বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর

দক্ষিণ দিনাজপুরে শস্য বিমা
যোজনায় আবেদন লক্ষাধিক

সংবাদদাতা, পতিরাম: শীতকালে খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে মাঠের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। তাই এ বছর জেলায় ফসলের ক্ষতিপূরণ পেতে বাংলা শস্য বিমা যোজনায় আবেদন বাড়ছে। ইতিমধ্যেই জেলায় পাঁচটি ফসলের ক্ষেত্রে এক লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যা গত বছর ছিল ৬৫ হাজার। এবছর শীতের মরশুমে সর্ষে ও বোরো ধানের ক্ষেত্রে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। বাকি ফসলগুলির ক্ষেত্রেও গতবারের তুলনায় বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারের বাংলা শস্য বিমা যোজনায় ফসলের ক্ষতিপূরণও পাচ্ছেন কৃষকরা। তাই ফসল ক্ষতির আশঙ্কায় আগেভাগে বাংলা শস্য বিমা যোজনায় কৃষকরা বেশি করে আবেদন করছেন। 
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা অনির্বাণ লাহিড়ি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে শীতকালে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি শিলাবৃষ্টি সহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বাংলা শস্য বিমা যোজনায় আগের তুলনায় বেশি আবেদন জমা পড়ছে। কৃষকরা এই প্রকল্পে আবেদন করে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। তাই গত বছর পাঁচটি ফসলে ৬৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু এবার এক লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।  বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, কয়েক বছর ধরে শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। শীতকালে পশ্চিমীঝঞ্ঝার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে কৃষিক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ছে। 
বালুরঘাটের এক কৃষক তরুণ সরকার বলেন, গতবার শীতকালে বৃষ্টির ফলে আমার জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল। কিন্তু বাংলা শস্য বিমা যোজনায় আবেদন না করায় কোনও ক্ষতিপূরণ পাইনি। তাই এবছর আগে থেকেই আবেদন করেছি। 
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, শীতকালে বাংলা শস্য বিমা যোজনায় পাঁচটি ফসলের উপরে আবেদন করা যায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই সময়কালে বোরো ধান, সর্ষে, আলু, গম ও মসুর ডালের বেশি চাষ হয়। তাই এই পাঁচটি ফসল শস্য বিমার আওতায় পড়ে। গত ১ নভেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্ষের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। জেলাজুড়ে ৬০ হাজার ৪৫০ জন কৃষক শুধুমাত্র সর্ষের ক্ষেত্রে আবেদন করেছেন। এরপর গমের ক্ষেত্রে একই সময়ে ১১ হাজার ৫৫৪ জন চাষি আবেদন করেছেন। মসুর ডালের ক্ষেত্রে ৭৩২ এবং আলুর ক্ষেত্রে ৪০ জন চাষি আবেদন করেছেন। বোরো ধানের ক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন চলবে। ইতিমধ্যেই বোরো ধানের ক্ষেত্রে ৩৪ হাজার ২২০টি আবেদন জমা পড়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত এই পাঁচটি ফসলের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৬ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। 
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বছরে তিনবার আলাদা আলাদা ফসলের ক্ষেত্রে বাংলা শস্য বিমা যোজনায় আবেদন হয়। গত বছর এই শীতের মরশুমে পাঁচটি ফসলে প্রায় ৬৫ হাজার আবেদন পড়েছিল। তবে গতবারও শীতকালে বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে সর্ষে, আলু ও ধানের ক্ষতি হয়েছিল। তবে ৬৫ হাজার আবেদনকারী কৃষকের মধ্যে ৪০ হাজার চাষি ৩ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। 
প্রসঙ্গত, শীতকালে আগে সেভাবে বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হতো না। যার ফলে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনাও তেমন থাকত না। কিন্তু এখন ফসল ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে। যার ফলে রাজ্য সরকারের বাংলা শস্য বিমা যোজনায় ব্যাপক সাড়া পড়ছে। ইতিমধ্যেই কৃষিদপ্তরের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে এই আবেদনগুলি জমা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের আশায় প্রচুর সংখ্যক কৃষক আবেদন করছেন।

24th     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ