বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন
 

হাসি-মজার মধ্যে দিয়েই
পাকা দেখা চলছে

সোহম কর: ভর সন্ধেবেলা গড়িয়াহাট সংলগ্ন কেয়াতলা রোডে একেবারে গাড়ির মেলা। ধীরে ধীরে মানুষজন আসছেন। তাঁদের কারও হাতে লাইট, কারও হাতে বিরাট আকারের ক্যামেরা। ফুটপাতে ক্যামেরা বসানো হল। ইতিমধ্যে রাস্তার অন্যান্য গাড়িগুলো সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে সেই গাড়িগুলো যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হল। কিন্তু হচ্ছেটা কী? দেখা গেল, পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকী এসে অভিনেতাদের খোঁজ করছেন। ডাকাডাকির পর সরাসরি মেকআপ রুম থেকে উপস্থিত হলেন সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। শ্যুটি শুরু হল। একটি সাদা গাড়ি থেকে নেমে খানিক টলমল পায়ে বাড়ির ভিতরে গেলেন এই অভিনেত্রী। পরের শটে এলেন সোহম চক্রবর্তী। 
প্রেমেন্দুবিকাশের নতুন ছবি ‘পাকা দেখা’র শ্যুটিং চলছিল কেয়াতলা রোডের চৌধুরী ভিলায়। তার সঙ্গে রাস্তাতেও কিছু শট নেওয়া হচ্ছিল। এদিন সুস্মিতা-সোহম ছাড়াও শ্যুটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন দোলন রায় ও সুমন্ত মুখোপাধ্যায়। সোহমের চরিত্রের নাম জয়। সে একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করে। ‘এই চরিত্রটা খুব নিয়ম মেনে চলে। সময় জ্ঞান সাংঘাতিক। কোনও জায়গায় পৌঁছনোর হলে ১মিনিট দেরি করবে না। বরং ১০ মিনিট আগে পৌঁছবে। তার সঙ্গে একেবারে উল্টো চরিত্রের এক যুবতীর আলাপ হয়। সেই মহিলার জীবনে কোনও নিয়মকানুন নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে ঠিক হয়। সেখান থেকেই পাকা দেখা। এইসব নিয়ে জমজমাট হাসির ছবি,’ বলছিলেন সোহম। সনম মুভিজের সঙ্গে তিনি এই ছবির সহ-প্রযোজকও। কিছুদিন আগেই আবার তাঁর বিবাহবার্ষিকী গিয়েছে। রাজনীতির কাজ, ছবির কাজ করে বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর সঙ্গে রায়চকে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন এই বিধায়ক-অভিনেতা। তবে, সোহম কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এই জয়ের মতো এত নিয়ম মেনে চলেন না। ‘জয় কাজ করে, আবার ঘড়ি দেখে ঘুমিয়েও পড়ে। আমি বাস্তবে এত নিয়ম মেনে চলি না। হইহুল্লোড় করতে, পার্টি করতে, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে ভালোবাসি,’ বলছিলেন সোহম।  
অন্যদিকে, তিয়াশা অর্থাত্ সুস্মিতা ইন্ডাস্ট্রিতে অল্প সময় কাজ করলেও এটা তাঁর কেরিয়ারের পঞ্চম ছবি হতে চলেছে। কিছুদিন আগেই আর একটি কমেডি ছবি ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’র শ্যুটিং শেষ করেছেন তিনি। সেই ছবিতেও সোহম ছিলেন। আবার ‘পাকা দেখা’ ছবিটিও কমেডি। যদিও সুস্মিতা বলছেন, ‘ছবি দুটো কমেডি হলেও আমার চরিত্র দুটো একেবারেই আলাদা। ওই ছবিতে আমি ছিলাম চোর। আর এখানে আমি একটা মিষ্টি, আধুনিক মেয়ে। এই ছবিতে প্রেম-ভালোবাসা-বিয়ে রয়েছে।’ এত অল্পদিনেই সুস্মিতার হাতে পাঁচটি ছবি। রহস্যটা কী? তিনি বলছেন, ‘আমার মনে হয় দর্শক আমাকে পছন্দ করেছেন। গল্পের চরিত্রগুলোর জন্য পরিচালকরা আমার ওপর ভরসা করেছেন। অভিনয়ের জন্য  প্যাশন, প্রতিভা তো থাকতেই হবে। তার সঙ্গে পরিশ্রম করাটাও জরুরি। আর একটা বিষয় হল ধৈর্য। এখানে ধৈর্য  হারালে সফল হওয়া যাবে না।’ 
সবে মাত্র শট শেষ করে চায়ে চুমুক দিয়েছেন পরিচালক। তার মধ্যেই সুস্মিতাকে পরবর্তী দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন। যতক্ষণ ক্যামেরা সেট করা হচ্ছে সেই অবসরে প্রেমেন্দু বলছিলেন, ‘শুধুমাত্র এই ছবি বলে নয়, আমি সমস্ত ছবির মাধ্যমেই মানুষকে হাসাতে চাই। দৈনন্দিন জীবনে দাঁড়িয়ে মানুষ হাসতে প্রায় ভুলে গিয়েছেন। তাই মূলত হাসির ছবি করি। ভালো বাংলা কমেডি ছবিও তো তৈরি হচ্ছে না। আর দক্ষিণের কমেডি ছবি রিমেকের সঙ্গে বাংলার সংস্কৃতি খাপ খায় না। বাঙালি দর্শকের কাছে যাতে সেই জায়গাটা ফিরিয়ে দিতে পারি, সেই চেষ্টাই করছি।’ কলকাতা এবং তার আশপাশের এলাকায় ছবির শ্যুটিং চলছে। প্রায় মাঝপথে এসে পৌঁছেছে শ্যুটিং। আগামী বছর পয়লা বৈশাখ কিংবা জামাইষষ্ঠীর সময় সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।        

30th     November,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ