পুজো ২০২৪

একই মণ্ডপে পুজো দুর্গা ও চামুণ্ডার, সৈতা গ্রামের দেবীকে ঘিরে বহু অলৌকিক ঘটনা

সংবাদদাতা তারকেশ্বর: তারকেশ্বর সৈতা গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারে একই মণ্ডপে পুজো হয় দুর্গা ও চামুণ্ডা কালীর।‌ এই পরিবারে আলাদা কালীপুজো হয় না। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো পুজো ও দূর্গাকে ঘিরে রয়েছে বহু অলৌকিক ঘটনা। প্রতিবছর দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন দেবী দর্শন ও মনস্কামনা পূরণে।
সৈতা দুর্গাতলা নামে একডাকে সবাই চেনে। ভট্টাচার্য পরিবারের আগে পদবী ছিল চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমানের রাজ পরিবারের অন্তর্গত ছিল এই গ্রাম। ২৮৬ বছর আগে বর্ধমান রাজবাড়িতে পাণ্ডিত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এই পরিবারের এক সদস্য। বিজয়ী হয়ে উপহার পান ভট্টাচার্য পদবী। ২৪ আনা দলিলে লিপিবদ্ধ হয় খাজনা আদায়ের অনুমোদন যা এখনও সংরক্ষিত রয়েছে। এই পরিবারের সদস্যরা সে সময় বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার খাজনা আদায় করতো। সে সময় চিকিৎসাশাস্ত্র সেভাবে উন্নতি লাভ করেনি। এই দেবীর কাছে মহিলারা বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসতেন। কেউ বিফল হতো না বলে জনশ্রুতি। 
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পেয়ে মহিষাসুরের পা ভেঙে দিয়েছিলেন মৃৎশিল্পী। বাড়িতে যাওয়ার পর তাঁর রক্ত বমি শুরু হয়। শিল্পীর স্ত্রী দুর্গার কাছে এসে ক্ষমা চান। মহিষাসুরের ক্ষতস্থান ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হয়। একসময় প্রতিমা পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েকজন গরুর গাড়ি করে প্রতিমা আনতে গিয়েছিলেন শেওড়াফুলি। সেখানে নৌকায় একটি প্রতিমা বিক্রির জন্য যাচ্ছিল। সকলেই কেনার চেষ্টা করলেও কেউ কিনতে পারেননি। শেষপর্যন্ত প্রতিমা গরুরগাড়ি চড়ে আসে ভট্টাচার্য বাড়িতে। দুর্ভিক্ষের সময় পুজোর আয়োজন করতে পারেনি পরিবার। কলাগাছ থেকে থোড় এনে দেবীকে পুজো করা হয়েছিল। এরপর থেকে নিয়ম করে আজও দেবীর প্রসাদে থোড় দেওয়া হয়। বাড়ির কিছু দূরে যে পুকুরে দেবী বিসর্জন হয়, সেই পুকুরে বিসর্জন দেওয়া নিয়ে আপত্তি ছিল পুকুর মালিকের। বিসর্জনের কয়েকদিন আগে পাম্প চালিয়ে পুকুরের জল শুকিয়ে দিয়েছিলেন। পরের দিন স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুকুর জলে ভর্তি করে দেন মালিক। 
দুর্গা মণ্ডপ ছিল মাটির তৈরি। তালপাতার ছাউনি। বর্তমানে তা পাকা হয়েছে। এই মণ্ডপের ভিতরে দুর্গা ও চামুণ্ডা কালীর আরাধনা হয় এক সঙ্গে। ৪০ কেজির দু’টি নৈবেদ্যর থালা নিবেদন করা হয় সন্ধিপুজোয়। পুজোর সামগ্রী যায় পরিবারের দুই গুরুদেবের বাড়ি। এই পরিবারের ভোলানাথ, রঘুনাথ, পাঁচুগোপাল ও শান্তনু ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের কুলদেবতা মদন গোপাল। দুর্গার মতোই জাগ্রত মদন গোপাল। সে সময় কেষ্টযাত্রার প্রচলন ছিল। একবার যাত্রা করতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনেতা করা ছোট শিশুটি নেই। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় ছোট শিশুকে। পরের দিন মন্দিরের দরজা খুলে পুরোহিত দেখেন যাত্রার মেকআপ সারা শরীরে লেগে আছে মূর্তির। যে শিশুটি কৃষ্ণের ছোটবেলার অভিনয় করত সে শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেতে পারেনি যাত্রায়। এরপর দিকে দিকে দেবতার যাত্রা করার কাহিনি ছড়িয়ে পড়ে। দেবত্র সম্পত্তির সাক্ষী দিতে কোর্টে হাজির হয়েছিলেন স্বয়ং মদন গোপাল। ফেরার পথে ট্রেনে জখমও হয়েছিলেন তিনি। মূর্তির একটি হাতে সে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিসর্জনের সময় এখনও কাঁধে করে দেবীমূর্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় মধুপুর চৌধুরী পুকুরে। বিসর্জনের সময় ধান জমির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। পরেরদিন দেখা যায়, কোনও ধান নষ্ট হয়নি। দেবীকে ঘিরে এমনই বহু অলৌকিক ঘটনা শোনা যায়।  নিজস্ব চিত্র
3d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৯ টাকা৮৪.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৯.৪৭ টাকা১১৩.০৪ টাকা
ইউরো৯১.০৬ টাকা৯৪.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা