গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ বউবাজার থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ইডেনে তখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ চলছে। স্থানীয় থানা ও ট্রাফিক গার্ডের বেশিরভাগ পুলিসকর্মী সেই ম্যাচের ডিউটিতে ছিলেন। লালবাজার জানিয়েছে, রাজপথে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি ছোটাচ্ছিলেন অর্ঘ্য দাশগুপ্ত। তিনি বর্তমানে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত। শুক্রবারই তিনি কলকাতায় আসেন। এদিন সন্ধ্যায় বন্ধু শুদ্ধশীল ভৌমিকের সঙ্গে মধ্য কলকাতার একটি পানশালায় গিয়েছিলেন চিকিৎসক। প্রচুর মদ্যপান করেন তিনি। সেই অবস্থাতেই গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, দ্রুত গতি ও নেশার ঘোরেই গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ ক্রসিংয়ে স্টিয়ারিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারান অর্ঘ্য। তবে ঘটনায় কেউ জখম হননি। অন্য গাড়িটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অভিযোগ, সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে অপর গাড়ির চালকের উপর হম্বিতম্বি করতে থাকেন অর্ঘ্য। ঘটনাস্থলে আসেন হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সুমন পাত্র। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য চিকিৎসকের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করতে যান পুলিস অফিসার। তখনই উর্দিধারীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে আসেন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারও। কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘অশালীন ভাষা ব্যবহার করে আক্রমণ করা হয় ট্রাফিক সার্জেন্টকে। শুধু তাই নয়, উর্দির কলার ধরে টানেন ওই চিকিৎসক। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।’
পুলিসকে হেনস্তার খবর পৌঁছয় বউবাজার থানায়। ঘটনাস্থলে আসে বাহিনী। এরপর সরকারি কাজে বাধা ও ‘অন ডিউটি’ পুলিস অফিসারের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগে সেখান থেকেই চিকিৎসক ও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের ওই সার্জেন্ট। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসকের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শনিবার অভিযুক্তদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক হাজার টাকার বন্ডে ধৃতদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।