সংবাদদাতা, চাঁচল: খাস জমিতে ছিল ডোবা। কিন্তু সেই ডোবা ভরাট করে দখলের অভিযোগ উঠেছে মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশীপাড়া মৌজায়। ডোবাটি ভরাট করায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। সেই ডোবায় এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার জল জমা হত। ডোবাটি বুজে ফেলায় বর্ষায় রাস্তার আনাচে-কানাচে জল জমে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। সরকারি ডোবাটি পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এনিয়ে চাঁচল ২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্ত করে জায়গা দখলমুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছে ভূমিদপ্তর। কাশীপাড়ায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। গ্রামের শেষ প্রান্তে একসময় ডোবা ছিল। এলাকার নিকাশিনালার জল সেখানেই গিয়ে পড়ত। বর্তমানে প্রভাব খাটিয়ে মাটি ভরাট করে ডোবাটি বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই এলাকার শিবনাথ দাস জায়গাটি দখলে নিয়ে সেখানে সব্জি চাষ করছেন।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপাড়া মৌজার ওই এলাকায় সরকার পক্ষের ১ নম্বর খতিয়ানে ১৬ শতক জমি ডোবা বলে চিহ্নিত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা পম্পু প্রামাণিক বলেন, আগে সেই ডোবাতেই নিকাশির জল গিয়ে জমা হত। সেটি পুনরুদ্ধার হলে সবাই উপকৃত হবেন। আর এক বাসিন্দা আদিত্যনারায়ণ দাসের কথায়, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জমি দখল করা হয়েছে। ডোবাটি ভরাট করার সময় এলাকার মানুষ ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেননি। সরকারি জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকাবাসী। যদিও সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শিবনাথ দাস। তাঁর দাবি, ষড়যন্ত্র করে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে। জায়গাটি কয়েকবছর আগে কিনে নিয়েছি। চাঁচল মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার  আধিকারিক পীযূষকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখে ডোবাটি পুনরুদ্ধার করা হবে।