শনিবার, 19 জুলাই 2025
Logo
  • শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

“নামের অপার ও অসীম মহিমা।”

আমি নাম শুনি কারণ নাম আমার ভাল লাগে। হরি-নাম বড় ভাগ্যবশতঃ গুরুর দ্বারা লাভ করা যায়। হে ভাই! তুমি নাম জপ করো তাহলে গুরুর দ্বারা তুমি আলোকময় হবে। এই নাম ছাড়া আমার আর কোন আশ্রয় নেই। 

“নামের অপার ও অসীম মহিমা।”

আমি নাম শুনি কারণ নাম আমার ভাল লাগে। হরি-নাম বড় ভাগ্যবশতঃ গুরুর দ্বারা লাভ করা যায়। হে ভাই! তুমি নাম জপ করো তাহলে গুরুর দ্বারা তুমি আলোকময় হবে। এই নাম ছাড়া আমার আর কোন আশ্রয় নেই। আমার প্রতিটি শ্বাসে ও গ্রাসে নামই রমণ করে। নামের ধ্বনি শুনতেই আমার মনটা ভাল হয়ে গেল। যে আমাকে নামের মহিমা শোনায় সেই আমার বন্ধু, সখা হয়।
নাম বিহীন মূর্খ জীব উলঙ্গ অবস্থাতেই চলে গেছে। সে বিষবৎ জস্কলন্ত প্রদীপের শিখায় কীট-পতঙ্গের মত কষ্ট পেতে পেতে মারা গেছে। হরি নিজেই সৃষ্টির উৎপত্তি ঘটিয়ে এর সংহারও করেন। হে নানক! হরি নিজেই নাম দান করেন।
“নাম জপ কারীদের অপার ও অসীম মহিমা।”
গুরুমুখেরা গুরুর সাহায্যে হরি-হরির বৃক্ষ রোপণ করেছে। হরি রসিকদের জন্য রসস্থ ফল ধরেছে সেখানে। অনন্ত তরঙ্গরূপী হরি হরির নাম জপ করা। আমি গুরুর মতির সাহায্যে নাম জপ কোরে ও ‘তাঁর’ স্তুতি কোরে যমদূতরূপী সর্পকে হনন করেছি। হরি হরি আপন ভক্তি গুরুর মধ্যে স্থাপন করেছেন। হে আমার ভাই! গুরু যদি প্রসন্ন হন তবেই শিষ্যকে ভক্তি প্রদান করেন। অহঙ্কারের কর্ম করে এমন জীব ভক্তির কোন বিধি জানে না কারণ সে হাতির মত স্নানের পর মাথায় ধুলো ছড়ায়। যদি খুব বড় ভাগ্য হয় তবেই হে নানক! সে সত্য ও পবিত্র নাম জপ করে।
“নাম জপ করলে মন তৃপ্ত ও প্রফুল্লিত হয়।”
হরি হরি নামের ক্ষুধা মনে জাগছে। হে আমার ভাই! এখন নাম শুনলে আমার মন তৃপ্ত হয়। হে আমার গুরুর শিষ্য ও বন্ধুবর্গ! নাম জপ করো, নাম জপ করো কারণ নাম জপ করলে তুমি সুখ পাবে। গুরুর মতি দ্বারা নামকে মন ও চিত্তে স্থাপন করো। নাম নাম শুনলে মন প্রসন্ন হয়। গুরুর মতির সাহায্যে নামের উপকারিতা পেলে মন বিকশিত হয়। নাম ব্যতীত অজ্ঞান জীব মোহে অন্ধ, কুষ্ঠগ্রস্ত। তার সমস্ত কর্ম নিষ্কল। তার সমস্ত কর্ম দুঃখের জীবিকা মাত্র। ভাগ্যবান জীবই হরি হরি হরি-যশ জপ করে। হে নানক! গুরুর মতি দ্বারা হরি-নামে চিত্ত নিবিষ্ট হয়।
হে যোগী! হাতে বীণা নিয়ে যা তুমি বাজাও তা শুভ গুণ শূন্য। গুরুর মতি অনুসরণ কোরে তুমি হরির গুণ গাও তবেই হে যোগী! তোমার মন হরির প্রেম-রঙে সিক্ত হবে। হে যোগী! আপন মতিকে হরি-ভক্তির উপদেশ দাও। যুগ-যুগান্তর ধরে যে একই হরি ব্যাপ্ত হয়ে আছেন, ‘ওই’ হরির সম্মুখে আমি প্রণত হই। হে যোগী! তুমি নানা ধরণের রাগ গাও ও রকমারি কথা বলো। এই মন অনেক খেলায় মত্ত থাকে। যেমন জমিতে জল সেচ করার জন্য যে বলদকে কাজে লাগানো হয় সেই যদি ফসল খেয়ে ফেলে তাহলে কৃষকের কোন লাভ হয় না। হে যোগী! শরীররূপী নগরে হরি-নামের কর্মের বীজ বপন করো তাহলে জমিতে হরি-প্রাপ্তির মত ফসল ফলবে। মনকে স্থির কোরে এই মনরূপী বলদের কাঁধে জোয়াল দাও ও গুরুর মতির সাহায্যে নামের জল সিঞ্চন করো, তাহলেই এই মনুষ্য দেহকে জয় করতে পারবে।
‘আদি শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহেব’ থেকে

রাশিফল