রাজ্য

প্রত্যেক মাসে আলিফ ও আনিসুরকে ১০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বালু, আদালতে দাবি ইডির

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধান কেনার ‘দুর্নীতির বখরা’ বাবদ প্রাপ্য অংশ প্রতি মাসে ‘সুদ’ হিসেবে নিজের কোম্পানিতে জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। এসএসকেএম হাসপাতালের বেডে শুয়ে লেখা চিঠিতে আলিফ নূর ও আনিসুর রহমানকে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। দুর্নীতিতে বালুর বখরা বাকিবুর রহমানের দুই ভাগ্নে আলিফ ও আনিসুরের কাছে ‘পার্ক’ করা ছিল। সেই বখরা থেকেই প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা ‘সুদ বাবদ’ জমা করতে লিখেছিলেন বালু। আলিফ ও আনিসুরের কাছে পৌঁছনোর আগেই সেই চিঠি কেন্দ্রীয় এজেন্সির হস্তগত হয়।  বালুর সিএ’র অফিস থেকে মেলা ডিজিটাল নথিতে এই দুজনের ছদ্মনাম মিলেছে। সেখানেও ওই টাকা পাঠানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করা রয়েছে। আরিফ ও আনিসুরকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার তাঁদের আদালতে তুলে এমনই দাবি করল ইডি। একইসঙ্গে এজেন্সি আরও দাবি করেছে, ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে ধান সরবরাহ বাবদ সরকারের কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলে নেন এই দু’জন। সেই টাকায় বালুর ভাগ সুদ সওয়াল শেষে দুজনকেই ১০ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠান বিচারক।
বৃহস্পতিবার দীর্ঘ জেরার পর সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় আলিফ ও আনিসুরকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এর আগে তাঁদের দেগঙ্গার বাড়ি ও রাইস মিলে তল্লাশি অভিযান চালায় এজেন্সি। বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে এজেন্সি জেনেছে, ২০০৭ থেকে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে তাঁদের রাইস মিল। ২০১১র পর তাঁদের ব্যবসার বৃদ্ধি ঘটে বাকিবুরের হাত ধরে। নিজেরাই কৃষক বনে গিয়ে সরকারকে ধান বিক্রি করতে শুরু করেন। সরকার নির্ধারিত ৪৫ কুইন্টালের বাইরে গিয়ে বিপুল পরিমাণ ধান  আনিসুর ও আলিফ বিক্রি করছিলেন ১০ বছর ধরে।  ইডি আদালতে দাবি করেছে, কৃষক হিসেবে যাঁদের দেখানো হয়েছে, তাঁরা আদৌ তা কি না, এর অনুসন্ধান শুরু হয়। তদন্তে উঠে আসে, যাঁদের দেখানো হয়েছে তাঁরা কেউই কৃষক নন। সকলেই আনিসুর ও আরিফের সংস্থার কর্মী। তাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। খাতায়কলমে তাঁরা ধান বিক্রি করেছেন। সরকার ধান না পেলেও, ৪৫ কোটি টাকার বিল  পেমেন্ট হয়েছে বাকিবুরের দুই ভাগ্নে ও তাঁদের কর্মীদের অ্যাকাউন্টে। এতে বালুর ‘ভাগ’ও ছিল। সেই ভাগের টাকাই  প্রাক্তন মন্ত্রীর নির্দেশমতো ‘সুদ’ হিসেবে দেখিয়ে তাঁর তিনটি কোম্পানিতে পাঠানো হয়েছে বলে এজেন্সির বক্তব্য। জ্যেতিপ্রিয়’র সিএর অ্যাকাউন্টে মুকুল ও বিদেশ নামে দুটি ফোল্ডার ছিল। সেখানে এই টাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে।  তদন্তে উঠে এসেছে,  মুকুল হল  আলিফ নুর আর বিদেশ হলো আনিসুর।  আদালত জানতে চায়, দুজনের এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ কোথায়? ইডি জানায়, বিভিন্নজনের বক্তব্য ও নথিতে স্পষ্ট হয়েছে এটি দুর্নীতির টাকা।
শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে অভিযুক্ত আলিফ নূর।-নিজস্ব চিত্র
1Month ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

হঠকারী সিদ্ধান্ত ও দাম্ভিক আচরণে শত্রু সংখ্যা বাড়বে। কাজকর্মে শুভ। অর্থাগম যোগ আছে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.০৪ টাকা১১১.৫৮ টাকা
ইউরো৯১.১৩ টাকা৯৪.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা