পুজো ২০২৪

নেতড়ার চক্রবর্তী বাড়ির পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে বিদেশি পণ্য বর্জনের ইতিহাসও

স্বপন দাস, কাকদ্বীপ: দেবীকে পরানো হতো বিদেশি রেশমি শাড়ি। কয়েকবছর বাদে ১৯০৭-’০৮ সালে স্বদেশী আন্দোলন তুঙ্গে। দেশজুড়ে বিদেশি পণ্য বর্জন শুরু হল। আন্দোলনে নামল রামব্রহ্ম চক্রবর্তীর পরিবারও। তখন রেশমি শাড়ির পরিবর্তে দুর্গার গায়ে উঠল মাটির সাজ। সেই ট্র্যাডিশনই চলছে। ডায়মন্ড হারবারের নেতড়ার নন্দীপাড়ার প্রাচীনতম এই দুর্গোৎসব আজও সমান জনপ্রিয়। ১৮৮২ সালে শোভাবাজার রাজবাড়ির পুরোহিত রামব্রহ্ম চক্রবর্তী পুজো শুরু করেছিলেন। প্রথম দু’বছর ঘট স্থাপন করে এবং ১৮৮৪ সালে প্রতিমা তৈরি করে পুজো শুরু হল। সেই প্রাচীন কাঠামোতেই এখনও তৈরি হয় প্রতিমা। আদিকালে যে মন্ত্র উচ্চারণ করে পুজো হতো সেটিই এখনও চালু। মন্ত্রের পুঁথি লিখেছিলেন পুরোহিত রামব্রহ্ম চক্রবর্তীর পুত্র পণ্ডিত দীননাথ বিদ্যারত্ন। তালপাতায় লেখা সেই পুঁথি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে পরে তা সংস্কার হয়। বাংলার নবাব আলিবর্দি খাঁ রামব্রহ্ম চক্রবর্তীকে ৩০০ বিঘা জমি দান করেছিলেন। সেই জমির উপর শুরু হয়েছিল পুজো। তা জনপ্রিয় ছিল। চিকিৎসক নীলরতন সরকার, যোগীন্দ্রনাথ সরকার, হেমচন্দ্র সেন, যোগীন্দ্রনাথ বসুর মতো ব্যক্তি নন্দীপাড়ায় চক্রবর্তী বাড়ির পুজোয় আসতেন। এই পরিবারের পঞ্চম পুরুষ স্বপন চক্রবর্তী বলেন, ‘পারিবারিক ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়, প্রথম বছর পুজো করতে ৮৭৪ টাকা খরচ হয়েছিল। সপ্তমী থেকে নবমী মাছ ভাজা সহ প্রায় কুড়ি রকমের পদ ভোগ হিসেবে নিবেদন করার রীতি। এছাড়াও খিচুড়ি থাকে। গ্রামের হিন্দু ও মুসলমান পুজোয় অংশগ্রহণ করেন এবং খিচুড়ি ভোগ খেয়ে যান।’ 
23h 23m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা