ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আর গঙ্গরামপুরে সভা সেরে এদিন মমতার নির্বাচনী প্রচারপর্ব শেষ করার রুটিনে ছিল বহরমপুর। বেলা ১২টা থেকে যে জমায়েত শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে প্রথম দিকে বেশ অস্বস্তিতে ছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বেলা আড়াইটে নাগাদ জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী আসার পর মাঠ ভরতে শুরু করে। পৌনে চারটে নাগাদ মমতার চপার যখন বহরমপুরের আকাশে, পিলপিল করে মানুষ এসে উপচে দিল সভাস্থল। আজ, শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মমতার সভা নদীয়ার পাগলাচণ্ডীতে। ভোট যুদ্ধে বিপরীত শিবিরের এই দুই নেতা-নেত্রীর দ্বৈরথ শনিবার কী আকার নেয়, এখন তার জন্যই মুখিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীই এদিন ছিলেন মমতার টার্গেট। এখানে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া আর পদ্মফুল শিবিরকে আরও শক্তিশালী করা সমার্থক কেন, তার ব্যাখ্যা দেন তিনি। অধীরের নাম না করে বলেন, কেন বলছি কংগ্রেসকে ভোট না দেওয়ার কথা? কারণ, বিজেপির সমর্থনে ওরা ভোটে জিততে চায়। তাঁর প্রশ্ন, কেন তুমি সকালে বিজেপি, দুপুরে কংগ্রেস আর রাতে সিপিএম? জনতার কাছে তাঁর আর্জি, এই সব সুবিধাবাদী নেতা কী করছেন জানেন? একটু সিপিএম, একটু বিজেপি’র সঙ্গে ফিসফাস আর কানাঘুষো। সাহায্যের আবেদন। কেন এসব! কংগ্রেসের হয়ে জিতে আসুন না দেখি। সুর চড়িয়ে মমতার আস্ফালন— টিম টিম করে জ্বলছে। এবার স্রেফ নিভে যাবে।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এখানে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, মোদিবাবু-অমিত শাহ আর এজেন্সিগুলো পিছনে লেগেছে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই চালাচ্ছি, তাই আমাদের বিরুদ্ধে লেগেছে। আরে যতই যা কর, ভোট তো দেবে সাধারণ মানুষ। প্রত্যয়ী মমতার দাবি, এখনও পর্যন্ত পাঁচটা আসনে ভোট হয়েছে। পাঁচটাতেই জিতব। আগামীতে যা হবে, তাতেও জিতব। কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে এখানে লাভ কী? রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব- যেখানে ওরা শক্তিশালী সেখানে লড়ুক। এখানে তৃণমূল স্ট্রং। আমরাই লড়াই করি বিজেপি’র বিরুদ্ধে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমাদের ওয়ান পয়েন্ট প্রোগ্রাম, মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও। আর এই সঙ্কল্পকে সাফল্যের মুখ দেখাতে হলে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং আরএসপি- কাউকে ভোট দিলে হবে না।
গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয় নরেন্দ্র মোদি আর তাঁর সেনাপতি অমিত শাহের নাম না করে মমতার কটাক্ষ, দিল্লির গদি তো টলমল করছে। আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাবিস বাংলা। উঁকি-ঝুঁকি মারছে, এখান থেকে সিট চাই। ছেলের হাতের মোয়া যেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, ওরা (বিজেপি) সরকার গড়বে কোথা থেকে? কোথায় পাবে আসন? সরকার গঠনে এবার আঞ্চলিক দলগুলিই বড় ভূমিকা পালন করবে। ওরা সেটা জানে, তাই হিন্দু-মুসলমানে ভাগাভাগি করছে। গদা-তরোয়াল নিয়ে ঘুরছে। এটা হিন্দু ধর্ম নয়। হিন্দু ধর্ম মানে মানবিকতা, মানুষে মানুষে লড়িয়ে রক্ত ঝরানো নয়। করতালি আর জনতার উচ্ছ্বাস তখন গোটা সভাস্থলে।