গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
মঙ্গলবার আর জি কর-এর অধ্যক্ষ ডাঃ শুদ্ধোধন বটব্যাল বলেন, মেশিন চলে এসেছে। রোগীদের জন্য ব্যবহারের আগে আনুষঙ্গিক কাজকর্মগুলি সেরে নেওয়ার কাজ চলছে। এন আর এস-এর রেডিওথেরাপি’র প্রধান ডাঃ শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আমাদের অত্যাধুনিক লিনিয়র অ্যাক্সিলারেটর যন্ত্রটির জন্য এই মেশিনটি প্রায় অপরিহার্য ছিল। এটি আসায় কাজ আরও ভালো হবে। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সরকারি ক্ষেত্রে এই যন্ত্র আসার ঘটনাটিকে স্বাগত জানিয়ে বেসরকারি ক্ষেত্রের ক্যান্সার চিকিৎসক ডাঃ ইন্দ্রনীল খান বলেন, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের রোগীদের জন্য রেডিওথেরাপি প্ল্যানিং করতে ফোর ডি সিটি সিম্যুলেটর কাজে লাগে। বিশেষত, ফুসফুসের ও প্রস্টেট ক্যান্সারের রোগীদের রে দিতে যন্ত্রটির ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ফুসফুসের মতো অঙ্গ সব সময় স্থির থাকে না বলে এই যন্ত্রটির মাধ্যমে রে দেওয়ার কাজ আরও নিখুঁত করা যায়। ‘রিয়েল টাইম’ হিসেব করে নিখুঁতভাবে রেডিওথেরাপি দেওয়া যায়।
সূত্রের খবর, যে কোনও সাধারণ সিটি স্ক্যান এবং থ্রি ডি সিটি সিম্যুলেটরের সঙ্গে ফোর ডি সিটি’র ফারাক অনেকটাই। ক্যান্সার রোগীদের নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে থাকা অবস্থায় শরীরের কোনও নির্দিষ্ট অভ্যন্তরীণ অঙ্গে কতটা ডোজে রে দিতে হবে, তা মিলিমিটার ফারাকেরও সূক্ষ্ম হিসেব করে দিতে পারে এই যন্ত্র। এই অসুখে রেডিওথেরাপি চলার সময় আশপাশের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষতির আশঙ্কা কমায় যন্ত্রটি। রেডিওথেরাপি দেওয়ার পর্বে ‘অগার্ন অ্যাট রিস্ক’ বা ‘ওএআর’ নামে একটি কথা রয়েছে। কোনও অঙ্গে রেডিওথেরাপি দেওয়ার সময় আশপাশের অঙ্গে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে, কথাটি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এই যন্ত্রে সেই প্রভাব অনেকটাই কমানো যায়।