গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ
এদিন সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অভিষেক বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন। বলেন, ‘লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংসদ ছিলেন। ক’দিন তাঁর দেখা পেয়েছেন? যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ ছিল, ঘর তৈরির টাকা আটকে দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি হুগলির গরিব ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য মুখ খুলেছিলেন?’ তারপরই তিনি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘সাহস থাকলে একটি সভার আয়োজন করুন। সেখানে আপনি কাজের খতিয়ান দেবেন। আমিও দেব। আপনি ১০ পয়সার বাড়তি কাজ হুগলিতে করেননি। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে এনে একটি প্রকল্প হুগলির মানুষকে দেননি। মানুষের উন্নয়নে যা কাজ করার, আমরাই করেছি। চ্যালেঞ্জ রইল, সত্যিকারের উন্নয়ন দেখাতে পারলে আমি দলের হয়ে ভোট চাইব না।’ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও লকেটকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘আপনার দলের নেতারা বলছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবেন। আপনি প্রতিবাদ করেছেন? মা-বোনেরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর আপনাকে ভোট নয়। মনে রাখবেন, আমাদের দলের রত্না দে নাগ যখন হুগলির সাংসদ ছিলেন, তখন টাকা আটকে দেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হয়নি। লকেটদেবী জিতলেন, আর টাকাও বন্ধ হয়ে গেল। উনি জিতেছেন বলেই আপনারা বঞ্চিত হয়েছেন। ওঁকে বিধানসভায় হারিয়েছেন, এবার লোকসভায় চিরতরে বিসর্জন দিন।’ রাজ্যে সাত দফায় ভোট নিয়ে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘ওঁর দলের নেতাদের প্রচারের সুবিধার জন্যই এতদিন ধরে ভোট চলছে। আর সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ছে।’ এসবরে পর তাঁর বার্তা, ‘রচনাদেবীকে জিতিয়ে দিন। গ্যারান্টি দিচ্ছি, ৫০কোটি টাকার গ্রামীণ রাস্তার কাজ তিন মাসে করে দেব। পাণ্ডুয়া থেকে আমাকে কর্মীরা ফোন করে বলছেন, বিজেপি টাকা ছড়াচ্ছে। আমি বলেছি, বাংলার মানুষের কেড়ে নেওয়া টাকা ছড়াচ্ছে। সবাই টাকা নিয়ে নিন। আর ঘাসফুলে ভোট দিয়ে প্রতিবাদ করুন।’ পাল্টা লকেট বলেন, ‘উনি মিথ্যা কথা বলছেন। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার কথা বলিনি। কোথাও টাকাও দিইনি। খামে ভর্তি করে টাকা তৃণমূল দিচ্ছে। উনি কয়লা, পাথর, গোরুর টাকা দিয়ে ভোট করছেন।’ যদিও অভিষেকের বিতর্কসভার ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।