শাশ্বত যৌবন বলতে বার্ধক্যমুক্ত মানুষের শারীরিক অমরত্বের ধারণাকেই বোঝায়। নিজের এবং প্রিয়জনের দীর্ঘ আয়ু সকলেই চায়। কিন্তু আয়ু তো সময়ের বশ। তবে দীর্ঘজীবনে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব। সে জন্য চাই সঠিক লাইফস্টাইল। বিষেশত খাদ্যাভ্যাস। বয়স বাড়ুক কিন্তু ফিটনেস থাকুক, ত্বক থাকুক টানটান, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, চুল থাকুক মাথা ভর্তি— এর চেয়ে ভালো আর কিই বা হতে পারে। কথায় আছে ফলাহার। ফলের ওপর নির্ভরতা কতভাবে যে জীবনকে রক্ষা করে তা আজও অজানা। কোন বয়সের মানুষ কখন, কতটা ফল খাবেন? সুগার রোগীরা কি সব ফল খেতে পারবেন? কোন ফলে কী কী রোগ ঠেকানো যায়?
নিজের এবং প্রিয়জনের দীর্ঘ আয়ু সকলের একান্ত কাম্য কিন্তু বয়স বাড়লে চেহারায় বয়সের ছাপ তো পড়বেই! বয়স বাড়ুক কিন্তু ফিটনেস থাকুক, ত্বক থাকুক টানটান, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, চুল থাকুক মাথা ভর্তি এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। বয়স বাড়ার চিহ্ন সবচেয়ে বেশি দেখা যায় দেহের ত্বকে এবং চোখের চারপাশে। কখনও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে, দাগ ছোপ আর রিংকলসে এছাড়া বলিরেখা তো আছেই। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বা টানটান ভাব নষ্ট হতে থাকে। চুলও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাতলা হয়, কালো থেকে সাদা হতে থাকে। দেহের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়ে, বেশি পরিশ্রম দৌড়ঝাঁপে শরীর মোটেই সহযোগিতা করতে চায় না। আমাদের ত্বককে বলা হয় ‘লার্জেস্ট অর্গান অব হিউম্যান বডি’। দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। এতে যেমন সবচেয়ে বেশি বয়স বাড়ার লক্ষণ ধরা পড়ে তেমনই তার প্রতিকার স্বরূপ নানা অ্যান্টি এজিং কসমেটিকস ত্বকে প্রয়োগ করে বয়সের ছাপ দূর করার চেষ্টা আমরা করেই থাকি। রোদের তাপ, আল্ট্রাভায়োলেট রে, পর্যাপ্ত জলের অভাব, পরিবেশের দূষণ এবং বয়স ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর পরিমাণ কমিয়ে দেয় যার ফলে বলিরেখা ও অন্যান্য বয়সের ছাপ ধরা পড়ে। অতিরিক্ত ধূমপান, জিনগত কারণ এজিং প্রসেসকে দ্রুত করে, যারা অপেক্ষাকৃত গাঢ় বর্ণের অধিকারী (ডার্কার স্কিন কালার) তাদের বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে। প্রধানত হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত ক্রিম, সিরাম ইত্যাদি অ্যান্টি এজিং প্রোডাক্ট আমরা ব্যবহার করি। কিন্তু এর থেকে অনেক সস্তা, কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর হল নানা ধরনের ফল—
বেরিস: যত রকমের বেরি জাতীয় ফল পাওয়া যায় বয়সের ছাপ দূর করতে সেসবই আদর্শ। ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি, র্যাস্পবেরি এদের প্রত্যেকটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ, কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। ফ্রি-র্যাডিক্যালস দূর করে কোলাজেন ড্যামেজ কমায়, দূষণ এবং ইউভি রে জনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এদের মধ্যে ব্লুবেরি সবচেয়ে ভালো— আল্টিমেট অ্যান্টি এজিং সুপার নামে পরিচিত। ব্লুবেরি হার্ট ভালো রাখে, কোলেস্টেরল ও সুগার লেভেল কমায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সরাসরি রস বা স্মুদি তৈরি করে বেরি খেতে পারেন। শুকিয়ে নিয়ে ড্রাই ফ্রুটের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়। এছাড়া কোনও ডেজার্ট বা কেকের উপকরণ হিসেবে মিশিয়ে খেতে পারেন। উত্তর আমেরিকায় ব্লুবেরি পাতা জলে ফুটিয়ে ব্লুবেরি টি তৈরি করা হয় যা ইমিউনিটি বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি ও মেধা বাড়াতে সাহায্য করে।
পেঁপে: ভিটামিন এ, সি, ই-এর প্রাকৃতিক উৎস পেঁপে বয়সজনিত ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে খুব ভালো কাজ দেয়। পেঁপে কাঁচা এবং পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। পাকা পেঁপের টুকরো সামান্য লেবুর রস ও বিট নুন মিশিয়ে খেতে পারেন সকালে ব্রেকফাস্টের পর। পেঁপে ভালো পেস্ট করে ত্বকে লাগালে, দাগ-ছোপ-বলিরেখা কমে, স্কিন ট্যান দূর হয়, স্কিন র্যাশ কমে, রিংকলস্ কমে, অ্যাকনে বা পিম্পলস কমে। পেঁপের রস ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। পেঁপের মধ্যে আছে এনজাইম প্যাপিন যা এক্সফোলিয়েশন করে ত্বকের মরা কোষের স্তর সরিয়ে দেয়। পেঁপে ত্বকের রুক্ষভাব কমায়, ত্বক মসৃণ হয়। এটি ন্যাচারাল স্কিন ময়েশ্চারাইজার, নিয়মিত পেঁপের পেস্ট ত্বকের নিষ্প্রাণভাব দূর করে, ত্বক উজ্জ্বল হয়। রুক্ষ অথবা তেলতেলে দু’ধরনের ত্বকেই এই ফল সমানভাবে উপযোগী।
ডালিম ও বেদানা: ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে এই ফলে আছে ‘ইউরোলিথিন এ’ নামক যৌগ যা অ্যান্টি এজিং, গুণযুক্ত প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ফ্রি র্যাডিক্যালস কমায়, সেল ড্যামেজে বাধা দেয়। এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় কোলাজেন টিস্যু তৈরি করতে সাহায্য করে ত্বকে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে, ত্বকের ‘গ্লো’ অর্থাৎ ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। জ্যুস হিসেবে খেতে পারেন, তবে এর দানা চিবিয়ে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এছাড়া ডেজার্টের সঙ্গে, ফ্রুট স্যালাডের সঙ্গে অথবা চিকেন স্যালাডের সঙ্গে এই ফলের দানা মিশিয়ে খেতে পারেন। ডালিম বা বেদানা রসে চিনি এবং লেবুর রস মিশিয়ে কম আঁচে ফোটাতে হবে। যখন রস ঘন হয়ে মধুর মতো গাঢ় হবে তখন আগুন থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। একে বলে পমগ্রানেট মোলাসেস। কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখলে প্রায় ছ’মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। যে কোনও স্যালাড এবং ডেজার্টে মিশিয়ে খেতে পারেন।
আঙুর: বয়সের ছাপ দূরে রাখতে কালো অথবা সবুজ দু ধরনের আঙুরই ভালো। তবে কালো আঙুর বেশি কার্যকর। এতে আছে ‘রেসভেরা ট্রল’ নামে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিএজিং কম্পাউন্ড। আঙুর নিয়মিত খেলে ত্বক নরম, চকচকে হয়, সানবার্ন, ব্ল্যাক পিগমেন্টেশান কমে আর ত্বকে আসে রেডিয়্যান্ট গ্লো। এর ভিটামিন ‘সি’ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে, ভিটামিন ‘এ’ কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে আর ভিটামিন ‘ই’ পুরনো নিষ্প্রাণ কোষের স্তর সরিয়ে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। ইয়োগার্ট কিংবা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে আঙুর খেতে পারেন। অথবা আঙুর, স্ট্রবেরি, বেদানা আর ডার্ক-চকোলেট একসঙ্গে মিশিয়ে খান। জেনে রাখুন বয়সের লক্ষণ কমাতে ডার্ক চকোলেট খুব ভালো অ্যান্টি এজিং এজেন্ট। প্রতিদিন দশ মিনিট মুখে গ্রেপ প্লাপ মাসাজ করলে ত্বকে দুর্দান্ত গ্লো আসে, অ্যাকনে হয় না, সান বার্ন আর রিংকলস কমে যায়।
তরমুজ: এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি এজিং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে যেমন ভিটামিন ‘সি’, লাইকোপিন, গ্লুটাথায়োন-এর ফলে সেল ড্যামেজ কম হয় হাইপার পিগমেন্টেশান কমে, বেশি মাত্রায় কোলাজেন তৈরি হয়। তরমুজ বা মেলন ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরিতে বাধা দেয়, ফলে দাগ ছোপ কমে। এছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে তরমুজ খুব ভালো। তরমুজ র্যাশ কমায়, ট্যান কমায়, বলিরেখা কমায়, ত্বককে উজ্জ্বল করে। তরমুজের রস ঠান্ডা করে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তরমুজ আর পেয়ারা দিয়ে ফ্রুট স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া মেলন জ্যুসে অথবা স্মুদি হিসেবে পান করতে পারেন। তরমুজ, মিন্ট আইস, লেবুর রস আর সামান্য বিটনুন মিশিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে তৈরি করতে পারেন রিফ্রেশিং, সামার ড্রিঙ্ক।
কিউয়ি: এই ফল কোলাজেন সিনথেসিস-এ সাহায্য করে, ত্বকের পুষ্টি জোগায়, দাগছোপ, বলিরেখা কমায়, আলগা বা শিথিল ত্বককে পুনরায় টান টান করতে সাহায্য করে। কিউয়ি হাইপার পিগমেনটেশান কমায় ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এতে প্রচুর প্রয়োজনীয় মিনারেলস, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বি, সি, ই ও কে আছে। এটি অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিহাইপার টেনসিভ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি এজিং, অ্যান্টি ক্যান্সার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণযুক্ত। এই ফল প্রথম চীন দেশে পাওয়া যেত। বর্তমানে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে প্রচুর কিউয়ি উৎপাদন হয়। তাজা কিউয়ির টুকরো খেতে পারেন। বরফের কুচি ও কিউয়ি সামান্য বিট নুন ও চিনি নিয়ে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে তৈরি করতে পারেন কিউয়ি জ্যুস। আমন্ড, আনারস, কলা আর কিউয়ির টুকরো মিশিয়ে নিলে ফ্রুট স্যালাড রেডি। অথবা স্ট্রবেরি, কিউয়ি, জাম ও র্যাস্পবেরিতে লেবুর রস মিশিয়ে মেখে খেতে পারেন।
আম: ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ থাকার জন্য আম প্রিম্যাচিওর এজিং নিয়ন্ত্রণ করে। ফেসপ্যাকে আমের পাল্প মিশিয়ে ব্যবহার করলে রিংকলস আর ফাইন লাইনস কমাতে সাহায্য করে ত্বক দাগছোপহীন থাকে। তবে দিনে একটার বেশি আম (অথবা খুব বড় হলে অর্ধেকটা) খাবেন না এবং সপ্তাহে ৩-৪ দিন এর বেশি আম খাবেন না। আমে আছে বিটা ক্যারোটিন যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে, সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে, বলিরেখা কমায়, গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল করে। আম সানবার্ন এবং স্কিন ট্যান কমাতে সাহায্য করে। আমের আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘ই’ এবং ‘সি’ যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। আমের ভিটামিন কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়া আমে ম্যাঞ্জিফেরিন নামে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়।
অ্যাভোকাডো: প্রচুর ভিটামিন ‘ই’ যুক্ত এই ফল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ত্বকের কোষকে রক্ষা করে। এর ফলে বয়সের ছাপ পড়ে না। এছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভিটমিন ‘সি’ ও ক্যারোটিনয়েডস আছে। এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের ইনফ্ল্যামেশান দূর করে। অ্যাভোকাডো ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে। অ্যাভোকাডো স্মুদি এবং ফ্রুট স্যালাড বানিয়ে খাওয়া যায়, মাছ-মাংসের বিভিন্ন পদে অ্যাভোকাডোর কুচি ছড়িয়েও খেতে পারেন। এই ফল ওজন কমায় আর হার্ট ভালো রাখে।
আনারস: একে ভারতের অন্যতম সেরা অ্যান্টি এজিং ফলের তকমা দেওয়া হয়েছে। হেলদি, গ্লোয়িং রিংকল ফ্রি স্কিনের জন্য জরুরি ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে যা এই ফলে প্রচুর মাত্রায় থাকে। এই সমস্ত ভিটামিন কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, ফ্রি-র্যাডিক্যালস দূরে করে। আনারসের আছে ব্রোমেলিন যা ত্বককে রিজুভিনেট করে আর এর পটাশিয়াম নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে।
আপেল: আপেল প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, ‘বি’ কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। আপেল ত্বকের দাগ ছোপ, অ্যাকনে এবং ডার্ক সার্কেল কমায়, এজ রিলেটেড স্কিন পিগমেন্টেশান কমায়। নিয়মিত আপেল খেলে ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর হয়, চোখের ফোলা ভাব (পক্ষী আইজ) কমে। ত্বকের প্রয়োজনীয় কোলাজেন টিস্যুর উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আপেলের পেস্ট মাখলে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমে।
কীভাবে খাবেন, কতটা খাবেন ফল?
সুগার, কিডনির সমস্যা না থাকলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০ গ্রাম করে ফল খেতেই পারেন। তবে বাচ্চারা অনেকেই গোটা ফল খেতে পারে না। তারা ২০০ এমএল করে ফল খেতে পারে। তবে একটু কিশোর-কিশোরীরা অবশ্যই গোটা ফল খেতে পারে। গোটা ফল খেলে শরীরে ফাইবার ঢোকে। ফলে কনস্টিপেশনও রোধ করে।
সমস্যা হল ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে সব ফল নিশ্চিন্তে খাওয়া যাবে না। আম, আপেেলর মতো ফল ডায়াবেটিকরা খাবেন ক্যালোরি মেপে। যদি কোনও ডায়াবেটিস আক্রান্তর প্রতিদিন ডায়েটের মাধ্যমে ১৮০০ ক্যালোরি এনার্জি গ্রহণের অনুমতি থাকে, তাহলে তিনি ওই ১৮০০ ক্যালোরির মধ্যেই ফলের ক্যালোরি ধরে খাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ৫০ গ্রাম আমে থাকে মোটামুটি ৩০-৩৫ ক্যালোরি এনার্জি। আপেলে থাকে ২৫ ক্যালোরি এনার্জি। তাহলে কোনও ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি আম বা আপেল খেলে তাঁকে ওই দিন বাকি খাদ্য থেকে ১৭৭০ ক্যালোরি মতো এনার্জি সংগ্রহ করতে হবে! অর্থাত্ ভাত, আলুর মতো খাদ্য কম খেতে হবে। আবার বেরিজ অর্থাত্ জাম-এর মতো ফল ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন, খেতে পারেন আনারস, পেঁপে ও বাকি ফল।