শুক্রবার, 11 জুলাই 2025
Logo
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

এসটিএফের বদলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাবে সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ

এসটিএফের বদলে এখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রিয়েল টাইম’ নজরদারি চালাবে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। 

এসটিএফের বদলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাবে সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এসটিএফের বদলে এখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রিয়েল টাইম’ নজরদারি চালাবে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি লিখিত নির্দেশিকা জারি করেছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। 
ঠিক কী বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়? প্রথমত, সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িকভাবে স্পর্শকাতর পোস্ট,  ঘৃণা ভাষণ এবং  ভুল তথ্য ছড়িয়ে লোক খেপানোর চেষ্টার ওপর প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে হবে।  দ্বিতীয়ত, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও আপত্তিকর পোস্ট নজরে আসা মাত্রই গুগল, ফেসবুক, ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করতে হবে। তৃতীয়ত, ‘ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স টুল’-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাইরাল পোস্টের সত্যতা যাচাই করতে হবে। জানতে হবে জিও লোকেশন। চতুর্থত, কলকাতার সব থানা, সাইবার সেল, রাজ্য পুলিসের সাইবার ক্রাইম উইংয়ের সঙ্গে  সমন্বয় রক্ষা করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে চিহ্নিত ‘দাগী’-দের তালিকা বানিয়ে তাদের উপর নিয়মিত নজরদারির কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। 
কেন এই পরিবর্তন আনতে হল লালবাজারকে? কলকাতা পুলিসের একাংশের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার স্পর্শকাতর পোস্টকে কেন্দ্র করে আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনা রাজ্যে আকছার ঘটে চলেছে। সম্প্রতি এমনই এক পোস্টের জেরে গার্ডেনরিচ সহ কলকাতার বন্দর এলাকায়  হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুধু কলকাতা নয়, সংশোধিত ওয়াকফ  আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে একাধিক জেলায় যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার পিছনেও সমাজ মাধ্যমের একাধিক পোস্টের কমবেশি ভূমিকা আছে। এই প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ায় ২৪ ঘণ্টাই ‘রিয়েল টাইম’ নজরদারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এসটিএফের হাত থেকে এই দায়িত্ব লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখার হাতে তুলে দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হল সাইবার ক্রাইম রোধের সমস্ত শাখাগুলিকে এক ছাতার নীচে আনা। এর ফলে সমন্বয় ও কাজের গতি বাড়বে বলে আশা পুলিসকর্তাদের। পাশাপাশি, এসটিএফের গোয়েন্দাদের ভারও কিছুটা লাঘব হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জঙ্গি কার্যকলাপ, নাশকতা, দেশবিরোধী শক্তির সক্রিয়তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আগের মতোই নজরদারি চালাবে এসটিএফ।   
প্রসঙ্গত, রাজ্য মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক বৈঠকে কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখাকে শক্তিশালী করতে ডিআইজি পদমর্যাদার যুগ্ম কমিশনার পদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কলকাতা পুলিসের ১০টি ডিভিশনে সাইবার সেলের বদলে পূর্ণাঙ্গ সাইবার থানা গঠনের প্রস্তাব এখন রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন।

রাশিফল