রাজ্য

আমাকে ‘বুড়ো’ বলো না, দ্বিতীয় ইনিংসেও আনকোরা জীবন খুঁজছেন প্রবীণ নাগরিকরা

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা : ‘বৃদ্ধ’দের দলে নাম লেখানোর বয়স নাকি ৬০। সেখান থেকেই নাকি শুরু অবসরের ফুরফুরে জীবন। এবার দায়দায়িত্ব থেকে অনেকটা রেহাই। হয়ত রেহাই আশা-আকাঙ্খা থেকেও। কিন্তু সত্যিই কি তাই? 
যে বয়সে এসে পৌঁছে সমাজ কোনও মানুষের মৃত্যুর দিন হিসেব করে। সেই বয়সে পৌঁছে কিন্তু কয়েকজন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এরকম মানুষের সংখ্যা কম নয়। জীবনের উপান্তে পৌঁছে দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারে আনকোরা জীবনের সন্ধান করছেন এই বঙ্গেরই বহু মানুষ। ৬০-এ পৌঁছে কেউ বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। কেউ নতুন চাকরির জন্য হন্যে। তাঁরা প্রতিপদে বলে দিচ্ছেন, ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্তই জীবন। তার আগে কোনও ছেদ নেই। বিরাম নেই। বিচ্ছেদও না।’ 
দেশের একটি নামজাদা অনলাইন ম্যাট্রিমনি সংস্থা সূত্রে এ কথাগুলি জানা গিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে তাঁদের সাইটে নাম লিখিয়েছেন এ রাজ্যের ৩০০ বাঙালি। তাঁরা ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান। সেই তালিকায় শুধু যে ডিভোর্সী, বিপত্নীক বা স্বামীহারা মহিলা রয়েছেন তা নয়। অনেকে জীবনে প্রথমবার মালাবদল করতে নাম লিখিয়েছেন সাইটে। 
দেশের চাকরিপ্রার্থী এবং কর্মদাতা সংস্থাগুলিকে এক মঞ্চে আনতে ‘ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস’ নামে একটি পোর্টাল কাজ করে। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের আওতায় থাকা সেই পোর্টালটি মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। সেখানে কেউ চাকরির আবেদন করতে পারেন। বিভিন্ন সংস্থা তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে বেছে নিতে পারে। এখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছেন, তাঁদের ৩২ হাজারেরও বেশি আবেদনকারীর বয়স ৬৫ বছর বা তার উপর। গোটা দেশে সেই সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। যাঁদের বয়স ৫৫ বছর থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে, এমন আবেদনকারীর সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ৮৮ হাজার। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের অবসর নেওয়ার ফুরসত নেই। কাজকর্ম বন্ধ রেখে আরামের, অবকাশের সুযোগও নেই সম্ভবত। অথবা নিছক বসে থাকতে চান না বলেই হয়ত কেউ নতুন উদ্যমে নেমে পড়তে চাইছেন নয়া কর্মক্ষেত্রে। সে কারণ যাই-হোক না কেন, দুর্দান্ত জীবন কাটাতে চেষ্টায় খামতি রাখতে চাইছেন না কেউই।      
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অভিরুচি চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, এখন মানুষের গড় আয়ু অনেকটাই বেড়েছে। তাই যে কাজ ৪০ বা ৫০ বছর বয়সে করার ইচ্ছা আগে হতো, এখন তা ৬০ বছর বয়সে এসে করার মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। আমরা পুরনো সাহিত্যে দেখেছি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেশি বয়সে, বলা ভালো বৃদ্ধ বয়সে বিয়ের রেওয়াজ ছিল। পরবর্তীকালে যৌথ পরিবার ও সমাজের ভয়ে পুরুষ বা নারীদের বেশি বয়সে বিয়ের প্রবণতা কমে যায়। কিন্তু সমাজ কী বলবে, এখন মানুষ সেসবের ধার ধারেন না। নিজের মতো করে বাঁচাই সেখানে শেষ কথা। অন্যদিকে বৃদ্ধ বয়সে সন্তান আমাকে দেখবে, এই আশাও আর করেন না অনেকে। তাই নিজের জীবন নিজের শর্তে এবং নিরাপদে কাটানোর জন্য বেশি বয়সেও রোজগারের চিন্তা বহু মানুষের। আমাদের দেশে সামাজিক সুরক্ষা বলতে তেমন কিছু নেই। সরকারি চাকরিতে পেনশনের ধারণা বদলে যাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থায় তো পরিস্থিতি আরও খারাপ। তাই মানুষ অবসরের সময়ও কাজ খুঁজছেন। তবে বিয়ে হোক বা  চাকরি-এগুলিকে সদর্থক দিক হিসেবেই দেখা উচিত। মানুষ তাঁর মতো করে ভালো থাকার উপায় বেছে নেবেন, সেটাই সবার কাম্য। 
11Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায়িক কেনাবেচা ক্রমশ বাড়ায় লাভ বৃদ্ধি। সন্তানের দাম্পত্য জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৩২ টাকা১১১.৮৭ টাকা
ইউরো৯১.২৫ টাকা৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা