ঔদ্ধত্য! প্রয়োজনে স্কুল ছাড়ব, চুল ছাঁটাবই না, বহু বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জবাবে তাজ্জব শিক্ষকরা
স্কুল ছাড়ব, তবু চুল ছাঁটব না। স্কুল পড়ুয়াদের লম্বা বা নানা ডিজাইনের চুলের বদলে সাধারণ কাট দিতে বলতেই এমনই উত্তর মিলছে। এমনকী, স্কুলেই সবাই মোবাইল নিয়ে আসছে। তারজন্য পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
এপ্রিল ২৯, ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: স্কুল ছাড়ব, তবু চুল ছাঁটব না। স্কুল পড়ুয়াদের লম্বা বা নানা ডিজাইনের চুলের বদলে সাধারণ কাট দিতে বলতেই এমনই উত্তর মিলছে। এমনকী, স্কুলেই সবাই মোবাইল নিয়ে আসছে। তারজন্য পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সোমবার স্থানীয় স্কুলগুলির সমস্যার কথা শুনতে বৈঠক করে খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানেই এমন সমস্যার কথা তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। খড়গ্রাম ব্লকের রবীন্দ্রভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজির ছিলেন খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত, দলের দুই ব্লক সভাপতি হুমায়ুন কবীর ও শাশ্বত মুখোপাধ্যায় সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। হাজির ছিলেন এলাকার ২২টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ পরিচালন কমিটির সদস্যরা।
এদিন বৈঠকের শুরুতেই কয়েকজন শিক্ষক স্কুলের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এক শিক্ষক বললেন, আমার স্কুলের ছাত্রদের লম্বা চুল কোনও মতে কাটানো যাচ্ছে না। কয়েকজন রয়েছে যাদের অভিভাবকদের ডেকেও কোনও লাভ হয়নি। ওদের চুল কাটার কথা বলা হলে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুল ছাড়ার কথা বলছে। প্রয়োজনে স্কুল ছাড়বে, কিন্তু চুল কাটবে না।
অপর এক শিক্ষক বলেন, স্কুলে মোবাইল একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মোবাইল পড়াশোনায় চরম ক্ষতি করে, সেটা ওদের বোঝানো যাচ্ছে না। স্থানীয় গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌরব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা চাইছি কনভেন্ট স্কুলগুলির মতো সরকারি স্কুলেও একই পরিবেশ তৈরি করতে। কিন্তু আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতি সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা দাঁড়িয়েছে শিক্ষকের অভাব। শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক সমস্যা চরম প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি প্রতিটি স্কুলেই শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে। প্রতিটি স্কুলে একাধিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। তাই অনেক স্কুলে সব ক্লাস নেওয়ার মতো শিক্ষক নেই। এবিষয়ে খড়গ্রামের বিধায়ক বলেন, এদিন এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক ও পরিচালন কমিটির সদস্যদের নিয়ে এই বৈঠক করা হয়েছিল। বৈঠকে বহু স্কুলে বিভিন্ন সমস্যা উঠে এসেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমরা এই সমস্যা তুলে ধরব। প্রতীকী চিত্র
related_post
অমৃত কথা
-
‘বিবেকচূড়ামণি’
- post_by বর্তমান
- জুলাই 19, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025