বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
খেলা

৭৫’এর পাঁচ গোলের খবর পেয়ে চোখ খুলেছিলেন কোমায় আচ্ছন্ন শচীন কত্তা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোমায় আচ্ছন্ন তিনি। চিকিৎসায় মিলছে না সাড়া। প্রতিদিন হাসপাতালে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে পুত্র পঞ্চমের। এছাড়া শচীন কত্তাকে দেখতে আসছেন কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকরের মতো কিংবদন্তিরা। সকলেরই আশা, শচীনদা একদিন না একদিন সুস্থ হবেন। 
কিন্তু না। ১৯৭৫’এর ৩১ অক্টোবর সুরের জগৎ থেকে বিদায় নেন এস ডি বর্মন। ‘বড়ি শুনি শুনি হ্যায়...’ সেদিন বলিউডের আবহ।  তার কয়েকদিন পর এক সাক্ষাৎকারে রাহুল দেববর্মন বলেছিলেন, ‘বাবার মুখে শেষ হাসি দেখেছিলাম সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ। সেদিন মোহন বাগানকে ৫-০ গোলে হারায় ইস্ট বেঙ্গল। সেই খবর হাসপাতালের বেডে শোওয়া বাবাকে দিয়েছিলাম। তখন কোনওকিছুই আর কাজ করছে না তাঁর। ডাক্তাররা এক প্রকার জবাব দিয়েই দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সেই খবর শুনে বাবা চোখ মেলে তাকিয়েছিলেন। স্মিত হাসিতে ছিল অদ্ভুত প্রশান্তি। এই ঘটনা ভোলার নয়।’ 
শচীন কত্তার ইস্ট বেঙ্গল প্রেম অনেকেরই জানা। জন্ম থেকেই লাল-হলুদের অন্ধ সমর্থক তিনি। ১৯৪২ সালে প্রথম লিগ জয়ের পর সচিব বনোয়ারিলাল রায়ের বাড়িতে আয়োজিত বিজয়োৎসবে গান গাইতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। চার ও পাঁচেক দশকে ইস্ট বেঙ্গলের খেলা থাকলেই মাঠে হাজির হতেন তিনি। আর দল গোল করলে উদ্বাহু হয়ে নাচতেনও। বিখ্যাত পঞ্চপাণ্ডবের (আমেদ, সালে, ভেঙ্কটেশ, ধনরাজ ও আপ্পারাও) প্রত্যেকেই তাঁর অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। তাঁদের খেলা দেখে তিনি চিৎকার করতেন, ‘আহা কী লয়, কী তাল, কী ছন্দ’। তখন তাঁর মাঠের সঙ্গী বিখ্যাত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্যালারিতে এসডি’র বসার ভঙ্গিও ছিল বেশ মজার। সামনের ধাপে পা মেলে রাখতেন তিনি। বসতে দিতেন না অন্য কোনও সমর্থককে। খেলা চলার সময় একটার পর একটা পান পুরে দিতেন মুখে। লিগের বড় ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গল জেতার পর আনন্দে তিনি ধর্মতলার মোড়ে এসে ট্রামের সামনে বসে পড়ে তাঁকে চিৎকার করে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এই ট্রামটা আমি আজ কিনুম’। জানা যায়, পঞ্চপাণ্ডবের জন্য ১৯৪৯ সালে এসডি ইস্ট বেঙ্গলকে নিয়ে যান ত্রিপুরাতে। স্থানীয় বীরেন্দ্র ক্লাবের সঙ্গে দু’টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেন আমেদ খানরা। উল্লেখ্য, শচীন কত্তার পূর্বপুরুষ মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য দেববর্মা ছিলেন ইস্ট বেঙ্গলের এক পৃষ্ঠপোষক। তাঁর পতাকা বহন করে চলেন এসডি এবং আরডি। 
ছয়ের দশকে পাকাপাকিভাবে বোম্বে পা঩ড়ি দেন শচীন কত্তা। তাই ইস্ট বেঙ্গল মাঠে আর আসা সম্ভব হতো না তাঁর। কিন্তু রোভার্স কাপের ম্যাচে নিয়মিত যেতেন। শুধু তাই নয়, মাঠে নামার আগে লাল-হলুদ ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরা ছিল তাঁর অভ্যাস। ঘনিষ্ঠদের বলতেন, ‘ইস্ট বেঙ্গল আমার কাছে লড়াইয়ের অপর নাম। লাল-হলুদ জার্সি মাঠে দাপাদাপি করছে দেখলে আমিও বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি। এই দলটাই আমার চালিকাশক্তি।’ 
আজ ইস্ট বেঙ্গল প্রতিষ্ঠা দিবস। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তারকার ছড়াছড়ি। শচীন কত্তা থাকলে নিজের গান একটু অদলবদল করে নিশ্চয়ই গাইতেন, ‘সব ভুলে যাই, তা’ও ভুলিনা ইস্ট বেঙ্গলের কোল...’।
6Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির  সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৬.৬৮ টাকা৮৮.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৭.৫০ টাকা১১১.২৬ টাকা
ইউরো৮৯.৩০ টাকা৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা