বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর

অকাল বৃষ্টিতে লালবাগে গাঁদা ফুলের চাষে ক্ষতির আশঙ্কা

সংবাদদাতা, লালবাগ: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শনিবার দিনভর জেলাজুড়ে আকাশের মুখ ভার ছিল। সেদিন রাত থেকে হাল্কা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার সারাদিন ধরে অবিরাম ধারায় বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লালবাগ মহকুমায় গাঁদা ফুলচাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সরস্বতী পুজোর আগে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে ফুলচাষিদের। দুর্যোগ কেটে ভালো আবহাওয়ার অপেক্ষায় আকাশের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ফুল চাষিদের বক্তব্য, এই আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকলে ফুল কালো হয়ে পচন ধরবে। জমিতে জল জমলে গাছের গোড়া পচে যাবে।  
ধান, পাট ও সব্জি চাষের পাশাপাশি লালবাগ মহকুমার রণসাগর, কমলবাগ, সন্ন্যাসীতলা, নশিপুর, কুর্মিটোলা প্রভৃতি এলাকায় সারা বছর ধরে গাঁদা ফুলের চাষ হচ্ছে। সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পুজোয় গাঁদা ফুলের চাহিদা থাকায় মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের একটা অংশের চাষিরা বিকল্প হিসেবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন। জানা গিয়েছে, ফুলচাষে ঝুঁকি এবং খরচ কমের পাশাপাশি ভালো লাভ হওয়ায় ক্রমশ বেশি সংখ্যায় চাষিরা ফুলচাষের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু শনিবার থেকে দুর্যোগের ফলে লালবাগ মহকুমার ফুল চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মুর্শিদাবাদ থানার কমলবাগের ফুলচাষি রাজেশ মণ্ডল বলেন, নভেম্বরের শেষের দিকে লাগানো গাছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। একদিন অন্তর ১৫-২০ কেজি করে ফুল বিক্রি করছিলাম। বিয়ের মরশুম এবং সরস্বতী পুজোয় ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু শনিবার থেকে যেভাবে দুর্যোগ শুরু হয়েছে তাতে খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলতে থাকলে মহকুমার ফুলচাষিরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। নশিপুরের সেলিম আলি সব্জিচাষের পাশাপাশি আঠারো কাঠা জমিতে ফুলচাষ করেছেন। তিনি বলেন, জানুয়ারির শুরু থেকেই মাঠ ভরে ফুল ফুটছে। করোনা অতিমারিতে গত দুই বছর ধরে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পেয়েছিলাম। সম্প্রতি রাজ্য সরকার বিয়ের অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। স্বাভাবিকভাবেই সরস্বতী পুজো এবং মাঘ ও ফাল্গুনের বিয়ের মরশুমে ভালোই বাজার পাওয়া যাবে বলে আশা করেছিলাম। ভেবেছিলাম এবার ফুল বিক্রি করে আগের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেব। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। সন্ন্যাসীতলার বাসিন্দা বিশাখা মণ্ডল বলেন, এবছর প্রথম দশ কাঠা জমিতে ফুল চাষ করেছি। আকাশের পরিস্থিতি দেখে একজন লেবার লাগিয়ে ফুল তুলেছি। পাইকারি বাজারে বিক্রি না হওয়ায় সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে বাজারে বসেছিলাম। দুপুর পর্যন্ত বসে থেকে লেবারের খরচ ওঠেনি। জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এই আবহাওয়ার কারণে ফুলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শীঘ্রই দুর্যোগ কেটে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। 

24th     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ