উত্তরবঙ্গ

উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে সঙ্কট, ৬ মাসে উৎপাদন কমে গেল আড়াই কোটি কেজির বেশি

ব্রতীন দাস, জলপাইগুড়ি: ভয়াবহ সঙ্কটে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসেই চায়ের উৎপাদন কমল আড়াই কোটি কেজিরও বেশি। টি বোর্ডের তথ্য বলছে, জুন মাস পর্যন্ত উত্তরে চায়ের উৎপাদন কমেছে ২৮.১৮ মিলিয়ন কেজি, অর্থাৎ ২ কোটি ৮০ লক্ষ কেজিরও বেশি। এতেই চওড়া হচ্ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এভাবে চললে দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্সের চা শিল্প মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। একদিকে যখন চায়ের উৎপাদন কমছে, ঠিক তখন কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চা পাতা তোলার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। এতদিন ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় সব বাগানে পাতা তোলা হতো। কেন্দ্রের এ হেন নির্দেশে ক্ষুব্ধ বাগান মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য, চা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই একপেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এতে সঙ্কট বাড়বে। 
আলিপুরদুয়ার জেলার ডুয়ার্সে দেড়শোটি চা বাগান রয়েছে। টি বোর্ডের তথ্য বলছে, গতবছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সেখানে চা উৎপাদন হয়েছিল ৭৭.৭৮ মিলিয়ন কেজি। কিন্তু, এবছর ওই সময়ে চা হয়েছে ৬১.২১ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ গত বছরের নিরিখে ছ’মাসে উৎপাদন কমেছে ১৬.৫৭ মিলিয়ন কেজি বা ১ কোটি ৬০ লক্ষ কেজিরও বেশি। শুধুমাত্র জুনেই ডুয়ার্সে উৎপাদন কমেছে ৪০ লক্ষ কেজির বেশি। গতবছর জুনে ডুয়ার্সে চা উৎপাদন হয়েছিল ২৬.৯৫ মিলিয়ন কেজি। এবছর জুনে হয়েছে ২২.৩৯ মিলিয়ন কেজি। 
তরাইয়ের ছবিটাও একইরকম। ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, তরাইয়ে ৩৩টি চা বাগান রয়েছে। গতবছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সেখানে চা উৎপাদন হয়েছিল ৫৬.৬৫ মিলিয়ন কেজি। চলতি বছর ওই সময়ে চা হয়েছে ৪৫.৩৫ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ ছ’মাসে উৎপাদন কমেছে ১১.৩০ মিলিয়ন কেজি বা ১ কোটি ১০ লক্ষ কেজির বেশি। শুধুমাত্র জুন মাসেই তরাইয়ে চা উৎপাদন কমেছে ২.০১ মিলিয়ন কেজি। গতবছর জুনে তরাইয়ে চা উৎপাদন হয়েছিল ১৯.১৭ মিলিয়ন কেজি। এবার হয়েছে ১৭.১৬ মিলিয়ন কেজি। দার্জিলিংয়ের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। গতবছর দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং মিলিয়ে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত চা উৎপাদন হয়েছিল ২.১৭ মিলিয়ন কেজি। এবছর চা হয়েছে ১.৮৬ মিলিয়ন কেজি। এরমধ্যে জুন মাসে গতবার যেখানে দার্জিলিংয়ে চা হয়েছিল ০.৫৩ মিলিয়ন কেজি, সেখানে এবার হয়েছে ০.৫০ মিলিয়ন কেজি। উত্তরবঙ্গে যখন চায়ের উৎপাদন কমছে, সেখানে জুন মাসে উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে অসম চায়ের। টি বোর্ডের তথ্য বলছে, গতবছর জুনে অসম চা উৎপাদন হয়েছিল ৬৬.৫১ মিলিয়ন কেজি। এবার জুনে অসমে চা হয়েছে ৭৩.৪৮ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ উৎপাদন বেড়েছে ৬.৯৭ মিলিয়ন কেজি বা ৬০ লক্ষ কেজিরও বেশি। ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অমৃতাংশ চক্রবর্তীর দাবি, ‘ভালো চা উৎপাদনের জন্য যে আবহাওয়া দরকার, তা এখনও অসমে আছে। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে ডুয়ার্সে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। টানা সাতমাস বৃষ্টি পাইনি। তারপর যখন বৃষ্টি শুরু হল, কাজে এল না। ভালো চা পাতা পেতে রাতে বৃষ্টি ও দিনে রোদ প্রয়োজন। ডুয়ার্সে লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে লাভের বদলে চা শিল্পে লোকসান হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে উৎপাদন কমেছে।’ 
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৪ টাকা৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৩ টাকা১১১.৭৮ টাকা
ইউরো৯১.১৫ টাকা৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা