বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন
 

সময় অনেক
কিছু শিখিয়ে দেয়

উপলব্ধি মিমি চক্রবর্তীর। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পরিচালক অরিন্দম শীলের ছবিতে অভিনয় করলেন তিনি। ‘খেলা যখন’ মুক্তির আগে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয় এই শর্তে বর্তমান-এর সঙ্গে আড্ডায় অভিনেত্রী-সাংসদ।

 ঊর্মি কেমন মেয়ে? 
 খুবই সাধারণ। সে কীভাবে বড় হয়েছে, কী করত, সেদিকে আমরা যাইনি। বর, ছেলে, শ্বশুর, শাশুড়ি নিয়ে তার সংসার। শুরুতেই দর্শক দেখবেন, ন মাস পর সে কোমা থেকে উঠছে। একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল। সে বুঝতে পারে না ছেলে বেঁচে আছে কী নেই। স্বামী বলছে ছেলে মারা গেছে। অথচ ঊর্মি ছেলের অস্তিত্ব অনুভব করে। তার বিশ্বাস ছেলে মারা যায়নি। প্রচুর মানসিক দ্বন্দ্ব, সমস্যার নানা স্তর রয়েছে চরিত্রটায়। 
 ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যাকে কীভাবে কাটিয়ে ওঠেন? 
 অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখি। সময়েরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে আমার জীবনে। সময়ের উপরে আমি খুব আস্থাশীল। বিশ্বাস করি ভালো মানুষের সঙ্গে ভালোই হয়। সবসময় মেঘের মধ্যে রুপোলি রেখা দেখতে পাই। দশটা দরজা বন্ধ হলে একটা তো খোলা থাকবেই। এই পজিটিভ ফোর্স ও এনার্জিতে বিশ্বাসী। জানি কারও ক্ষতি না করলে, আমারও খারাপ হবে না। মফস্সল থেকে আসা একটা মেয়েকে মানুষ যদি এই জায়গাটা দিয়ে থাকেন, তাহলে হয়তো আমি ভালো কাজ করেছি। 
 এমন কোনও দুঃস্বপ্ন আছে যা ভুলে যেতে চান? 
 জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে, যেগুলো মানুষ ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সেটা তো সম্পূর্ণ ভুলতে পারে না। সময় সেগুলোয় কিছুটা প্রলেপ দেয়। কিন্তু দাগ একটা থেকেই যায়। 
 ঊর্মি চরিত্রটায় মানসিক দ্বন্দ্বের কথা বললেন। অভিনয়ের সময় কোনও পছন্দের অভিনেতার কথা মাথায় এসেছিল? বা কোনও বিশেষ চরিত্রে আরও অভিনয়? 
 ছবি তৈরি, অভিনয়...গোটাটাই একটা প্রক্রিয়া। আমরা অনেক ছবি দেখি, অনেকের ছবি দেখি। কারও কোনও বিশেষ চরিত্রে অভিনয় হয়তো মনে গেঁথে যায়। এটা না হোমওয়ার্কের মতো। ঊর্মির চরিত্রটা নিজের মতো করে গড়ার চেষ্টা করেছি। অরিন্দমদাকে দিনে, রাতে ফোন করে পাগল করে দিয়েছি।  ‘ধনঞ্জয়’ ছবিটা করার সময় অরিন্দমদা বলেছিলেন, খুব শিগগিরই আমরা আর একটা কাজ করব। তখন অতটা উল্লসিত হইনি। পরে যখন দেখলাম অরিন্দমদা সত্যিই আমাকে নিয়ে একটা গল্প ভেবেছেন, তখন ভালো লেগেছিল। চরিত্রটার সঙ্গে চারবছর ঘরকন্না করেছি। শুরুর একটা পেইন থেরাপি হয়েছিল। সকালবেলা যোগব্যায়ামের একটি কেন্দ্রে যেতাম। সন্তান হারানোর যন্ত্রণাটা কী করে আমার মধ্যে আসতে পারে, কতটা বাস্তব করে ফুটিয়ে তোলা যেতে পারে ওই থেরাপির মাধ্যমে রপ্ত করতাম। তার জন্য ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক কষ্ট পেয়েছি। ছবির কাজ পিছিয়ে যেতে  থাকল। মনটা ভেঙে যেতে লাগল। চারবছর পর আবার যখন ছবির কাজ শুরু হল তখন অরিন্দমদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কী করব। উনি বলেছিলেন, নিজের মতো করে ভাবতে, গড়তে। সময় অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। দুঃখ, কষ্ট, ভালোবাসা… ইটস আ লার্নিং প্রসেস। যেটা একজন অভিনেতার উত্তরণে সাহায্য করে। 
 প্রায় ১২ বছর পর ‘গানের ওপারে’র পুপে-গোরার পুনর্মিলন। নিশ্চয়ই উপভোগ করেছেন। 
 অবশ্যই। অর্জুন (চক্রবর্তী) আমার অভিনয় জীবনের প্রথম সহ অভিনেতা। গানের ওপারে’র পুপে-গোরাকে আজও মানুষ মনে রেখেছেন। অর্জুন আমার প্রথম ছবিরও কো-স্টার। আমার প্রথম অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ‘ক্রিসক্রস’ ছবিতেও একটা ছোট্ট অংশে ছিলাম আমরা। এই ছবিটায় আবার স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। অর্জুন দেখতে তো সুন্দর ছিলই। এখন আরও হ্যান্ডসাম হয়ে গেছে। অভিনেতা হিসেবেও অনেক পরিণত। ওর কাজের প্রতি নিষ্ঠা, একাগ্রতা, সময়ানুবর্তীতাকে কুর্নিশ করি। অর্জুনের সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই। 
প্রিয়ব্রত দত্ত
ছবি : দীপেশ মুখোপাধ্যায়

30th     November,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ