কলকাতা

বন্যা বিধ্বস্ত খানাকুলে এবার পুজোর জৌলুস কমিয়ে দুর্গতদের সাহায্য

রামকুমার আচার্য, খানাকুল: বন্যা বিধ্বস্ত খানাকুলে মন ভালো নেই কারও। জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় মার খাচ্ছে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিও। ফলে অনেকেই জৌলুস কমানোর পরিকল্পনা নিচ্ছেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, পুজোর প্রস্তুতি কয়েক মাস আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল। সেইমতো বাজেট ধরা হয়েছিল। কিন্তু বারবার বন্যা পরিস্থিতির ধাক্কায় কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে বাসিন্দাদের। ফলে অনুদান সংগ্রহে তাঁরা সমস্যায় পড়তে পারেন। খানাকুলের বিভিন্ন পুজো কমিটিই আতান্তরে পড়েছেন।
খানাকুলের বয়েজ ক্লাবের দুর্গাপুজো বিগ বাজেটের বলেই পরিচিত। সেখানকার পুজো সভাপতি নবকুমার বাগ বলেন, অনেক দিন আগে থেকেই আমরা পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সেইমতো বিভিন্ন খাতে টাকাও দেওয়া রয়েছে। কিন্তু, এখন খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতিতে অনেকটাই ফাঁপরে পড়েছি। পুজো নিয়ে না পারছি ভালো করে এগতে, না পারছি পিছিয়ে আসতে। আপাতত মণ্ডপের কাজ চলছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
ঘোষপুর সর্বজনীন সমাজ শিক্ষা কেন্দ্রের পুজোকেও বিগ বাজেটের ধরা হয়। সেখানকার কর্মকর্তা শেখ হায়দার আলি, শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জেরে আমাদের পুজোর মণ্ডপের কাঠামো জলে ডুবে ছিল। জল নামলেও কাদা জমে রয়েছে। তাই পুজোর প্যান্ডেল অন্যত্র সরানো হচ্ছে। ফলে আমাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেল। এবার বাজেট কমানো হচ্ছে। কাটছাঁট করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠানেও। বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ ও বস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 
মারোখানা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক সুজিত পাল বলেন, এখনও বন্যার রেশ কাটেনি আমাদের এলাকায়। দুর্গত মানুষজন নানা সমস্যায় রয়েছেন। ফলে পুজো পরিচালনায় পর্যাপ্ত অনুদান পাওয়া নিয়েও চিন্তা রয়েছে। তাই পুজোর দিনগুলিতে অনুষ্ঠানের বহর কমানো হতে পারে। একইসঙ্গে অলোক সজ্জা সহ অন্যান্য বিষয়গুলিতেও বাজেট কিছুটা কাঁটছাট করা হবে। এলাকার দুর্গত মানুষদের পাশে থাকাও আমাদের লক্ষ্য। 
হানুয়া জাগরণী সঙ্ঘের সম্পাদক প্রদীপ সামন্ত বলেন, আমাদের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির জেরে এখনও সব কিছু স্বাভাবিক হয়নি। ফলে পুজো মণ্ডপ বাঁধার কাজ কবে শেষ করতে পারব তার নিশ্চয়তা নেই। তাই পুজোর বাজেট এবার অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নানা ধরনের অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও বাতিল করা হচ্ছে। অন্যান্য খাতের খরচও কমানো হচ্ছে।  উল্লেখ্য, টানা প্রায় ১৫ দিন ধরা বন্যা পরিস্থিতির দুর্ভোগে ভুগছেন খানাকুলের বাসিন্দারা। ঘর বাড়ি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনই ধান সহ অন্যান্য সব্জি চাষেও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল চাষিদের। ফলে বাসিন্দাদের থেকে চাঁদা সংগ্রহেও পিছিয়ে আসতে হচ্ছে। এমনকী পুজোর সময় ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা থাকায় বন্যার ভ্রূকুটি নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন খানাকুলের বাসিন্দারা। তাই তাঁরা পুজোর আয়োজন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। তবে রাজ্যের তরফে দেওয়া ৮৫ হাজার টাকার অনুদান পুজো কমিটিগুলিকে অনেকটাই অক্সিজেন দিচ্ছে বলেও একাধিক পুজো কমিটি জানিয়েছে। খানাকুলের পাশাপাশি আরামবাগ, গোঘাট, পুরশুড়ার একাংশও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বন্যা কবলিত সেই সব এলাকার পুজো উদ্যোক্তারাও অনেকে বাজেটে কিছুটা কাঁটছাট করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। তারসঙ্গে অনেকে দুর্গতদের সাহায্য করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। 
8d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৫ টাকা১১১.৮০ টাকা
ইউরো৯০.৭১ টাকা৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা