নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: গভীর রাতে বান্ধবীকে অন্ধকার জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে অশোকনগর থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ধৃতদের বাড়ি অশোকনগর থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মিহির বিশ্বাস (২৬) সৌভিক মণ্ডল (২০) ও এক নাবালক রয়েছে। শুক্রবার রাতেই ধৃত তিনজনকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে অশোকনগর থানার পুলিস।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ নির্যাতিতা কিশোরীকে ফোনে বাড়ির বাইরে আসতে বলে এক কিশোর। প্রেমিকের কথা শুনে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নির্জন জায়গায় আসে সে। তারপর সেখানে শুরু হয় মদের আসর। আর সেখানেই মদের সঙ্গে কিছু খাইয়ে কিশোরীকে বেহুঁশ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু মিলে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার সকালে গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়। তারপরেই পরিবারের লোকজন অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বিকেলে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে অশোকনগর থানার পুলিস। যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানেই রয়েছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার তারক দাসের বাড়ি। পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। তারক দাস বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই এলাকাটি অন্ধকার। ফলে, অপরাধ করতে যথেষ্ট সাহস পেয়েছে ওরা। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। অন্ধকার ওই এলাকায় আলো বসানোর ব্যবস্থা করব। স্থানীয় বাসিন্দা গুপি মজুমদার বলেন, একজন নাবালিকাকে তিনজনে মিলে গণধর্ষণ শুনলেই শরীরটা শিহরিত হয়ে উঠছে। পুলিস যথেষ্ট তৎপর। অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে ৩০ মিটার বা স্কুল চত্বরে এই ঘটনা। অশোকনগর থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার রাতেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেরায় গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে নিয়েছে তিনজনই।