বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন
 

অনুরাগীদের কাছ থেকে কয়েকবার
বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল

 

এক্কেবারে ঘরের ছেলে তিনি। রোজ সন্ধেবেলা জনপ্রিয় মেগা ‘খড়কুটো’র  পটকার জাদুতে মুগ্ধ বাঙালি দর্শক। লকডাউনে শ্যুটিং বন্ধ, তাই গৃহবন্দি তিনি। তবে ফোনে অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্যকে পাওয়া গেল নিজস্ব মেজাজেই। প্রশ্ন করলেন তাপসী দত্ত দাস।

 শ্যুটিং তো বন্ধ সময় কীভাবে কাটছে?
 ঘরবন্দি হলেও কাজকর্ম ঠিকই চলছে। শ্যুটিং না থাকলেও ঘরমোছা, ঝুলঝাড়া, বাথরুম পরিষ্কার, গ্রিলের ধুলো ঝেড়ে চকচকে করার মতো কাজগুলিতে তো আর বিধিনিষেধ নেই! তাই খুব মন দিয়ে এই কাজগুলি করছি। তার মধ্যে আমি আবার পিটপিটে। তাই ঘরদোর পরিষ্কার করেই সময় কাটাচ্ছি। এছাড়া ছোট থেকেই প্রচণ্ড শখ বইপড়া আর গান শোনার। এসব করেই যে কখন সকাল থেকে রাত হয়ে যাচ্ছে, বুঝে উঠতে পারছি না।

 লকডাউনে পটকার ওজন কি আরও বাড়ল? 
 আমাকে দেখে মনে হয়, আমি প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করি। কিন্তু মোটেই তা নয়। আমি খুবই সামান্য খাই। আমার ইমেজ এমন তৈরি হয়েছে যে, আমি খুবই খাদ্যরসিক। পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খেতে বসি। সত্যিটা তা নয়। বরং কখনও কখনও দুপুরে ডাল, আলুভাজা দিয়ে ভাত খেয়ে উঠে পড়ি। 

এত জনপ্রিয়তা, এত অনুরাগী। বিয়েটা সারছেন কবে?
এটা বলা খুব মুশকিল, আমার ভাইরাল ফিভার হবে কি না— সেটা তো আমি আজকেই বলতে পারব না। বিয়েটাও ঠিক তাই আমার কাছে। আমি কালও বিয়ে করে নিতে পারি, আবার এমনও হতে পারে দশ বছর পর বিয়ে করলাম। তবে দু-একটা বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছি অনুরাগীদের কাছ থেকে। সেই প্রস্তাবগুলিতে খুব একটা আমল দিইনি। আসলে প্রেম বা বিয়ের জন্য পছন্দসই পাত্রী দরকার। এখনও সেই রকম কাউকে খুঁজে পাইনি। সবথেকে বড় কথা আমি সংসারী মানুষ কি না? বিয়ের মতো সম্পর্কের চাপ নিতে পারব কি না? তা এখনও পরিষ্কার নয় আমার কাছেই। নিজের মর্জিতে চলি। কিন্তু সংসারের মধ্যে তো সমঝোতা থাকে। তাই একটা মেয়েকে বিয়ে করে অকারণে তাঁকে অশান্তির মধ্যে ফেলাটা ঠিক হবে! যদি কখনও মনের মতো কাউকে পাই এবং সংসার করার জন্য নিজেকে তৈরি মনে হয়, তখন ভাবব বিয়ের কথা।
 
 চারদিকে এত মৃত্যুর খবর। এদিকে, ঘরবন্দি হয়ে বসে থাকা। কখনও হতাশা গ্রাস করে?
 করোনার দাপটে আজ আমরা কোণঠাসা। তবে এটা তো  হওয়ারই ছিল। মানুষ দীর্ঘদিন প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে, নিজেকে সুপিরিয়র ভেবেছে। আমাদের একটা শিক্ষা হওয়ার দরকার ছিল। ছোট্ট একটা ভাইরাস  আমাদের বুঝিয়ে দিল আদতে আমরা ঠুনকো। ইতিহাস বলছে, কোনও ভাইরাসই চিরস্থায়ী হয় না। এই মহামারীরও অবসান হবে। তবে আমি বলব, সবকিছুই প্রকৃতির নিয়মে চলছে। করোনার প্রথম ধাক্কার পরও আমরা মানে ভারতীয়রা সচেতন ছিলাম না। এবার সেকেন্ড ওয়েবে নিজের কাছের লোকদের হারাচ্ছি। কিন্তু এই হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যে একটাই আশার আলো আমি দেখতে পাচ্ছি— এরপর আমি বাঁচব কি না বাঁচব, তার থেকেও বড়কথা যে মানুষগুলি বেঁচে থাকবেন, তাঁরা অন্তত সচেতন হবেন। আর নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবাটা বন্ধ করবেন।

 অনুরাগীদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
এত হতাশার মধ্যেও মানবিকতা হার মানেনি দেখে ভালো লাগছে। আর্টিস্ট ফোরাম যেমন করোনা আক্রান্ত শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তেমন অনেক মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুঃস্থদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। এভাবেই যদি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে উঠতে পারি, আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আবার সিনেমা হল, থিয়েটার হল খুলবে। টিকাকরণ ঠিকমতো হলে আবার জীবন ফিরবে তার পুরনো ছন্দে। ততদিন একটু না হয় নিয়ম মেনেই চলি।

15th     June,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ