বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন
 

সাদা শাড়িতে অঞ্জলি: সায়নী

দেবারতি ভট্টাচার্য, মুম্বই: সায়নী গুপ্ত। বলিউডের নতুন ধারার কাজে এখন জনপ্রিয় এই বাঙালি অভিনেত্রী। কাজের ব্যস্ততার মাঝেও দুর্গাপুজোর দিনগুলো চুটিয়ে আনন্দ করেন। বাঙালির বাৎসরিক এই উৎসবকে ঘিরে কৈশোর থেকে যৌবনের নানা রঙিন স্মৃতি মেলে ধরলেন অভিনেত্রী।
মায়ের মুখ 
পুজো মানেই নতুন কাপড়ের গন্ধ, ভোগের খিচুড়ি, ঠাকুর দেখা আরও অনেক কিছু। সায়নীর কাছে পুজো কী? জিজ্ঞেস করতেই হেসে বললেন, ‘ষষ্ঠীর দিন যখন মায়ের মুখ প্রথম দেখি, তার মধ্যে আলাদা উত্তেজনা থাকে। ছোটবেলায় পুজোর ভোরে ঢাকের বাদ্যি শুনে ঘুম ভাঙত। মহালয়ার পরে ঢাকিরা আমাদের পাড়ায় চলে আসতেন। আর ওঁরা ভোরবেলা গোল করে নেচে নেচে ঢাক বাজাতেন। সে এক আলাদা সুখ, তা বলে ব্যাখ্যা করা যাবে না।’ 
ডবল ধামাকা 
সায়নীর জন্মদিন ৯ অক্টোবর। তাই অনেক সময় পুজো আর জন্মদিন দুটো একসঙ্গে উদযাপন করেন। সে আনন্দ অন্যরকমের। বললেন, ‘অনেক সময় পুজোর আশপাশে আমার জন্মদিন পড়ত। দু’বার তো পুজোর মধ্যেই আমার জন্মদিন ছিল। তখন ডাবল ধামাকা হতো। সবাই আমাকে পুজোর আর জন্মদিনের জামাকাপড় একসঙ্গে দিতেন।’
খুঁতখুঁতে 
নতুন পোশাক ছাড়া দুর্গাপুজো ভাবতেই পারেন না সায়নী। তবে এ ব্যাপারে তিনি খুঁতখুঁতে। ‘ছোট থেকেই জামা নিয়ে আমি খুঁতখুঁতে। পছন্দ না হলে পরতে ভালো লাগে না। এ ব্যাপারে একটা ঘটনা মনে পড়ছে। তখন আমার চার বছর বয়স। জেঠু-জেঠিমা পুজো আর জন্মদিন মিলিয়ে তিনটে পোশাক দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটা হলুদ রঙের ফ্রক আমার মোটেও পছন্দ হয়নি। আর সেটা আমি কিছুতেই পরব না। মায়ের বকুনি খেয়েও পরব না বলে গোঁ ধরে বসেছিলাম। পরে মা জোর করে ফ্রকটা একবার পরিয়েছিলেন। তবে ফুলদিদুনের দেওয়া একটা জামা আমার দারুণ পছন্দ ছিল। তখন বোধহয় আমার ছ’বছর বয়স হবে। সেই জামাটা আমি আজও আগলে রেখেছি।’
রঙিন স্মৃতি 
কৈশোরের পুজোর দিনগুলোর সঙ্গে অনেক রঙিন স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। সায়নীর স্মৃতিতে, ‘ছোটবেলায় পরিবারের সকলের সঙ্গে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখতাম। প্রতিবার পাড়ার পুজোতে নাচ, নাটক, আবৃত্তি কিছু একটা পারফর্ম করতাম। একমাস ধরে মহড়া দিতাম। এসব দারুণ সুন্দর স্মৃতি।’
আজকের পুজো 
এখন কাজের প্রয়োজনে বছরের অধিকাংশ সময় মুম্বইতেই থাকেন সায়নী। বাণিজ্যনগরীর পুজো কীভাবে উদযাপন করেন? অভিনেত্রীর জবাব, ‘এখন পুজোর সময় সাধারণত মুম্বইতে থাকি। সপ্তমী আর নবমীর দিন ঠাকুর দেখতে যাই। অষ্টমীর দিন সেজেগুজে শাড়ি পরে অঞ্জলি দিই, ভোগ খাই। সাদা শাড়ি পরি। নতুন শাড়ি বেশিদিন তুলে রাখতে পারি না। পুজোর আগেই পরে ফেলি। এবছর দুটো নতুন সাদা শাড়ি এখনও আছে। ভাবছি পুজোতে পরব।’
পুজো পরিকল্পনা 
২০১৬-এ কলকাতাতে শেষবার পুজো কাটিয়েছিলেন সায়নী। ‘সেবার অষ্টমীর দিন আমার জন্মদিন পড়েছিল। দিল্লি থেকে কলকাতায় আমার সব তুতো ভাইবোনরা গিয়েছিল। সকলে একসঙ্গে মজা করেছিলাম। এবার পুজোয় কলকাতা যেতে পারি,’ বললেন তিনি। 
পেটপুজো 
এমনিতেই ডায়েট করেন না সায়নী। পুজোতে তো ডায়েট নৈব নৈব চ। পুজোর পেটপুজো প্রসঙ্গে হেসে বলেন, ‘পুজো মানেই পেটপুজো। আর পুজো মানে সবার আগে খিচুড়ি আর লাবড়া। গতবার পুজোয় লাবড়া না পেয়ে প্যান্ডেলে ঝগড়াও করেছিলাম। পুজোতে মন ভরে ফুচকা, রোল, চপ, মাটন সবকিছু খাই।’

25th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ