পুজো ২০২৪

ঘোড়ানাশে ঝড়ের সময় প্রতিমা বেঁধে রেখে গিয়েছিলেন স্বয়ং দেবী মহামায়া

সংবাদদাতা, কাটোয়া: বনেদি বাড়ির পুজো মানেই ঠাকুরদালানের বড় বড় থাম, খড়খড়ি দেওয়া বড় জানালা, গ্রামের সবার একসঙ্গে বসে পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়া। সেইসঙ্গে কয়েকশো বছরের পুরনো বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজোকে ঘিরে নানা কাহিনী, লোককথা থাকে। পুজোতেও থাকে কিছু বিশেষ রীতি। এমনই একটি পুজো হল কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামের রায়বাড়ির ‘খেপিমা’র পুজো। এখানে দেওয়ালে ফুটো করে প্রতিমাকে মন্দিরের পিছনের গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। কথিত আছে, একবার ঝড়ের সময় প্রতিমাকে ওইভাবে বেঁধে গিয়েছিলেং স্বয়ং দেবী।
কাটোয়া-২ ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ, আমডাঙা গ্রামে বেশিরভাগ তাঁতশিল্পীদের বাস। এখানকার তাঁতের শাড়ি উৎকৃষ্ট মানের। ঘোড়ানাশ গ্রামে রায় পরিবারের দুর্গা ‘খেপিমা’ নামেই এলাকায় পরিচিত। পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৭৫১ খ্রীস্টাব্দে নবাব আলিবর্দি খাঁর আমলে এই পুজো শুরু হয়। তখন রায় পরিবারের পূর্বপুরুষ ভবানন্দ রায় নবাবের দেওয়ান ছিলেন। তিনি ঘোড়ানাশ এলাকার জমিদার ছিলেন। সেই ভবানন্দ রায়ের হাত ধরেই পুজো শুরু হয়েছিল। সেসময় নাকি নবাব নিজেও গ্রামে এসেছিলেন। তবে রায়বাড়ির দুর্গার নাম খেপিমা কীভাবে হল-তা এখন পরিবারের কেউই বলতে পারেন না। তবে এই পুজোর অনেক নিয়মনীতি রয়েছে। দেবীর প্রতিমার রঙ হতে হয় শিউলি ফুলের বোঁটার মতো।
রায়বাড়ির সদস্য তথা প্রবীণ সেবায়েত মহিমচন্দ্র রায় পুজোর নানা কাহিনী শোনালেন। তিনি জানান, পুজোর শুরু থেকে কিন্তু দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে প্রতিমা বেঁধে রাখার রীতি ছিল না। ১৯৪৩ সালে (বাংলার ১৩৪৯ বঙ্গাব্দে) একবার পুজোর সময় ঝড় হয়েছিল। তখন তালপাতার ছাউনি দেওয়া মন্দির ছিল। ঝড়ে প্রতিমা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য নাকি দেবী স্বয়ং দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে প্রতিমা বেঁধে রাখেন। তখন মন্দিরের পিছনে একটি ডুমুর গাছ ছিল। মায়ের বেদির পিছনে মন্দিরের দেওয়ালে একটি ছিদ্র করা রয়েছে। সেই ছিদ্র দিয়েই দড়ি ঢুকিয়ে গাছের সঙ্গে প্রতিমার কাঠামো বেঁধে রাখা হয়েছিল। এখন সেই ডুমুর গাছ না থাকলেও মন্দিরের পিছনে দেবদারু গাছের সঙ্গে প্রতিমা বাঁধা হয়।
প্রতিপদর দিন ঘট এনে, ছাগবলি দিয়ে পুজো শুরু হয়ে যায়। মন্দিরের পিছনের পুকুর থেকে জল তুলে দেবীর ভোগ রান্না হয়। লক্ষ্মীসাগর পুকুর থেকে দেবীর ঘট ভরে আনা হয়। পুজোয় দেবীর ভোগে ভাতের সঙ্গে দেওয়া হয় চিংড়ি, পুঁইশাক। আর থাকে বলির পাঁঠার মেটে চচ্চড়ি।
খেপিমার বিসর্জনেও নানা রীতি রয়েছে। প্রথমে আমডাঙা গ্রামে বুড়ো শিবের সঙ্গে দেবীর দেখা করানো হয়। তারপর পাটকাঠির মশাল জ্বেলে চার কিমি ছুটে গ্রামের দক্ষিণদিকে ব্রহ্মাণী নদীতে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
5d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা