সমীর পড়্যা, বর্ধমান: মহালয়ায় পুজোর কাউন্টডাউন কার্যত শেষ হল। পুজোর কয়েকদিন প্যান্ডেল হপিং, হরেক মজার সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া চলবে। বর্ধমান শহরের হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিও নানা স্বাদের খাবারের থালি সাজিয়েছে।থালিতে ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা থেকে খাসির মাংস, ভেটকি পাতুরি সহ নানা পদ থাকছে। তাছাড়া থালিতে রুই পোস্ত, দই কাতলা বা চিকেন ও মাটনের নানা পদ থাকছে। অষ্টমীর জন্য থাকছে খিচুড়ি, পোলাও সহ নিরামিষ নানা খাবারের আয়োজন। পুজোর খাওয়া-দাওয়া
শহরের কার্জন গেট সংলগ্ন একটি রেস্তরাঁয় স্পেশাল থালি থাকছে। দাম ৬২৫ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। ঢলদিঘি পেট্রল পাম্প সংলগ্ন একটি রেস্তরাঁ সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত নানা থালি সাজিয়েছে। সপ্তমীতে বাসমতি চালের ভাতের সঙ্গে ফিসফ্রাই, ফিসরোল, ছানার ডালনা, গন্ধরাজ চিকেন সহ থালির দাম রয়েছে ৮২৫টাকা। মহাষ্টমীতে পনির পাসিন্দা, কাশ্মীরী পোলাও, পনির মশালা, পায়েস, চাটনি, পাঁপড় সহ থালির দাম থাকছে ৭২৫টাকা। নবমী ও দশমীতে থাকছে তোপসে ফ্রাই, ভেটকি পাতুরি মাটন ও চিকেন কষা। তারসঙ্গে থাকছে কেশরী পোলাও, মিষ্টি সহ নানা পদ। থালি থাকছে ৮৬০ টাকা থেকে ১০৪০ টাকা পর্যন্ত। থালির বাইরে নানা ধরনের মকটেল বা আইসক্রিমও থাকছে। শহরের বাসিন্দা অর্ণব পাল বলেন, প্রতিবার পুজোয় ঘোরার সঙ্গে রাতে বাইরে খাই। এবার পুজোয় বাড়িতে দিদি, জামাইবাবু আসবে। সকলে মিলে রেস্তরাঁয় যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তাছাড়া পুজো দেখতে বেরিয়ে চিকেন রোল বা আইসক্রিম তো থাকছেই। একদিন বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছেও রয়েছে। ভাগ্নে ও আমার বিরিয়ানিই পছন্দের।
পুলিস লাইন সংলগ্ন একটি নতুন খাবারের দোকানেও পুজো উপলক্ষ্যে কম দামের নানা পুজো স্পেশাল থালি সাজিয়েছে। তাতে মিক্সড রাইস, পোলাও, ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে চিকেন লেগপিস, চিলি চিকেন ও পমফ্রেট, চিংড়ি সহ বিভিন্ন মাছের পদ থাকছে। দাম রয়েছে ১১৯টাকা থেকে ৩৪৯টাকা। পুজো উপলক্ষ্যে স্পেশাল থালি হোম ডেলিভারিও করা হবে। প্রতিদিন আলাদা দাম রয়েছে। আবার ষষ্ঠী থেকে দশমী পাঁচদিনের প্যাকেজও থাকছে। শহরের গোলাপবাগ সংলগ্ন একটি রেস্তরাঁর কর্ণধার সত্যজিৎ সাহা বলেন, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল নানা পদের সঙ্গে বাসন্তী পোলাও ও চিকেন, মাটন, চিংড়ির নানা খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। শহরের সুভাষপল্লির বাসিন্দা বৈশাখী চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুজোর কয়েকদিন বাড়িতে তেমন রান্না করতে ভালো লাগে না। সেকারণে রেস্তরাঁয় যাই। এবারও বাড়ির সবাইকে নিয়ে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ নানা ধরনের কাবাব ও মিক্সড ফ্রায়েড রাইস। তবে অষ্টমীর দিন কোথাও খেতে যাই না। পাড়ার পুজোয় অঞ্জলি দেওয়ার পর খিচুড়ি খাই।