এক  সাইকেল আরোহীর সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষের জেরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিশদ

ওটির মোচ্ছব ভিডিও করে কোপে অভয়া! সিবিআইয়ের নয়া দাবিতে তোলপাড়

আর জি কর হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে চলত দেদার ফূর্তি, খানাপিনা। মদ-মাংস, সঙ্গে নাচগান। ডেকে পাঠানো হতো তরুণী ইন্টার্ন কিংবা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিদের (পিজিটি)। সেই মোচ্ছবের ভিডিও তোলাই কি কাল হল ‘অভয়ার’? এই কারণেই কি সন্দীপ বাহিনীর কোপে পড়েন তিনি? অন্যান্য নানা সম্ভাবনার পাশাপাশি এই প্রশ্নগুলিই এখন ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। বিশদ

আইনি জটিলতা: জামিন পেয়েও জেলে অনুব্রত

জামিন পেয়েছেন শুক্রবার। কিন্তু আইনি জটিলতায় শনিবারও তিহার জেল থেকে বেরতে পারলেন না অনুব্রত মণ্ডল। সম্ভবত জামিন পাওয়ার পরেও দু’দিন জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। সোমবার বিকেলে তিহার থেকে মুক্ত হতে পারেন তিনি। বিশদ

দুর্গাপুজোয় বাঙালির পাতে পড়বে পদ্মা-মেঘনার ‘রুপোলি ফসল’, কাঁটাতার পেরিয়ে আসছে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ

দুর্গাপুজো পর্বে বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে সুখবর! কাঁটাতারের বেড়া টপকে পদ্মা-মেঘনার ‘রুপোলি ফসল’ ইলিশ আসছে এপারে। বিস্তর টালবাহানার পর বাংলাদেশের নতুন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রালয় শনিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। বিশদ

বাংলায় দুর্যোগ নিয়ে কেন্দ্রের দায়সারা উত্তরে ক্ষুব্ধ নবান্ন

বানভাসি বাংলা। রাজ্যকে না জানিয়ে একধাক্কায় আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দেওয়ায় জলের তলায় চলে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের গ্রামের পর গ্রাম। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বাংলায় দুর্যোগের আবহে কেন্দ্রের এমন গা ছাড়া আচরণে সরাসরি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল রাজ্য। বিশদ

দেশজুড়ে কুকুরের কামড়ের ঘটনা দু’বছরে বেড়ে দ্বিগুণ

প্রতি ঘণ্টায় দেশের সাড়ে তিনশো জন মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। ওই তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় কুকুরের হামলার ঘটনা ২০২৩ সালে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বিশদ

লাইনের ফিস প্লেট-প্যান্ড্রোল ক্লিপ খোলা, সুরাতে বড় দুর্ঘটনা এড়াল রেল

খুলে রাখা ফিস প্লেট। ইতিউতি ছড়ানো প্যান্ড্রোল ক্লিপ। এমনকী চাবিও। শনিবার রেললাইনের এমনই ছবি দেখা গিয়েছে গুজরাতের সুরাতে। রেলের দাবি, লাইনে গোলযোগ ঘটিয়ে বড়সড় নাশকতার চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। বিশদ

ইমার্জেন্সি বন্ধ রেখে আন্দোলন সমর্থন করেন না ৮২ শতাংশ রোগীর পরিজন

হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা কি তাহলে এরপর থেকে হওয়া উচিত ইমার্জেন্সি সহ সমস্ত পরিষেবা বন্ধ? সম্প্রতি জুনিয়র ডাক্তারদের একরোখা আন্দোলনে যেহেতু কিছু ফল মিলেছে, তাতে কি তাঁদের কাজ বন্ধের উৎসাহ বেড়ে গেল? বিশদ

‘বিচারের বাহানায় ৪০ দিন ধরে ভুগছি আমরা’, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রৌঢ়

‘ছ’দিন ধরে হাসপাতালেই পড়ে আছি। স্ত্রীর কয়েকটা টেস্ট রয়েছে। কিন্তু সেই টেস্ট কবে, কোথায় গিয়ে করাতে হবে, তা লিখে দেওয়ার ডাক্তারই নেই হাসপাতালে। বিচার চাওয়ার বাহানায় দিনের পর দিন ধরে কর্মবিরতি চলল। মাঝখান থেকে ৪০ দিন ধরে ভোগান্তির শিকার হতে হল আমাদের মতো রোগীদের।’  বিশদ

‘শহুরে আবাস’ প্রকল্পে রাজ্যের ১৯০ কোটি ছাড়ল মোদি সরকার

কাজে গরমিলের অভিযোগ! এই অজুহাতেই প্রায় তিন বছর ধরে বাংলাকে গ্রামীণ আবাসের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্যের অনুরোধে মোদি সরকার এই খাতে টাকা ছাড়ার ব্যাপারে এক পা এগিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির কথায় তা ফের আটকে গিয়েছে বলে অভিযোগ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশদ

মোবাইল গেম নিয়ে বচসা, পাসওয়ার্ড হাতাতেই খুন! কৃষ্ণনগরে আটক দুই নাবালক

মোবাইল গেমের বদলে ফেলা নতুন আইডি পাসওয়ার্ড বন্ধুকে ফেরত দিতে চায়নি নবম শ্রেণির ছাত্র প্রীতম বিশ্বাস। সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজের নতুন ফোনে তা দিয়ে ভিডিও গেম খেলত সে। দশম শ্রেণির এক বন্ধু তাকে একাধিকবার তার আইডি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। বিশদ

দিনভর জেরার মুখে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ-অভীক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ডাঃ বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, ডাঃ অভীক দে ও আর জি করের রেডিওলজিস্ট ডাঃ সৌরভ দত্তকে শনিবার দীর্ঘক্ষণ মুখোমুখি বসিয়ে দফায় দফায় জেরা করল সিবিআই। বিশদ

এটা প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়! পারমিটহীন বাস নিয়ে রিপোর্ট দেখে ক্ষোভ হাইকোর্টের 

হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শহর কলকাতায়  রুট পারমিট ছাড়াই বাস চলছে। বিষয়টি নিয়ে এপ্রিল মাসে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। অবশেষে সেই রিপোর্ট জমা পড়লেও, তা দেখে যারপরনাই ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের মন্তব্য ‘এটা আদালতের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।’ বিশদ

সার্বিক খরচ চালানোর কম্পোজিট গ্রান্ট না পেয়ে বিপাকে বহু স্কুল

প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রচারের পিএমশ্রী প্রকল্প চালুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেনি রাজ্য সরকার। এর জেরে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের টাকা পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যে আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। বিশদ

Pages: 12345

একনজরে
লেবাননে ধারাবাহিক পেজার বিস্ফোরণে নাম জড়াল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। আদতে কেরলের ওয়েনাড়ের বাসিন্দা রিনসন জোসে নামে ওই ব্যক্তি এখন নরওয়ের নাগরিক। অভিযোগ উঠেছে, লেবাননের জঙ্গি ...

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি অফিসে রক্তদান শিবিরে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হলেন মোরাদাবাদের মেয়র বিনোদ আগরওয়াল। ...

শুক্রবার রাতে কুলটি থানার চিনাকুড়িতে ফের শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা নুনিয়াকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, দু’টি বাইকে চারজন এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ...

বিপদ কাটতেই চাইছে না। ভূতনিতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল। শনিবার একলাফে গঙ্গা নদীর জলস্তর ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫.১৭মিটার। চরম বিপদসীমা একেবারে ছুঁইছুঁই অবস্থা দেখে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গণ্ডার দিবস


১৪৯৯: বাসেল চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে
১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৫৯৯: লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪ জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন, এভাবেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে উঠে
১৭৩৫: ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন রবার্ট ওয়ালপোল
১৭৯১: ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৬২: আব্রাহাম লিঙ্কন ক্রীতদাসদের মুক্তির আদেশ সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫:  নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২:  নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থিলান সামারাবীরার জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৮৩: বিপ্লবী তথা সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের মৃত্যু
১৯৮৪:ব্রাজিলীয় ফুটবলার থিয়াগো সিলভার জন্ম
১৯৯১: মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী পদ্মশ্রী দুর্গা খোটের মৃত্যু
১৯৯২: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার মৃত্যু
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা, মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু
২০১১: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ২৫/৩৮ দিবা ৩/৪৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৩/৫৫ রাত্রি ১১/৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ৯/১৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/৩২ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/১৮। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: জয়ী এনপিপি নেতা অনুরা কুমারা দেশনায়েক

10:27:43 PM

কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হল অনুদান
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটিগুলির হাতে তুলে দেওয়া হল দুর্গাপুজোর ...বিশদ

09:56:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-২ গোলে হারাল কেরল

09:32:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ১ (৬৩ মিনিট)

08:53:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৬০ মিনিট)

08:50:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-কেরল ০ (৫৩ মিনিট)

08:43:00 PM