শনিবার, 19 এপ্রিল 2025
Logo
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

কলকাতার নামী হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয়ে কেপমারি

আর জি কর, এন আর এস এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো মহানগরীর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চলা এক কেপমারি চক্রের মাথাকে গ্রেপ্তার করেছে টালা থানার পুলিস।

কলকাতার নামী হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয়ে কেপমারি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর, এন আর এস এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো মহানগরীর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চলা এক কেপমারি চক্রের মাথাকে গ্রেপ্তার করেছে টালা থানার পুলিস। ধৃতের নাম  শেখ রেজাউল ওরফে রাজেশ। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। 
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছেন, ‘এই তিন হাসপাতালের  চিকিৎসার জন্য আসা রোগী বা রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালকর্মী পরিচয় দিয়ে সাহায্যের অছিলায় সোনার গয়না কেপমারি করে উধাও হয়ে যেত এই  রাজেশ।’ টালা থানার পাশাপাশি এন্টালি, বউবাজার থানায় কেপমারির অভিযোগ রয়েছে রাজেশের বিরুদ্ধে। তেমনি একটি ঘটনার সূত্রপাত, ২০২৪ সালের জুন মাসে। কলকাতার চিৎপুর থেকে  মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আর জি করে আসেন মাঝবয়সি ঝর্না মজুমদার।
নিজেকে আর জি কর হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়  রাজেশ। সরল বিশ্বাসে রাজেশের উপর ভরসা করে বসেন ঝর্নাদেবী। এরপরই  রাজেশ কৌশলে মেয়েকে হাসপাতালের এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে, ঝর্নাদেবীকে টেস্ট করানোর নামে অন্যত্র নিয়ে যান। সেখানে টেস্টের সময় গায়ে গয়না রাখা যাবে না, এই অজুহাতে ঝর্নাদেবীর গলায় থাকা সোনার হার এবং একজোড়া সোনার কানের দুল খুলে নেয় রাজেশ। তারপর ভরদুপুরে আর জি কর থেকে উধাও হয়ে যায় সে! 
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ঝর্নাদেবী টালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যার ভিত্তিতে কেপমারির মামলা দায়ের করেছিল টালা থানার পুলিস। সম্প্রতি মামলা বন্ধ করার আগে শেষ বারের মতো চেষ্টা করতে গিয়ে টালা থানার অফিসারদের হাতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সূত্র আসে। 
সেই সূত্র ধরে টালা থানার পুলিস জানতে পারে, লালবাজারের ওয়াচ শাখার গোয়েন্দাদের হাতে ধৃত পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বাসিন্দা রাজেশের কথা। এরপরই টালা থানার পুলিস রাজেশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তাতেই আর জি করে কেপমারির কথা স্বীকার করে নেয় সে। এরপর ধৃতকে নিয়ে আসানসোলে এক সোনার দোকানে হানা দিয়ে ঝর্নাদেবীর খোয়া যাওয়া গয়না সোনা বাট আকারে উদ্ধার করেছে পুলিস। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কেউ এই চক্রে জড়িত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।