শরীর ও স্বাস্থ্য

লেবু-মধুর জল কি আদৌ মেদ ঝরায়?

দোরগোড়ায় পুজো। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে একেবারে ছিপছিপে হতে সকালে উঠেই পান করছেন লেবু-মধুর জল? কাজ হবে? পরামর্শে ডায়েটেশিয়ান সায়ন্তনী চট্টোপাধ্যায়।

মেদ ঝরানোর চিন্তায় ঘুম নেই তিস্তার। সকালে জিম, বিকেলে হাঁটা, সঙ্গে কঠোর ডায়েট। সদ্য আবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘুম ভেঙে উঠে লেবু-মধুর জল। একটু সোশ্যাল সাইট ঘাঁটলে আর ডায়েট নিয়ে চারপাশে আলোচনা করলেই উঠে আসে এই লেবু-মধুর জলের কথা। সকালে উঠে এক গ্লাস গরম জলে একটা গোটা লেবু আর এক চামচ মধু। এই রুটিনে দিন শুরু করছেন প্রায় লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু এই লেবু-মধুর জল কি সত্যিই মেদ ঝরায়? 
এর উত্তরে এককথায় হ্যাঁ বা না বলে দেওয়া যাবে না কিন্তু! লেবু ও মধু। এই দুই উপাদানেই প্রাকৃতিকভাবে টক্সিন দূর করার উপাদান আছে। দু’টিতেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ও তার বিএমআর বা বেসাল মেটাবলিক রেট বাড়াতে এই দুই উপাদানই সাহায্য করে। এর আরও কিছু উপকারী দিক আছে। যেমন:
• মধু ও লেবুর সহাবস্থান ত্বকের জেল্লা বাড়ায়। শরীর থেকে টক্সিক পদার্থকে বের করতে এদের জুড়ি নেই। মধু প্রাকৃতিকভাবে ট্যান দূর করে। তাই মধু-লেবুর এই সংমিশ্রণ ত্বকের নানা সমস্যা দূরে রাখে।
• মধু ও লেবু মেশানো গরম জল সকাল সকাল খেয়ে নিলে আগের দিন জমা সব টক্সিন গোটা দিন যাবত মল-মূত্র ও ঘাম দিয়ে শরীর থেকে বেরয়। শরীরকে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে এই পানীয় কার্যকর।
• যে কোনও শ্লেষ্মাঘটিত সংক্রমণে মধু ও লেবু দুই-ই কাজে আসে। এই দুই খাদ্যোপাদানই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। তাই প্রতিদিন সকালে গরম জলের সঙ্গে মধু-লেবু মিশিয়ে পান করলে তা ক্রনিক ঠান্ডা লাগা ও সর্দির ধাতের জন্য উপকারী। 
• এই দুই উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ঠাসা হওয়ায় এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক।
এবার প্রশ্ন হল, এই মধু, লেবু ও গরম জল— যাদের এত গুণ, বেশিরভাগ মানুষ তাদের সেবন করে যে উদ্দেশ্য নিয়ে, তাতে তারা কতটা সক্ষম? অর্থাৎ মধু-লেবু মেশানো গরম জলের মেদ কমানোর ক্ষমতা কতটা আছে?
মেদ কমানোর জন্য বেশ কিছু ডিটক্স ওয়াটার ডায়েট চার্টে থাকা বাঞ্ছনীয়। কেউ কেউ তাই মধু-লেবুকে  নিজের খাদ্যতালিকায় রাখেন। তবে মধু ও লেবু সরাসরি মেদ কমায় না। বরং এটি শরীরের বেসাল মেটাবলিক রেট বা বিএমআর (পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাপ) বাড়িয়ে তোলে। ফলে শরীরে মেদ জমে কম। বিশেষ করে খিদে বা তেষ্টার মুখে বেশি ক্যালোরিযুক্ত কোনও খাবার বা পানীয় খাওয়ার চেয়ে মধু-লেবুর জল পান করলে শরীরে বাড়তি মেদ জমে না। তাই শুধু সকাল নয়, দিনের যে কোনও সময় এই জল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে বাড়তি মেদ সরাসরি এই জলের প্রভাবে গলতে শুরু করে ভাবলে তা ভ্রান্ত ধারণা। 
তাহলে মেদ কমাতে ডিটক্স ওয়াটার কেন খাব?
অবশ্যই ডিটক্স ওয়াটার রাখতে হবে ডায়েটে। যে কোনও ডিটক্স ওয়াটারই সহজে পেট ভরায়, হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখে ও বিএমআর বাড়ায়। ফলে শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়ায় বাধাদান করে। তাই প্রত্যক্ষভাবে মেদ না কমালেও পরোক্ষভাবে মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। 
সতর্কতা
নিয়মিত একই ডিটক্স ওয়াটার খেলে একটা সময়ের পর থেকে শরীরের মেদ   সেই জলের সঙ্গে সমঝোতা করে নেয়।  তখন আর মেদ জমার প্রক্রিয়ায় সে বাধা দিতে পারে না। অনেকটা অ্যান্টিবায়োটিক  ও শরীরের ব্যাকটেরিয়ার মতো। একটানা একই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে গেলে সে যেমন শরীরের রূপ পাল্টানো ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে যুঝতে পারে না, এও তেমনই। তাই প্রতি তিন-চার মাস অন্তর ডিটক্স ওয়াটার পাল্টে নিন। শরীর থাকবে ছিপছিপে মেদহীন।
লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়
 
17d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৫ টাকা১১১.৮০ টাকা
ইউরো৯০.৭১ টাকা৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা