বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন
 

‘ছোটবেলায় প্রতি পুজোয় নতুন জামা হতো না’

বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক তিনি। মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। গত প্রায় দু’বছর ধরে ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে ঋদ্ধিমান সিংহরায় চরিত্রে দর্শক মহলে তিনি সমাদৃত। পাশাপাশি সিরিজ এবং সিনেমারও পরিচিত মুখ গৌরব। চলতি বছর শীতে বড়পর্দায় মুক্তি পাবে তাঁর নতুন ছবি ‘অতি উত্তম’। আবার কিছুদিন আগেই দর্শক তাঁকে দেখেছেন ‘কীর্তন’ ছবিতে। সদ্য শেষ করেছেন অরিন্দম শীলের ‘ইস্কাবনের বিবি’র কাজ। ধারাবাহিকের চাপে এখন সিরিজের কাজে সময় দিতে পারছেন না, নিজেই জানালেন। পুজোর আগে এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের কাজও চলছে পুরোদমে। তার মধ্যেই পুজোর প্ল্যানিং থেকে কেনাকাটা সবটাই সেরে ফেলেছেন গৌরব। 
‘অন্যান্য বার ষষ্ঠীতে ছুটি পড়ে। ফলে ষষ্ঠীর সকালে জামা কাপড় কিনতে যাই। কিন্তু এবছর একটু ভদ্রস্থ ভাবে ব্যাপারটা আগে মিটিয়ে ফেলেছি’, হেসে বললেন গৌরব। পুজোর চারদিন ধুতি পাঞ্জাবিতে পুরো বাঙালিবাবু সাজতেই সবথেকে বেশি পছন্দ করেন তিনি। বললেন, ‘দেবলীনার (স্ত্রী) জন্য কেনাকাটা এখনও বাকি। তবে আমারগুলো অর্ডার দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’ মা, শাশুড়িমা, বোনেদের জন্য শপিং করেছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন গৌরব। ধারাবাহিকে মূলত কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার কারণে পুজোর ছুটি বিশেষ পান না। তাঁর কথায়, ‘মুখ্য চরিত্র করার জন্য প্রযোজক, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ সকলেই প্রত্যেক দৃশ্যে আমাকে রাখতে চান। সেকারণে ষষ্ঠীর আগে ছুটি পাওয়া যায় না। দেবলীনার সঙ্গে আলাপের আগে পর্যন্ত পুজোয় এই কটা দিনের ছুটিতে আমি বেড়াতে চলে যেতাম। তবে এখন আর সেটা করি না। কলকাতাতেই থাকি। দেবলীনাদের ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোতে কেটে যায় চারটে দিন। ওখানে দারুণ আনন্দ হয়।’ 
এমনিতে গৌরব খুবই স্বাস্থ্য সচেতন। ফিটনেস ফ্রিকও বলা চলে। কিন্তু পুজোর চারটে দিন কোনও ডায়েট মেনে চলে না। বললেন, ‘পুজোর চারদিন ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল সবই খাই। বিরিয়ানি তো একদিন অবশ্যই থাকবে। আমি সাধারণত সাড়ে দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু পুজোর সময় আরও রাত হয়েই যায়। পুজো মানেই আমার কাছে নিয়ম থেকে বেরনো।’ মহানায়কের নাতি হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকে পুজো যে খুব এলাহি ভাবে কাটিয়েছেন গৌরব, এমনটা নয়। বরং বিষয়টা ঠিক তার উল্টো। ছোটবেলার বেশির ভাগটাই আর্থিক সমস্যায় কেটেছে। শোনালেন সেই সময়ের পুজোর কথা। ‘অনেকে শুনলে চমকে যায়। কিন্তু আমাদের ছোটবেলাটা খুবই আর্থিক অনটনে কেটেছে। সারাবছর সেটা তেমন বোঝা না গেলেও পুজোর সময় সেটা প্রকট হয়ে উঠত। পুজোর সময় নতুন জামা হবে কি না সেটা ভাবতাম। প্রতিবছর নতুন জামা হতো না। এক বছর হলে পরের বছর হতো না। যে বছর হতো না তার পরের বছরটায় খুব আনন্দ হতো আমার আর দিদির। বাবা খুব চেষ্টা করতেন আমাদের সবটা দেওয়ার। ছোটবেলার এই আনন্দগুলো ভোলার নয়। এক বছর মনে আছে, তখন আমি খানিকটা বড় হয়েছি। বাবা প্রথম দুটো ফুলপ্যান্ট কিনে দিয়েছিলেন। তাও আবার জিন্সের। তার মধ্যে একটা আবার খয়েরি রঙের ছিল। সেই বছরটা আমার দারুণ আনন্দ হয়েছিল। সেটা প্যান্ট পরে ফিটন করে ভিক্টোরিয়ায় বেড়িয়ে ক্যান্ডিফ্লাস খাওয়া, বাবা-মায়ের সঙ্গে ষষ্ঠীর দিন রাত জেগে ঠাকুর দেখা— এগুলো সারা জীবনের সম্পদ। এগুলো আজও ভীষণ মিস করি’, মনের আগল খুলে বলে চললেন গৌরব। 
মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো বিখ্যাত। সে দায়িত্ব এখন পালন করছেন গৌরব। বললেন, ‘পুজো শেষ হতে না হতেই আমাদের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। একমাস আগে পিসেমশাইরা প্রতিমার বায়না দিয়ে আসেন। আমি হয়তো সময় দিতে পারি না। কিন্তু আজও ঠাকুরমার (গৌরীদেবী) মুখের আদলেই লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি হয়।’
মানসী নাথ

4th     October,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ