বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন
 

রানি কাহিনি

সাউথ পয়েন্ট, দিল্লি পাবলিক স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং- জীবন এগচ্ছিল সরলরেখায়। ছোট থেকে মেয়েটির সিনেমা পছন্দ। শাহরুখ খানের অন্ধ ভক্ত। তার পেশাদার পছন্দ যে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের দুনিয়াই হবে এ যেন অদৃষ্টের লিখন। মেয়েটি অঙ্গনা রায়। তরুণ মজুমদারের ‘আলো’ ছবিতে ছোট্ট আলো হিসেবে প্রথম ক্যামেরার সামনে আসা। কিন্তু সচেতন ভাবে কাজ শুরু ২০১৮ থেকে। ‘তখন আমার সেকেন্ড ইয়ার। ‘সেই যে হলুদ পাখি’ বড় হয়ে আমার প্রথম কাজ’— দক্ষিণ কলকাতার এক কফি শপে ব্ল্যাক কফিতে চুমুক দিয়ে বললেন অঙ্গনা।
অঙ্গনার মা লাজবন্তী রায় সঙ্গীতশিল্পী তথা একসময় টেলিভিশনে জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর ছিলেন। কিন্তু নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে চান অভিনেত্রী। ‘অমুকের মেয়ে হিসেবে কেউ কাজ দিক, এটা কোনওদিন চাইনি। মা-ও ছোট থেকে সেটা মেনটেন করেছেন। নিজের কেরিয়ারের প্রতি স্বচ্ছতা এখান থেকেই এসেছে’, বললেন অঙ্গনা। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা কি কোনও ভাবে সুবিধা করে দেয়? অঙ্গনার উপলব্ধি, ‘পরিচালক বা অভিনেতার সন্তানদের এই পরিচয় সাহায্য করে কি না, জানি না। কারণ একটা সময় পর্যন্ত ওই পরিচিতি কাজ করে। কিন্তু নিজের দক্ষতা না থাকলে তারপর তো আর এগনো যাবে না। ফলে ভালো করি বা খারাপ, সবটাই আমার। দায় আমার।’
কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিসেস আন্ডারকভার’-এ রাধিকা আপ্তের সঙ্গে কাজ করেছেন অঙ্গনা। তথাগত মুখোপাধ্যায়ের ‘পারিয়া’র শ্যুটিং শেষ করলেন। ‘রক্তকরবী’, ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এর মতো সিরিজে অঙ্গনার অভিনয় আগেই দেখেছেন দর্শক। এবার অদিতি রায়ের পরিচালনা ‘নষ্টনীড়’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। প্রতিটি চরিত্রে নিজেকেই চ্যালেঞ্জ করতে ভালোবাসেন। শোনা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার কত, তা নাকি এখন অভিনয়ে সুযোগ পাওয়ার অন্যতম মাপকাঠি? অঙ্গনার উত্তর, ‘অভিনয় কীভাবে ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার দিয়ে বিচার করা যায়? আমার সঙ্গে অন্তত অভিনয়ের ক্ষেত্রে এসব হয়নি। কিন্তু ব্র্যান্ড কোলাবরেশন বা টিভিসির ক্ষেত্রে হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা ঘটছে ইন্ডাস্ট্রিতে।’ 
ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়ররা অনেক সময় অভিযোগ করেন, নতুন ছেলেমেয়েরা নাকি তাঁদের সঙ্গে প্রায় কথাই বলে না, শিখতে চায় না। তারা নাকি নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে অঙ্গনা এই বিষয়টা কীভাবে দেখেন? তাঁর কথায়, ‘আমার গল্প করতে তো ভালো লাগে। কিন্তু কাউকে বিরক্ত করছি কি না, সেটাও বোঝার চেষ্টা করি। আমার বড়দের সঙ্গেই বেশি বন্ধুত্ব হয়। ওঁদের সময় কীভাবে কাজ হতো, সেগুলো শুনতে আমার দারুণ লাগে।  শান্তিদা (শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়), লাবণীদি (লাবণী সরকার) বরং আমাকে বলেছেন, তোর কী মনে হয়, সিনটা আমরা কীভাবে করতে পারি? ফলে ওই স্পেসটা ওঁরা আমাকে দিয়েছেন। সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমার প্রজন্মের সুহত্র, সত্যম, ঋতব্রত যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, আমরা সিনেমা ভালোবাসি। কমিউনিকেট করতে ভালোবাসি। আমার চোখের সামনে এমনটা হতে দেখিনি। কিন্তু শুনেছি।’ 
দাদু, দিদার কাছে বড় হয়েছেন অঙ্গনা। দিদা আদর করে নাম রেখেছিলেন রানি। সেদিনের ছোট্ট রানি আজ ইন্ডাস্ট্রির ভালোর সঙ্গে মন্দ দিকটাও তো দেখছেন। কাস্টিং কাউচ নিয়ে সাধারণ দর্শকের নানা ধারণা তৈরি হয়। তাঁকে কি কখনও সামলাতে হয়েছে? অঙ্গনা বললেন, ‘কীভাবে এটা হয় সকলে জানেন। কেন এটা হয়, সেটাই প্রশ্ন। এটা দুঃখের। দেখুন, আমি আগে থেকে আঁচ করতে পারি। যদি বুঝতে পারি এটা এদিকে যেতেও পারে খুব ধীরে ধীরে নিজেকে ওই পরিস্থিতি থেকে সরিয়ে নিই। কিন্তু এটা হয়। আমার সঙ্গে হয়নি বলে কারও সঙ্গে হয়নি, তা নয়।’

এ ক  ন জ রে
শেষ দেখা সিরিজ : জুবিলি।
ভয়: মাকড়সা। বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়া। 
প্রেম: চার নম্বর প্রেম সবে শেষ হয়েছে। এখন কোনও প্রেম করছি না।
স্বরলিপি ভট্টাচার্য

1st     June,   2023
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ