পুজো ২০২৪

আনন্দপল্লি মহিলা পরিচালিত সর্বজনীন দুর্গোৎসবে রাশ টানা হচ্ছে আড়ম্বরে

সংবাদদাতা, বহরমপুর: বহরমপুরের আনন্দপল্লি মহিলা পরিচালিত সর্বজনীন দুর্গোৎসবে এবার বিষাদের সুরেই দেবীর আবাহন হচ্ছে। বিশেষ কারণেই এমনটা হচ্ছে। তবে পুজোর আচারে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। কেবলমাত্র আড়ম্বরে কিছুটা রাশ টানা হয়েছে। এবারই প্রথম পুজোয় পঙক্তি ভোজনের আয়োজনে কাটছাঁট করা হচ্ছে। তবে বাড়ি বাড়ি প্রসাদ বিতরণে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটি আলোচনায় বসেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজো কমিটির সভানেত্রী নিরঞ্জনা চৌধুরী বলেন, কোনও একটি বিশেষ কারণকে সামনে রেখে এবার আমরা আড়ম্বরহীন দেবী আরাধনার আয়োজন করছি। কমিটির সদস্য ও সহযোগীদের মধ্যেই এই বিষাদের সুর সীমাবদ্ধ থাকবে। কচিকাঁচাদের দুর্গোৎসবের আনন্দ থেকে আমরা বঞ্চিত করছি না। পুজো মণ্ডপে তাদের শৈশবের দস্যিপনা করার অবাধ ছাড় রয়েছে। কারণ মা বছরে একবার আনন্দদের ডালি সাজিয়ে আনন্দপল্লিতে আসেন।
তেত্রিশ বছর আগে রেবা প্রামাণিক, নন্দিতা চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনের হাত ধরে আনন্দপল্লির মণ্ডপে দেবীর প্রথম আগমন ঘটেছিল। শুরুর উদ্যোক্তাদের মধ্যে আজ অনেকেই জীবিত নেই। তবে প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে যাঁরা জীবিত রয়েছেন, আজও তাঁদের অনেকে পুজো পরিচালন কমিটির পাশে দাঁড়িয়ে পরামর্শ, উপদেশ দিয়ে আসছেন। নিরঞ্জনাদেবী বলেন, আনন্দপল্লির দুর্গাপুজোয় রেবাদি, নন্দিতাদিদের অবদান আমরা কোনওদিন ভুলব না। ৩৪ বছর ধরে প্রবীণরা এই পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
পুজো আয়োজনের সমস্ত কিছুই কমিটির মহিলারা নিজে হাতে করে আসছেন। বিদ্যুতের অনুমোদন, অগ্নি নির্বাপণ দপ্তরের ছাড়পত্র, পুলিস পারমিশন থেকে শুরু করে মণ্ডপ শিল্পী, প্রতিমা শিল্পী, ঢাকি, পুরোহিত, পুজোর বাজার সব কিছুই মহিলাদের হাতে হয়ে আসছে। শুরু থেকেই সরকারি অনুদান পেয়ে আসছে আনন্দপল্লি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। এবারও তারা সরকারি সাহায্য পেয়েছে। কমিটির সম্পাদিকা হীরা মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারি আর্থিক সাহায্য মেলায় আমরা পুজোয় জড়িত পরিবারের কাউকে চাঁদার জন্য বলি না। তবে প্রত্যেক পরিবার স্বেচ্ছায় মায়ের পুজোর জন্য তাঁদের সাহায্য আমাদের কাছে পৌঁছে দেন।
আনন্দপল্লির প্রতিমা সাবেকি। দেবীমূর্তির আদলেই হয়ে আসছে। পুজোয় হিন্দু শাস্ত্রমতে নিষ্ঠা, উপাচারের উপর জোর দেওয়া হয়। জায়গার অভাবে প্রতিমার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মণ্ডপ ও আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। পাড়ার পুজোয় পরিবারের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে বর্তমানে একশোতে ঠেকেছে। পাড়ার বাইরের কারও কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া হয় না। পুজোর ক’দিন পাড়ার সকলে একসারিতে বসে খাওয়াই ছিল আনন্দপল্লির আনন্দের  অন্যতম রসদ। এবার বিষাদের সুরে সেই আনন্দ আয়োজন বাদ দিয়েছে পুজো কমিটি। কমিটির দাবি, এবার আনন্দপল্লিতে অনাড়ম্বরে অকাল বোধন হচ্ছে।
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা