বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
সাপ্তাহিক বর্তমান

চিসাং উপত্যকায় দু’রাত্রি
সুব্রত সরকার

পশ্চিম ডামডিম পর্যটক আবাস থেকে চালসায় আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন তারকদা। গতকাল রাতে চেল নদীর চরে, আপালচাঁদের জঙ্গলঘেঁষা চা বাগানের মাঝে পর্যটক আবাসে ছিলাম। শেষ রাতে শুরু হয়েছিল মেঘের গর্জন, বিদ্যুৎ এর ঝলকানি আর তুমুল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি আর ধরেনি। হয়েই চলেছে। তবে তীব্রতা কমেছে। বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই চালসায় চলে এলাম। যাব চিসাং ভ্যালি। কালিম্পং জেলার,  ভারত- ভুটান সীমান্তে তোদে-তাংতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এক ছোট্ট গ্রাম চিসাং। চালসা মোড় থেকে ৪২ কিমি পথ।
চালসা মোড়ে তোদে যাওয়ার শেয়ার জিপে চেপে বসলাম। এগাড়ি আমাকে চিসাং এ নামিয়ে দেবে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এক সবুজ সফর।
শেয়ার জিপে চড়ার মজা হল স্থানীয় মানুষজনদের গা ঘেঁষে বসে ওদের কথা, হাসি, গল্পগুলো শুনতে শুনতে যাওয়া যায়। আজ শেয়ার জিপে চড়ে বসতেই লক্ষ করলাম, বড় বড় দু’বাক্স কেক নিয়ে নাজেহাল এক পাহাড়ি যাত্রী। নিশ্চয়ই বাড়িতে কোনও আনন্দ উৎসব আছে। কিন্তু এখন তার একদম নিরানন্দ মুখশ্রী। কেমন ব্যাজার মুখ করে বসে আছে। হাতে কালিম্পং থেকে আনা কেকের বাক্স। ঠিক কোথায় রাখলে ভালো হবে বুঝে উঠতে পারছে না। কেক এমন একটা শৌখিন জিনিস, সওয়ারি জিপে নিয়ে যাওয়া বেশ ঝক্কির বই কী...!
ঠিক বারোটা দশে জিপের চাকা গড়াল। মনে মনে বললাম, ‘চল হে মুসাফির।’
আকাশ গোমড়া মুখ করেই আছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হচ্ছে। গাড়ি চালসা মোড় ছেড়ে চকচকে চওড়া হাইওয়েতে ছুটতে শুরু করেছে। দেখলাম লেপচা ড্রাইভার মুখে একটা ছুরপি ছুড়ে দিয়ে চিবতে চিবতে স্টিয়ারিংটা শক্ত করে চেপে ধরল। সওয়ারি গাড়ি ছুটছে। দুরন্ত এক্সপ্রেস!
মূর্তি নদীর ব্রিজ, পানিঝোরা বস্তি, রাস্তার ধারের শাল- অশ্বত্থের জঙ্গলের পাশ দিয়ে ছুটতে ছুটতে খুনিয়ামোড়ে এসে চাপড়ামারির জঙ্গল পথে জিপটা ঢুকে পড়ল। এই রাস্তার অবস্থা দেখলাম বেহাল। নতুন করে কাজ হচ্ছে। রাস্তা চওড়া হবে।
কুমানি পর্যন্ত গাড়ি গড়িয়ে গড়িয়ে চলল। নকশাল জঙ্গল থেকে গাড়ি আবার ছুটতে শুরু করল। একে একে গৈরিবাস, ঝালং, প্যারেন, সুডুক পেরিয়ে সওয়ারি জিপ আমাকে নামিয়ে দিল লোয়ার চিসাং এর মোড়ে। পাক্কা আড়াই ঘণ্টাই লাগল। এবার এ গাড়ি  চলে যাবে তোদে বাজার। আপার চিসাং এখান থেকে দু’কিমি। ওখানে আমি দু’ রাত্রি থাকব ফার্ম স্টেতে।
ফার্ম স্টে-এর ডেভিড চটজলদি আমার জন্য একটা ছোট গাড়ি পাঠিয়ে দিল। আমি সেই গাড়িতে চেপে মেঘের রাজ্যে ভাসতে ভাসতে চিসাং ভ্যালিতে পৌঁছে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই দু’কিমি পাহাড়ি পাকদণ্ডীতে যেতে যেতে কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম! ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’ হয়ে গেল। যেদিকেই তাকাই পাহাড় আর পাহাড়। বৃষ্টি ভেজা সবুজ পাহাড়। আর পাহাড়ের বুকে মেঘেদের ঘরবাড়ি। কুয়াশার হামাগুড়ি। কী অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে চিসাং ভ্যালি আমাকে ওয়েলকাম জানাল! এস হে মুসাফির। স্বাগত তোমাকে! আমি যেন এক স্বপ্নের দেশে চলে এসেছি মনে হল।
চিসাং ভ্যালির উচ্চতা সাড়ে চারহাজার ফুট হবে। ফার্ম স্টে-এর মালিক অল্প বয়সি যুবক ডেভিড দূরের পাহাড়ের পাইন গাছগুলো দেখিয়ে বলল, ‘এই উচ্চতা না হলে পাহাড়ে পাইন গাছ দেখতে পাবেন না।’ ডেভিড খুব ছটফটে সপ্রতিভ। সুন্দর উচ্চারণে ইংরেজিতে কথা বলে। ডেভিড আরও বলল, ‘অক্টোবর থেকে বৃষ্টি হয়নি। এই প্রথম গতকাল বৃষ্টি হল। ইউ আর সো লাকি! বৃষ্টিতেই বেশি সুন্দর লাগে চিসাং।’
বৃষ্টিতে ভিজে পাহাড়গুলো যেন আরও সবুজ হয়ে গেছে। চিসাংকে সত্যিই খুব সুন্দরী মনে হচ্ছে। নীল আকাশে মেঘগুলো হেসে খেলে ভেসে বেড়াচ্ছে। চিসাং এর পথে পথে, বাড়িতে বাড়িতে কত রঙিন সব ফুল আর অর্কিড। পাখিও প্রচুর। দু-চোখ ভরে  চিসাংকে দেখছি।
ফার্ম স্টে-এর ছড়ানো ছোট্ট লনটা থেকে চিসাং ভ্যালিকে দারুণ উপভোগ করা যায় সারা দিনরাত। একদম মুখোমুখি দুটো পাহাড়ই ভুটান। এই দুই পাহাড়ে অনেক ছোট ছোট গ্রাম দেখা যায়। তেন্দু তেমনই একটি ভুটানি গ্রাম। ফার্ম স্টে-এর থেকে সারাদিন অনেক নীচের চিসাং খোলার শব্দ শোনা যায়। এই জলধ্বনি বেশ লাগে শুনতে।
লনে বসে কফি খাচ্ছি। চারপাশকে দু’চোখ ভরে দেখছি। পাখির কলতান শুনছি। হরেকরকম পাখি উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। শিস দিয়ে দূরে চলে যাচ্ছে। এখানে অনেক হর্নবিল দেখা যায়। এছাড়া রয়েছে গ্রিন ব্যাকস টিট। গ্রে ট্রিপাই। লং টেইলড শ্রাইক। ব্লু ফ্লাই ক্যাচার ও আরও অনেক অজানা পাখি। পক্ষীপ্রেমীদের ভীষণ ভালো লাগবে  চিসাং ভ্যালি।
সিরিন একরের ঘর লাগোয়া লন পার করেই ছোট্ট ঢালু জমি। সেই জমিতে ঝাড়ু গাছ ও বড় এলাচ গাছের চাষ হয়েছে। রাস্তার ধারে পলি হাউস কয়েকটা। সেখানে মাশরুম চাষ হয়। চিসাং এ চাষ হয় সম্পূর্ণ জৈব সারে। ওরা বলে কাউ ডাং। কোনও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। চিসাং একশো ভাগ অর্গানিক ভিলেজ। প্রায় সব বাড়িতেই সুন্দর করে সব্জি চাষ হয়েছে। ব্রকোলি, বিনস, গাজর, বাঁধাকপি, টম্যাটোতে খেত ভরে আছে। চিসাং পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন এক সবুজ গ্রাম। এখানে সব সময় সুবাতাস বইছে। তাই প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়।
কফি খাওয়া শেষ করে অ্যালেক্স এর সঙ্গে গল্প করতে করতে জিরো পয়েন্টের উচ্চতায় পৌঁছে গেলাম। অ্যালেক্স ডেভিডের সহকারী।  অ্যালেক্সই হোম স্টে-এর সব কিছু যত্ন নিয়ে দেখভাল করে।  ওর বাড়ি নেপালে। কাজের সূত্রে চিসাং এ রয়েছে। অ্যালেক্স সব কথা শুরু করে ‘আই থিংক...’ বলে! আমার বেশ মজা লেগেছে ওর সব কথার শুরুতেই এই ‘আই থিংক...’ বলাটা। চিসাং এ সন্ধ্যা নেমে এল। শান্ত চিসাং আরও নিশ্চুপ হয়ে গেল। মেঘ কুয়াশা আকাশকে ঢেকে রেখেছে।  ছোট্ট বারান্দাটায় এসে বসলাম। অ্যালেক্স কফি দিয়ে গেল। জেনে নিল পটেটো ফিঙ্গার ফ্রাই খাব কি না।
এখানে এসে শুনেছিলাম পাশের ঘরে দুই বিদেশি পর্যটক আছে। ওরা নাকি দশদিন ধরে রয়েছে। ইতালি থেকে এসেছে। এখন দেখতে পেলাম সেই দুজন বিদেশি বৈকালিক ভ্রমণ সেরে ফিরছে। হোম স্টে-এর লনে এসে আমাকে দেখতে পেয়ে অল্প হেসে হ্যালো বলতেই আমিও হ্যালো বলে সম্ভাষণ করে উঠে দাঁড়ালাম। নাম পরিচয় বিনিময় হল। ওরা দুজন অল্পবয়সি যুবক যুবতী। ব্রেন্থ ও অলিভিয়া। আমি কলকাতা থেকে এসেছি শুনে ব্রেন্থ তো আশ্চর্য আনন্দে বলতে শুরু করল, ‘আ বিউটিফুল সিটি। নাইস সিটি। আই লভ কলকাতা...!’
ওর কলকাতাকে এত ভালোলাগার কারণ জানলাম গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওরা দুজন ১৭ দিন কলকাতায় ছিল। ভবানীপুরে ছিল কোনও বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে। গত চার মাস ধরে ওরা ভারতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ঘুরেছে। কিন্তু মন কেড়েছে কলকাতা। ‘কলকাতা সামথিং ডিফারেন্ট।’ বারবার কলকাতার কথা ওরা হেসে হেসে বলছে। তারপর বলল, জয়দেব কেঁদুলির কথা। বাউলের কথা। ওরা বোলপুর শান্তিনিকেতনও ঘুরে এসেছে। বাউল গান শুনেছে। আরও কিছু টুকিটাকি কথা বলে ব্রেন্থ ও অলিভিয়া হাসতে হাসতে ঘরে চলে গেল।
আমি একলা বসে সন্ধ্যার চিসাংকে প্রাণ ভরে দেখছি। পাহাড়ে রাত বড় তাড়াতাড়ি নেমে আসে। আজ প্রথম রাত। ডিনার দিয়ে দেবে একটু পরেই। হঠাৎ কানে ভেসে এল গিটারের টুংটাং। ডেভিড এর ঘরে ইংরেজি গানের মূর্ছনা। ‘o moon you delighted me, i love you, i love you...’ গানের কথার সঙ্গে একটা মায়াবী উচ্চারণ ভেসে এল ওদের ঘর থেকে। অ্যালেক্স বলল, ‘ওরা সব ডেভিডের বন্ধু।’
 ডিনার শেষ করে ঘরে ঢুকতেই টিনের চালে বৃষ্টির ঝঙ্কার।  আবার শুরু হল বৃষ্টি।  প্রথমে অল্প। তারপর একটু জোরে। তারপর একদম ঝমঝম করে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির গান শুনতে শুনতে ঘুম নেমে এল চোখের পাতায়।
পরদিন সকালে উঠে দেখি আকাশ নীল। সুন্দর ফর্সা আকাশ। ডেভিড আমার জন্য একটা ছোট গাড়ি বলে রেখেছে। সে গাড়ি করে বেড়াতে যাব সীমানা খোলা, দাওয়াই খোলা, তাংতা খোলা ও তোদে।
গাড়ি চলে এল সময়মতো। অ্যালেক্স যাবে আমার সঙ্গে গাইড হয়ে। গাড়ির ড্রাইভার রিনচেন শেরপা। বেশ হাসিখুশি। আলাপ করে ভালো লাগল।
আপার চিসাং থেকে ধীরে ধীরে নেমে এলাম অনেক নীচে। কম বেশি তিন কিমি পথ। দাওয়াই খোলার কাছে এসে গাড়ি দাঁড়াল। অপূর্ব সুন্দর দাওয়াই খোলার চারপাশ। পাশেই ভুটান পাহাড়। এই খোলার জল নাকি মেডিসিনের মতো কাজ করে।  স্থানীয় মানুষের এটা বিশ্বাস।  তাই নাম দাওয়াই খোলা। 
নদীর চরে  ফুটবলের মতো গোল সাদা সাদা অনেক টেন্ট দেখলাম। বেশ চমৎকার। নদীর পারে এমন বাহারি টেন্টে থাকার মজাই অন্যরকম। 
দাওয়াই খোলায় হাওয়া বইছে শন শন। শীত করছে। নদীর জলে পা ডুবিয়ে বেশি মজা করা গেল না। একটা বাঁশের নড়বড়ে ব্রিজ বহুদিনের পুরনো। তাতে উঠে পার হলাম দাওয়াই খোলা। 
দাওয়াই খোলার পাশেই সীমানাখোলা। হাঁটতে হাঁটতেই চলে গেলাম সীমানা খোলার কাছে। এই জায়গাটাও চমৎকার।  নির্জন নিশ্চুপ। আমি আর অ্যালেক্স ছাড়া কেউ নেই। আছে কিছু পাখি। কিছু নয়। অনেক পাখি। পাহাড়ে পাহাড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে সে সব পাখির দল। সীমানাখোলার জলে স্রোত আছে। দূরের ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসছে এই জল।  গড়াতে গড়াতে আরও নীচে নেমে জলঢাকায় গিয়ে মিশে যাবে।
সীমানাখোলা নামের একটা তাৎপর্য হল এটা একটা সীমান্ত। পাশেই ভুটান। এই নদী দু-দেশের সীমানাকে চিহ্নিত করে রেখেছে।
সীমানাখোলা থেকে একটু দূরে অনেকটা ঢালু জমির নীচে কুল কুল করে বইছে তাংতা খোলা। তাংতা অনেকটা উচুঁতে। সেখানে একটা মনাস্ট্রি আছে। তাংতা খোলার জল গড়িয়ে গড়িয়ে নীচে গিয়ে চিসাং খোলার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। 
একটা সকালে তিন তিনটে পাহাড়ি নদী দেখার আনন্দ মনকে মাতিয়ে দিল। অ্যালেক্স এর সঙ্গে খোলার জলে নেমে অনেক ছবি তোলা হল। রোদ ঝলমল দিন নয়। তবু চারপাশটা বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।   এবার আমরা যাব তোদে। তোদে দাওয়াই খোলা থেকে সামান্য দূরে। খুব বেশি হলে দু কিমি চড়াই পথ। পথে পড়ল একটা ছোট্ট পাহাড়ি  গ্রাম। পাহাড়ের ধাপে ধাপে কী সুন্দর ধাপ চাষ চোখে পড়ল। গাড়ির ড্রাইভার রিনচেন বেশ গর্ব করে বলল, এই গ্রামে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা হয়। নেপাল, সিকিম, ভুটান থেকে সব প্রতিযোগীরা আসে। সে সময় বিরাট উৎসব হয় এখানে।
তোদে বাজারের ওপরে ৭৫ বছরের পুরনো একটা চার্চ দেখতে পেলাম। বাজারের পাশ দিয়ে একটা পাকদণ্ডী চড়াই ধরে ওপরে উঠে গিয়ে চার্চটা দেখে মন ভরে গেল। চার্চে এখন টুকিটাকি কাজ হচ্ছে। সংস্কার চলছে। নতুন করে রং হচ্ছে। এবছর চার্চে ৭৫ বছর খুব ধুমধাম করে পালন করা হবে। চার্চের পাশেই একটু ওপরে একটা জুনিয়ার হাই স্কুল। স্কুলের বাচ্চাগুলো আমাকে দেখে হাত নেড়ে টা টা করছিল। আমিও ওদের টা টা করে চার্চ দেখে  ধীরে  ধীরে নেমে এলাম তোদে বাজারে। বাজার শুনশান। প্রতি রবিবার তোদেতে হাট হয়। সেদিন বাজার গমগম করে।
সকালটা বেশ সুন্দর সাইট সিয়িং দেখার আনন্দে কেটে গেল।  ফিরে এলাম তারপর চিসাং উপত্যকায়। 
ফার্ম স্টে-তে এখন আমি একা। দুই বিদেশি আজ নীচে নেমে চলে গেছে। ওরা নদীর ধারে টেন্টে থাকবে কটা দিন। আশ্চর্য ওদের ভ্রমণ নেশা। কোথায় ইতালির কোন শহরে থাকে, সেখান থেকে ভারতের এমন একটা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামকে বেছে নিয়ে এক্সপ্লোর করার আনন্দে বিভোর হয়ে রয়েছে। মাঝে একবার শুধু ভুটান সীমান্ত জয়গাঁওতে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে পাশপোর্ট  রি-নিউ করে নিয়ে এসেছে আরও তিন মাসের জন্য, এটা ব্রেন্থ আমাকে কাল গল্পের ছলে বলেছিল। 
আজ চিসাং এর সন্ধ্যা-রাত্রি আমাকে নির্জনতার আনন্দ আরও বেশি করে উপহার দিল। আকাশ একটু পরিষ্কার। লনে হাঁটলাম। হাল্কা ঠান্ডা। কিন্তু খুব উপভোগ্য। চিসাং উপত্যকায় একটাই মৃদু শব্দ তা হল চিসাং খোলার গান। সেই জলধ্বনি কান পেতে শুনতে শুনতে রাত গভীর হল। আজ ডিনার একটু দেরি করেই নিলাম। অ্যালেক্স আমার অনুরোধটা রেখেছে। নিজের মতো করে নিজেকে নিয়ে ছিলাম অনেকটা সময়।
পাহাড় ঘুমিয়ে পড়েছে। চিসাং ঘুমিয়েছে।  চিসাং উপত্যকার এই গভীর রাত্রির সৌন্দর্য শেষ বারের মতো একবার দেখে নিতে ঘর ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। আহা কী অপূর্ব লাগছে চারপাশ। পাহাড়ে অন্ধকার রাত্রির এই রূপ চিসাং উপত্যকায় যেন নতুন করে আবিষ্কার করলাম। 
চিসাং উপত্যকায়  দুটো দিন-রাত্রি আমার মত মুসাফিরের জীবনে সেরা সঞ্চয় হয়ে থেকে গেল এ জীবনে!..
কীভাবে যাবেন :- শিয়ালদহ থেকে রাতের কাঞ্চনকন্যায় পরেরদিন সকালে নিউ মাল জংশন। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে সরাসরি চিসাং ভ্যালি পৌঁছে যাওয়া যায়। ৫৩ কিমি পথ। অথবা চালসা মোড় থেকে তোদে শেয়ার জিপে চিসাং চলে যাওয়া যায়।            
ছবি : লেখক
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

হস্তশিল্পীদের কর্মোন্নতি ও নতুন কর্মের সুযোগ লাভের সম্ভাবনা। পেশাদার ডাক্তার, আইনজীবী ও অধ্যাপকদের পক্ষে দিনটি...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৭৮ টাকা৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড১০৩.৬৮ টাকা১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো৮৭.৬০ টাকা৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা