রাজ্য

দুর্নীতি ঠেকাতে পুরসভার ধাঁচে কঠোর বিল্ডিং রুল পঞ্চায়েত এলাকায়, চালু পুজোর পরেই 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ এলাকাতেও মাথা তুলছে আকাশছোঁয়া আবাসন। কিছু অনুমতি নিয়ে, আবার কিছু আইনের ফাঁক গলে। আর তার সৌজন্যে নিকাশি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এমনকী যান চলাচলেও নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে পঞ্চায়েত এলাকাতেও। কপালে ভাঁজ বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের। তলায় তলায় দুর্নীতির জাল যাতে পঞ্চায়েত এলাকার নির্মাণশিল্পকে ছেয়ে না ফেলে, তার জন্য নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। বদল যে আসছে, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার জানা যাচ্ছে, যাবতীয় অনিয়ম গোড়া থেকে ছেঁটে ফেলতে একেবারে পুরসভার ধাঁচে পঞ্চায়েতের বিল্ডিং রুলস তৈরি করছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ, নির্মাণক্ষেত্রে অনুমতি প্রদানে আরও কড়াকড়ি। খুব বেশি হলে পুজোর পরই তা রাজ্যজুড়ে কার্যকর হয়ে যাবে। 
রাজ্যের পুর এলাকার জন্য চালু থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল (বিল্ডিং) রুলসকে সামনে রেখেই পঞ্চায়েত এলাকাকে নয়া নিয়মে বেঁধে ফেলা হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত বিল্ডিং (অপারেশনাল) রুলস। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় পরিবর্তন আসাটাই বাঞ্ছনীয়। এটা কেউ আটকাতে পারবে না। তাই আমাদেরও নিজেদের নিয়ম-কানুন সবই সময়োপযোগী করে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। 
কী থাকছে এই নয়া রুলে? নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয় ২০০৪ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত (গ্রাম পঞ্চায়েত অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) রুলস’-এর ‘কন্ট্রোল অব বিল্ডিং অপারেশনস’ চ্যাপ্টারের উপর ভিত্তি করে, যা একেবারেই সময়োপযোগী নয়। ২০ বছর আগে রুল তৈরির সময় গ্রামীণ এলাকায় এই ব্যাপক হারে বহুতল তৈরির হিড়িক পড়বে বলে ভাবাই যায়নি। ফলে জল সংরক্ষণ, সোলার বিদ্যুতের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনার বাইরে ছিল। তাই এবার খোলনলচে বদলে নয়া বিধি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই এক আধিকারিক জানিয়েছেন। নয়া বিধিতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে নিকাশি ব্যবস্থায়। ঠিক শহরের মতোই রাস্তার দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করবে বাড়ির উচ্চতা বা তলের ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি। এই নিয়ম বর্তমান রুলেও রয়েছে। তবে তা আরও সময়োপযোগী করা হচ্ছে। আবার, সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার, জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে ভর্তুকি মেলার নিয়মও নয়া বিধিতে থাকছে। 
২০২৩ সালে আগস্ট মাসে নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাট ‘রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি’ বা ‘রেরা’য় নথিভুক্তির ক্ষেত্রে নিয়মে বদল এনেছে রাজ্য সরকার। ২০০ বর্গমিটার (প্রায় তিন কাঠা) জমির উপর নির্মাণ বা একত্রে ছ’টি ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি হলে রেরা’র তালিকায় নাম তোলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়ম আগে ছিল ৫০০ বর্গমিটার বা একত্রে কমপক্ষে আটটি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে। পঞ্চায়েত এলাকার নয়া বিল্ডিং রুলস চালুর পাশাপাশি ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের সুরক্ষার লক্ষ্যেও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ অনলাইন ব্যবস্থাপনা কার্যকরী করা হবে, যাতে একটি ফ্ল্যাট বা বাড়ির প্ল্যান পাশ হলেই সেই মর্মে তথ্য চলে যাবে রেরা কর্তৃপক্ষের কাছে। ফলে নির্মাণকারী সংস্থা সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট রেরায় নথিভুক্ত করিয়েছে কি না, তাও সহজেই জানতে পারবে সরকার।
1Month ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৪ টাকা৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৩ টাকা১১১.৭৮ টাকা
ইউরো৯১.১৫ টাকা৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা