সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: নতুন ৫০০ টাকার নোটে তিন লাখ টাকা দিলে দশ লক্ষ টাকার পুরনো নোট পাওয়া যাবে। এই টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিস তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বীরশিবপুরের মালঞ্চবেড়িয়া থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের শনিবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়। দীপ কুমার নামে এক যুবককে ছ’দিনের জন্য পুলিস হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। বাকি সাত জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের এক আধিকারিক জানান, হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতারকরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল। তারা ফোনে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে তিন লাখ টাকার নতুন পাঁচশোর নোট দিতে বলত। তার পরিবর্তে দশ লাখ টাকা দেওয়ার টোপ দিত। কেউ প্রতারকের টোপ গিললে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আসতে বলা হতো তাঁকে। যেখানে গাড়ি নিয়ে হাজির থাকত প্রতারকরা। এরপর কথাবার্তা চলার মাঝে পুলিস আসার ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দিত। একবার প্রতারণা করার পর তারা গাড়ির নম্বর পাল্টে ফেলত। এর ফলে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। উলুবেড়িয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে এরকম একটি গাড়ির খবর পুলিসের কাছে আসছিল। শুক্রবার রাতে মালঞ্চবেড়িয়ার কাছে গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে এই খবর পুলিসের কাছে আসে। এরপর প্রতারকদের হাতেনাতে ধরতে পুলিস ফাঁদ পাতে। এক ব্যক্তিকে গ্রাহক সাজিয়ে ফোন করানো হয়। তিনি প্রতারকদের তিন লাখ টাকার নতুন নোট দিয়ে দশ লাখ টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রতারকরা যথারীতি সে ব্যক্তিকে মালঞ্চবেড়িয়ায় আসতে বলে। সেখানে পৌঁছয় পুলিসও। তারপর আটজনকে ধরে ফেলে। পুলিসের এক কর্তা জানান, ধৃতরা আলাদা আলাদা জায়গার বাসিন্দা। এদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে।