বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর

টিকাকরণে আগ্রহী কাটোয়াবাসী,
সেলের বাজারে উধাও সচেতনতা

 

সংবাদদাতা, কাটোয়া: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এবার অনীহা কাটিয়ে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী কাটোয়ার বাসিন্দারা। কবে দেওয়া হবে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ, তা জানতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে খোঁজখবর শুরু করেছেন তাঁরা। তবে শহরের চৈত্র সেলের বাজারের ভিড়ে মাস্ক পরার প্রবণতা কমেছে। এনিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।
এ ব্যাপারে কাটোয়া মহকুমার এসিএমওএইচ শুভজিৎ দে বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। এখনই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তবে আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে অনেকে অনিচ্ছুক ছিলেন। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ভ্যাকসিন দিতে। এখন আবার সবাই তাতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। চৈত্র সেলে বাজার করতে গিয়ে প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে।
৪৫বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিক ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রথমে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে চাননি। অনেকের ভ্যাকসিন নিয়ে ভুল ধারণাও ছিল। সেক্ষেত্রে বারবার তাঁদের বুঝিয়ে ভ্যাকসিন দিতে সচেষ্ট ছিল স্বাস্থ্যদপ্তর। এবার রাজ্যজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ভয়ে ভ্যাকসিন নিতে ছুটছেন সকলে। কাটোয়ার এক বাসিন্দা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম ভ্যাকসিন নিলে শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এখন বুঝছি সেই ধারণা একেবারে ভুল। তাই আবার ভ্যাকসিন নিতে এসেছি। 
অন্যদিকে, গতবার লকডাউন থাকায় চৈত্র সেলের বাজার বসেনি। তাই এবার ভিড় বাড়ছে সেলের বাজারে। শহরের কাছারি রোড, স্টেশন রোডজুড়ে সেলের বাজারে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতা থেকে বিক্রেতা কারও মুখেই মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। ভিড়ের মধ্যে তাঁরা ঠাসাঠাসিভাবে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক পড়ার জন্য ফের সচেতন করা শুরু হয়েছে। বাজারে আসা সমীর দাস, সমেশ্বর পণ্ডিত বলেন, মাস্ক বাড়িতে আছে। যখন কোথাও যাই সঙ্গে করে নিয়ে যাই। তবে আবার করোনা বাড়ছে। তাই মাস্ক পরেই বেরতে হবে এবার।
তবে, এবছরও চৈত্র মাসের সেলের মরশুমে কাটোয়ার বাজারে দেখা নেই ভিনরাজ্যের বিক্রেতাদের। তাই ‘প্রতিযোগী’ না থাকায় বরাত খুলেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। নতুন বছর শুরুর কয়েকদিন আগে কাটোয়া শহরে দেখা যাচ্ছে চৈত্র সেলের মারকাটারি ভিড়। জানা গিয়েছে, প্রতিবার চৈত্র মাসে কাটোয়া শহরে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন বিক্রেতা বাইরে থেকে আসেন। কাটোয়া শহরের  স্টেশনবাজার, কাছারিরোড এমন জনবহুল এলাকায় রাস্তার দু’ধারে তাঁরা পসরা সাজিয়ে বসেন। পোশাক, জুতো থেকে শুরু করে গৃহস্থালির টুকিটাকি জিনিসপত্র নিয়ে তাঁরা সেলের বাজারে বিক্রি করেন। কিন্তু এবার তাঁদের দেখা মিলছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, গতবছর লকডাউনের কারণে চৈত্র সেলের বেচাকেনা বন্ধ ছিল। এবছর লকডাউন না থাকলেও করোনা সংক্রমণ অব্যাহত। এছাড়া বিধানসভা নির্বাচনের কারণে বাইরে থেকে আসা সেই ব্যবসায়ীদের দেখা নেই। কয়েক এসেছেন। ফলে সেলের বাজারে লাভের ফসল ঘরে তুলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই। আমরা ক্রেতাদের অনুরোধ করছি মাস্ক পরতে। কিন্তু অনেকেই শুনছেন না। এটাই ভয়ের বিষয়। আবার যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে প্রত্যেককেই সচেতন থাকতে হবে। 

15th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ